নিউইয়র্ক ০৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
সুর, স্বপ্ন ও সাফল্যের এক অনন্য যাত্রা

রন্টি দাশ : নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা করছেন ‘রন্টি’স মিউজিক কিচেন’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫ বার পঠিত

আশরাফুল হাবিব মিহির: বাংলাদেশের এই প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী রন্টি দাশ তাঁর সুরেলা কণ্ঠ, আবেগময় গায়কি ও মুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০০৬ সালের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করা এই শিল্পী দেশের আধুনিক ও প্লেব্যাক সংগীতের জগতে এক উজ্জ্বল নাম।
২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘দেখো আমারি খুশিতে’ গানটি এবং ২০১৭ সালের একক গান ‘ডাকাতি’ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কেবল গান প্রকাশেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি, দেশ-বিদেশের কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সংগীতকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছেন এক নতুন উচ্চতায়। তাঁর পরিবেশনায় বাংলা গান পেয়েছে নতুন প্রাণ, নতুন মাত্রা।
গানই তাঁর জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। রন্টি বলেন, “আমি গানেই বাঁচতে চাই, গানই আমার পরিচয়।” এই দৃঢ় বিশ্বাসকে সঙ্গী করেই তিনি আধুনিক, ফোক ও চলচ্চিত্রের গান – প্রতিটি ধারাতেই রেখেছেন অনন্য ছাপ। মাটির গন্ধে মেশানো তাঁর সুর ও আবেগপূর্ণ গায়কি শ্রোতাদের কাছে তৈরি করেছে এক বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা।
রন্টি দাশ নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন একটি ব্যতিক্রমী সঙ্গীত বিদ্যালয়- “রন্টি’স মিউজিক কিচেন”। এই প্রতিষ্ঠানে শেখানো হবে ক্ল্যাসিক্যাল, নজরুল, রবীন্দ্র, দেশাত্মবোধক, আধুনিক ও লোকসংগীতসহ নানা ধারার গান। বিদ্যালয়টিতে থাকবে বিশেষ ভয়েস ট্রেনিং কোর্স, পাশাপাশি অনলাইন ও অফলাইন -উভয় মাধ্যমে শেখার সুযোগ। সবচেয়ে প্রশংসনীয় দিক হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য থাকবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সঙ্গীত শেখার ব্যবস্থা, যা তাঁর মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক অনন্য উদাহরণ।
তিনি ইতিমধ্যেই বহু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছেন, যেমন – ‘শুভ বিবাহ’, ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’, ‘কার্তুজ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘অন্তরনৃগ’, এবং ‘বস্তির ছেলে কোটিপতি’। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দেখো আমারি খুশিতে’, ‘হ্যালো বৃষ্টি’, ‘হৃদয় যেখানে’, ‘রং’, ‘উড়ালিয়া’, ‘ডাকাতি’, ‘বাফর বাড়ি’, ‘একেলা’ ও ‘অভিমানি’- যা প্রতিবারই শ্রোতাদের নতুনভাবে মুগ্ধ করেছে।
চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া রন্টি দাশ ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতচর্চায় অনুরাগী। পারিবারিক পরিবেশেই তাঁর সঙ্গীতযাত্রার সূচনা। বাবা সুবল কান্তি দাস একজন ব্যবসায়ী এবং মা লাকী রানী দাস বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। শৈশবেই সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে নিয়ে আসে আলোচনায়। শিশু সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’ তে ২০০২ সালে বিজয়ী হওয়ার পাশাপাশি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা ছয়টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন- যা তাঁর অসাধারণ প্রতিভার প্রমাণ বহন করে।
ব্যক্তিগত জীবনে রন্টি দাশ কন্যা আরশি ও পুত্র শাহবাজের স্নেহময়ী জননী, স্বামী সাঈদ রহমান জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘নোঙর’-এর গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। বর্তমানে জনপ্রিয় এই শিল্পী স্বপরিবারে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও উজ্জ্বল করে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সুর, স্বপ্ন ও সাফল্যের এক অনন্য যাত্রা

রন্টি দাশ : নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা করছেন ‘রন্টি’স মিউজিক কিচেন’

প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

আশরাফুল হাবিব মিহির: বাংলাদেশের এই প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী রন্টি দাশ তাঁর সুরেলা কণ্ঠ, আবেগময় গায়কি ও মুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০০৬ সালের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করা এই শিল্পী দেশের আধুনিক ও প্লেব্যাক সংগীতের জগতে এক উজ্জ্বল নাম।
২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘দেখো আমারি খুশিতে’ গানটি এবং ২০১৭ সালের একক গান ‘ডাকাতি’ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কেবল গান প্রকাশেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি, দেশ-বিদেশের কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সংগীতকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছেন এক নতুন উচ্চতায়। তাঁর পরিবেশনায় বাংলা গান পেয়েছে নতুন প্রাণ, নতুন মাত্রা।
গানই তাঁর জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। রন্টি বলেন, “আমি গানেই বাঁচতে চাই, গানই আমার পরিচয়।” এই দৃঢ় বিশ্বাসকে সঙ্গী করেই তিনি আধুনিক, ফোক ও চলচ্চিত্রের গান – প্রতিটি ধারাতেই রেখেছেন অনন্য ছাপ। মাটির গন্ধে মেশানো তাঁর সুর ও আবেগপূর্ণ গায়কি শ্রোতাদের কাছে তৈরি করেছে এক বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা।
রন্টি দাশ নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন একটি ব্যতিক্রমী সঙ্গীত বিদ্যালয়- “রন্টি’স মিউজিক কিচেন”। এই প্রতিষ্ঠানে শেখানো হবে ক্ল্যাসিক্যাল, নজরুল, রবীন্দ্র, দেশাত্মবোধক, আধুনিক ও লোকসংগীতসহ নানা ধারার গান। বিদ্যালয়টিতে থাকবে বিশেষ ভয়েস ট্রেনিং কোর্স, পাশাপাশি অনলাইন ও অফলাইন -উভয় মাধ্যমে শেখার সুযোগ। সবচেয়ে প্রশংসনীয় দিক হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য থাকবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সঙ্গীত শেখার ব্যবস্থা, যা তাঁর মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক অনন্য উদাহরণ।
তিনি ইতিমধ্যেই বহু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছেন, যেমন – ‘শুভ বিবাহ’, ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’, ‘কার্তুজ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘অন্তরনৃগ’, এবং ‘বস্তির ছেলে কোটিপতি’। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দেখো আমারি খুশিতে’, ‘হ্যালো বৃষ্টি’, ‘হৃদয় যেখানে’, ‘রং’, ‘উড়ালিয়া’, ‘ডাকাতি’, ‘বাফর বাড়ি’, ‘একেলা’ ও ‘অভিমানি’- যা প্রতিবারই শ্রোতাদের নতুনভাবে মুগ্ধ করেছে।
চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া রন্টি দাশ ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতচর্চায় অনুরাগী। পারিবারিক পরিবেশেই তাঁর সঙ্গীতযাত্রার সূচনা। বাবা সুবল কান্তি দাস একজন ব্যবসায়ী এবং মা লাকী রানী দাস বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। শৈশবেই সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে নিয়ে আসে আলোচনায়। শিশু সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’ তে ২০০২ সালে বিজয়ী হওয়ার পাশাপাশি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা ছয়টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন- যা তাঁর অসাধারণ প্রতিভার প্রমাণ বহন করে।
ব্যক্তিগত জীবনে রন্টি দাশ কন্যা আরশি ও পুত্র শাহবাজের স্নেহময়ী জননী, স্বামী সাঈদ রহমান জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘নোঙর’-এর গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। বর্তমানে জনপ্রিয় এই শিল্পী স্বপরিবারে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও উজ্জ্বল করে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।