নিউইয়র্ক ০১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাতের বেলায়ও খাবার দিতে ফোন কল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
  • / ৮২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): শনিবার, ২৫ এপ্রিল মধ্য রাত প্রায় দেড়টা। নিরব-নিস্তব্ধ নিউইয়র্ক। হঠাৎ অচেনা নম্বর থেকে ফোন কল। ‘হ্যালো ভাই, আপনি কি বাসায় আছেন। ওমুক ভাই (সঙ্গত কারণেই নাম প্রকাশ করা হলো না) আপনার কথা বলেছেন। আমরা আপনার বাসার ভাইরে খাবার নিয়ে আপেক্ষা করছি। একটু আসলে খুশী হবো’। কথাগুলো বলছিলেন- জ্যামাইকায় বসবাসকারী দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় ধরে ঘরে কোয়ারেনটাইনে (স্বেচ্ছা গৃহবন্দি) থাকা নাম প্রকাশে এক বাংলাদেশী। খবর ইউএনএ’র।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র সাথে ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং সিটি আর ষ্টেট প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্ত্রী-পুত্র নিয়ে জ্যামাইকার বাসায় কোয়ারেনটাইনে আছি। এজন্য এক মাসের মতো প্রয়োজনীয় বাজার করাই ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন বাসায় বন্দি জীবন কাটাতে কাটাতে যখন হাঁপিয়ে উঠেছি এবং আগামীদিনের কথা ভাবছি, কি খাবো, কি করবো ইত্যাদি। ঠিক তখনই রাতের ফোন কল এবং রাত সোয়া একটার দিকে বাসার সামনে গিয়ে দেখি চাল-ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাবারের বক্স নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আছেন। বললেন- আপনাদের জন্য উপহার। আরো অনেক-কে এসব পাঠাতে গিয়ে রাত হয়ে গেলো। বক্সটি হাতে নিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিালাম। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম ওজনপার্ক থেকে এসে তারা এই খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে গেছেন। এছাড়াও একাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফোনে আমার খোঁজ নিয়েছেন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পাঠিয়ে সাহায্য করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ জানান।
অনুসন্ধানে জানা গেলো, এভাবেই নিউইয়র্কবাসী বাংলাদেশীরা একে অপরের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক সহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা, মুনা, ফোবানা, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, যাকাত ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব জ্যামাইকা প্রভৃতি সংগঠন কমিউনিটির সেবায় সাধ্য মতো কাজ করে চলেছে। তাদের এই মহৎ কাজে কমিউনিটির বিত্তবানরাও এগিয়ে এসেছেন। অনেকে আবার ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য করে চলেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেকটা রিস্ক নিয়ে তারা মানবতার সেবা করে চলেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

রাতের বেলায়ও খাবার দিতে ফোন কল

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): শনিবার, ২৫ এপ্রিল মধ্য রাত প্রায় দেড়টা। নিরব-নিস্তব্ধ নিউইয়র্ক। হঠাৎ অচেনা নম্বর থেকে ফোন কল। ‘হ্যালো ভাই, আপনি কি বাসায় আছেন। ওমুক ভাই (সঙ্গত কারণেই নাম প্রকাশ করা হলো না) আপনার কথা বলেছেন। আমরা আপনার বাসার ভাইরে খাবার নিয়ে আপেক্ষা করছি। একটু আসলে খুশী হবো’। কথাগুলো বলছিলেন- জ্যামাইকায় বসবাসকারী দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় ধরে ঘরে কোয়ারেনটাইনে (স্বেচ্ছা গৃহবন্দি) থাকা নাম প্রকাশে এক বাংলাদেশী। খবর ইউএনএ’র।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র সাথে ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং সিটি আর ষ্টেট প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্ত্রী-পুত্র নিয়ে জ্যামাইকার বাসায় কোয়ারেনটাইনে আছি। এজন্য এক মাসের মতো প্রয়োজনীয় বাজার করাই ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন বাসায় বন্দি জীবন কাটাতে কাটাতে যখন হাঁপিয়ে উঠেছি এবং আগামীদিনের কথা ভাবছি, কি খাবো, কি করবো ইত্যাদি। ঠিক তখনই রাতের ফোন কল এবং রাত সোয়া একটার দিকে বাসার সামনে গিয়ে দেখি চাল-ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাবারের বক্স নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আছেন। বললেন- আপনাদের জন্য উপহার। আরো অনেক-কে এসব পাঠাতে গিয়ে রাত হয়ে গেলো। বক্সটি হাতে নিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিালাম। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম ওজনপার্ক থেকে এসে তারা এই খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে গেছেন। এছাড়াও একাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফোনে আমার খোঁজ নিয়েছেন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পাঠিয়ে সাহায্য করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ জানান।
অনুসন্ধানে জানা গেলো, এভাবেই নিউইয়র্কবাসী বাংলাদেশীরা একে অপরের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক সহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা, মুনা, ফোবানা, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, যাকাত ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব জ্যামাইকা প্রভৃতি সংগঠন কমিউনিটির সেবায় সাধ্য মতো কাজ করে চলেছে। তাদের এই মহৎ কাজে কমিউনিটির বিত্তবানরাও এগিয়ে এসেছেন। অনেকে আবার ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য করে চলেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেকটা রিস্ক নিয়ে তারা মানবতার সেবা করে চলেছেন।