যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে যোগ্য নেতৃত্ব সময়ের দাবী। বিগত ২০ বছর ধরে দেখছি দলে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নেই ডায়নামিক লীডারশীপ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ডায়নামিক লীডারশীপের বড় প্রয়োজন। সেই সাথে দরকার ঐক্য। তিনি বলেন, দলের নেতৃত্ব দলবাজীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই অবস্থা থেকে সবাইকে বেড়িয়ে এসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে-প্রবাসে দলকে শক্তিশালী করতে হবে।
ইউএনএ’র সাথে আলাপকালে সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয় দলের জন্য, দেশের মানুষের জন্যই রাজনীতি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের জয়েন্ট কনভেনর। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউএসএ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইউএস জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্্ক’র দুই দুই সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছর লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত ফোবানা সম্মেলন’২০১৪ এর কো-কনভেনর ছিলেন সামসুল ইসলাম মজনু।
১৯৯০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তিনি। প্রবাসী জীবনে বিএনপির রাজনীতির সাথে ওতাপ্রতোভাবে জড়িত সামসুল ইসলাম মজনু। রাজনীতি ছাড়াও ব্যবসার পাশাপাশি টি মোবাইল কোম্পানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসালটেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। মানব সেবায় অবদান রাখার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন বেগম রউফ ফাউন্ডেশন (বিআর ফাউন্ডেশন)। তিনি এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জনসেবা আর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমার রাজনীতির লক্ষ্য। আর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চাই নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র রাজনীতি করছি। দল, দলের নেতা-কর্মী চাইলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, দলের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যকার বিরোধ-বিভক্তি দূর হবে। এজন্য দরকার সকলের মধ্যকার ঐক্য আর স্বম্প্রীতি। সবার মনে রাখা উচিৎ ‘ঐক্যের কোন বিকল্প নেই’। তিনি বলেন, তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি নেই। কমিটি ছাড়া দল চলবে কি করে? তাছাড়া কমিটি না থাকায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি বাড়ছে। এটি কাম্য হতে পারে না। কেন্দ্রের দায়িত্ব হবে দলীয় চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে পরামর্শ করে অনতিবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া।