নিউইয়র্ক ০৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত : নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওপর জাতিসংঘের কোনো চাপ নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৭৪ বার পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমেদ : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মত গৃহীত “মিয়ানমারের পরিস্থিতি” বিষয়ক একটি রেজুল্যুশনের আলোকে মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জরুরি অবস্থা, বন্দি মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় সহ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধানে আমাদের নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোন চাপ বা দিক নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পাশাপাশি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ ধরনের দিক নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগও নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়াও শেখ হাসিনা সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ কর্মসূচীর ভিত্তিতে চলতি বছরে জাতিসংঘে কাজ অব্যাহত থাকবে। খ্রিস্টিয় নতুন বছর উপলক্ষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত মুহিত উপরোক্ত কথা বলেন। মতবিনিময়কালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তাবনা পাস হয়েছে। এ দুটি প্রস্তাবনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে মিয়ানমারের চ্যালেঞ্জ করা রিট আন্তর্জাতিক আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ফলে এখন দায়ের করা মামলার কার্যক্রম চলতে আর বাধা নেই। ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আতœস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, খুনিরা প্রতিটি দেশে একটি আইনের অধীনে আশ্রয়ে আছে। তাই তাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের আইনি কাঠামোর ওপর নির্ভর করছে। তবে খুনিদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিস্ট দেশের সাথে আমরা সব রকম চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি।অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ আমাদের জাতীয় গণহত্যা দিবস। এটি আন্তর্জাতিকরণ এখন সময়ের দাবি।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তার লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ২০২২ সালে মিশন কর্তৃক সম্পাদিত বিভিন্ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ২০২২ সালটি আমাদের জন্য অত্যন্ত কর্মমূখর একটি বছর ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ বিশ্বের সকল মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমিয়ে, ভবিষ্যতে সকলের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। এসকল বৈশ্বিক ইস্যুতে এবং জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যু, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আমাদের মিশন সরব ছিল। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে ২০২২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম বিশেষ করে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানকল্পে মিশনের কার্যক্রম, জাতিসংঘের রেজুল্যুশনে ‘জাতির পিতা’র মহান উক্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ সন্নিবেশিত, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, ২০২২ সালে বাংলাদেশ মিশন জাতিসংঘের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা/বোর্ডের সভাপতিসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন, জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন সংস্থার নির্বাচন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক রেজুলেশন ও এ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সভায় নেতৃত্ব প্রদান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন, জনকূটনীতি প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহিত তার বক্তব্যে ২০২৩ সালে মিশনের কার্যক্রমের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এতে তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে সক্রিয় থাকা সহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদেরকে দেশে ফেরত নেয়া, জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের সফলতা, ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস-কে আন্তর্জাতিকরণ প্রভৃতি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান।

অন্যান্য প্রসঙ্গ: জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এপর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে কোন ব্যর্থতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, বলা যায় আমি এখনো নতুন, তাই ব্যর্থতা মূল্যায়ন করার সময় আসেনি। তবে দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাই। ‘মিশন ও কনস্যুলেট’-এর যৌথ উদোগে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, আমাদের কাজ জাতিসংঘ ঘিরে। কনস্যুলেট বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়ন্ত্রনে। ফলে আমাদেরকে আমাদের জুরিডেকশনে থেকে আর কনস্যুলেটকে তাদের মতো করে কাজ করতে হয়।

তিন বা ছয় মাস অন্তর অন্তর এমন মতবিনিময় করা যায় কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ইয়েস আমরা তা করতে পারি। এতে মিশন ও সাংবাদিকদের কাজের গতি ও স্বচ্ছতা বাড়বে।নিউইয়র্কের মিডিয়াগুলো শুধু সেবা দিয়েই যাচ্ছে, মিশন থেকে মিডিয়াগুলো কোন সেবা পাচ্ছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিশন প্রধান বলেন, বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে, আমরা চেষ্টা করবো।

স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত-এর মতবিনিময়কালে মিয়ানমারে সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ডা. মনোয়ার হোসেন তার পাশে ছিলেন। এছাড়াও মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত : নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওপর জাতিসংঘের কোনো চাপ নেই

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

সালাহউদ্দিন আহমেদ : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মত গৃহীত “মিয়ানমারের পরিস্থিতি” বিষয়ক একটি রেজুল্যুশনের আলোকে মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জরুরি অবস্থা, বন্দি মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় সহ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধানে আমাদের নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোন চাপ বা দিক নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পাশাপাশি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ ধরনের দিক নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগও নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়াও শেখ হাসিনা সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ কর্মসূচীর ভিত্তিতে চলতি বছরে জাতিসংঘে কাজ অব্যাহত থাকবে। খ্রিস্টিয় নতুন বছর উপলক্ষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত মুহিত উপরোক্ত কথা বলেন। মতবিনিময়কালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তাবনা পাস হয়েছে। এ দুটি প্রস্তাবনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে মিয়ানমারের চ্যালেঞ্জ করা রিট আন্তর্জাতিক আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ফলে এখন দায়ের করা মামলার কার্যক্রম চলতে আর বাধা নেই। ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আতœস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, খুনিরা প্রতিটি দেশে একটি আইনের অধীনে আশ্রয়ে আছে। তাই তাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের আইনি কাঠামোর ওপর নির্ভর করছে। তবে খুনিদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিস্ট দেশের সাথে আমরা সব রকম চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি।অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ আমাদের জাতীয় গণহত্যা দিবস। এটি আন্তর্জাতিকরণ এখন সময়ের দাবি।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তার লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ২০২২ সালে মিশন কর্তৃক সম্পাদিত বিভিন্ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ২০২২ সালটি আমাদের জন্য অত্যন্ত কর্মমূখর একটি বছর ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ বিশ্বের সকল মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমিয়ে, ভবিষ্যতে সকলের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। এসকল বৈশ্বিক ইস্যুতে এবং জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যু, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আমাদের মিশন সরব ছিল। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে ২০২২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম বিশেষ করে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানকল্পে মিশনের কার্যক্রম, জাতিসংঘের রেজুল্যুশনে ‘জাতির পিতা’র মহান উক্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ সন্নিবেশিত, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, ২০২২ সালে বাংলাদেশ মিশন জাতিসংঘের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা/বোর্ডের সভাপতিসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন, জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন সংস্থার নির্বাচন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক রেজুলেশন ও এ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সভায় নেতৃত্ব প্রদান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন, জনকূটনীতি প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহিত তার বক্তব্যে ২০২৩ সালে মিশনের কার্যক্রমের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এতে তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে সক্রিয় থাকা সহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদেরকে দেশে ফেরত নেয়া, জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের সফলতা, ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস-কে আন্তর্জাতিকরণ প্রভৃতি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান।

অন্যান্য প্রসঙ্গ: জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এপর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে কোন ব্যর্থতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, বলা যায় আমি এখনো নতুন, তাই ব্যর্থতা মূল্যায়ন করার সময় আসেনি। তবে দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাই। ‘মিশন ও কনস্যুলেট’-এর যৌথ উদোগে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, আমাদের কাজ জাতিসংঘ ঘিরে। কনস্যুলেট বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়ন্ত্রনে। ফলে আমাদেরকে আমাদের জুরিডেকশনে থেকে আর কনস্যুলেটকে তাদের মতো করে কাজ করতে হয়।

তিন বা ছয় মাস অন্তর অন্তর এমন মতবিনিময় করা যায় কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ইয়েস আমরা তা করতে পারি। এতে মিশন ও সাংবাদিকদের কাজের গতি ও স্বচ্ছতা বাড়বে।নিউইয়র্কের মিডিয়াগুলো শুধু সেবা দিয়েই যাচ্ছে, মিশন থেকে মিডিয়াগুলো কোন সেবা পাচ্ছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিশন প্রধান বলেন, বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে, আমরা চেষ্টা করবো।

স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত-এর মতবিনিময়কালে মিয়ানমারে সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ডা. মনোয়ার হোসেন তার পাশে ছিলেন। এছাড়াও মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।