নিউইয়র্ক ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটির ব্যাপারে তারেক রহমানের ‘নেগেটিভ’ মনোভাব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৬ বার পঠিত

হককথা রিপোর্ট: এক যুগেরও বেশী হলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি নেই। অথচ এই কমিটির দাবীতে প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীরা সোচ্চার। তাদের কোন দাবী-দাওয়াই কেন্দ্রের নজার কাড়তে পাড়ছে। ফলে বাড়ছে দলীয়, বিভক্তি, পাল্টাপাল্টি গ্রæপং আর হতাশা। আবার কোন কোন নেতা কেন্দ্রের সুনজরে থাকায় তারাও কৌশল অবলম্বন করেই নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির রাজনীতি করছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি’র গঠনতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র রাজ্য সহ বিদেশে দলের একাধিক কমিটি থাকার কথা এবং এই কমিটিগুলো বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ের মর্যাদা সম্পন্ন। কিন্তু দলের হাই কমান্ড যুক্তরাজ্যের কমিটি মেনে নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের কমিটির ব্যাপারে ‘বিমাতা সূলভ’ আচরণ করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একধিক নেতা জানিয়েছেন। এসব কারনে অনেকেই দলের সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিষ্কৃয় হয়ে পড়ছেন।
সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের ৬ নেতা যুক্তরাজ্য সফর করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করার পর অতি সম্প্রতি নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেট কমিটির শীর্ষ নেতারা লন্ডন সফর করেন এবং সেখানে তারেক রহমানের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। ঐ সভা সূত্র জানায়, তারেক রহমানের সাথে বৈঠককালে যুক্তরাষ্ট্র বিএপি’র কমিটি গঠনের দাবী উঠে আসলেও তিনি কার্যত তা ‘ইগনোর’ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটির ব্যাপারে তারেক রহমানের ‘নেগেটিভ’ মনোভাব- এমন আভাস দিয়ে সূত্রগুলো জানায়, তারেক রহমান মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি ষ্টেট রয়েছে। এসব ষ্টেটগুলো একেকটা বাংলাদেশের সমান বা বড়। তাই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি না করে ষ্টেট কমিটিগুলো দিয়েই প্রকাসের রাজনীতি তরাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে বিশ্বের রাজধানী হিসেবে খ্যাত আর জাতিসংঘ ভবন নিউইয়র্কে অবস্থান করায় নিউইয়র্ক ষ্টেট কমিটি আর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি হওয়ায় ওয়াশিংটন ডিসি কমিটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ভাবা হচ্ছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতা এই প্রতিনিধিকে জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকে রহমানকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের কতিপয় নেতা তার সানিধ্যের সুযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কমিটি নিয়ে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’-এর চেষ্টা করছেন। তারা মনে করেন এবং প্রশ্ন তুলে বলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কমিটি থাকলে যুক্তরাষ্ট্র কমিটি থাকতে বাধা কোথায়?
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটির ব্যাপারে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ব্বিনেপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্ল’র দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা জনাব তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে সাক্ষাৎকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি গঠনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। এখন আমরা তার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান আমাদের নেতা। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি সময়ের দাবী। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কমিটি থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটিও হবে- এটাই আমরা বিশ্বাস করি এবং মনেপ্রাণে চাই।
এদিকে দলের গঠনতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি থাকা এবয় এই কমিটি দেশের জেলা পর্যায়ের কমিটির মর্যাদা পাওয়া থাকলেও ষ্টট কমিটি দিয়েই প্রবাসের রাজনীতির সিদ্ধান্ত হলে তাহলে দলের গঠনতন্ত্র লংঘন হবে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মূলধারার রাজনীতিক আকতার হোসেন বাদল। তিনি বলেন, আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছি, দলের জন্য শ্রম, সময় মেধা দিয়েছি তারা আজ বঞ্চিত হচ্ছি। দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সকল নেতা-কর্মীর ত্যাগ, অবদান রয়েছে। আর দীর্ঘ এক যুগের দলের কমিটি না হওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভেদ-বিভক্তি বাড়ছে। তিনি বলেন, আমরা দলের ঐক্য চাই, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শকিক্তশালী করতে চাই। আর দেশের এই ক্রান্তিকালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি সময়ের দাবী। তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান-কে কে বা কারা ভুল বুজাচ্ছেন। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি সবকিছু জানেন, বুঝেন এবং সময় মতোই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি-কে শক্তিশালী করতে চাই।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটির ব্যাপারে তারেক রহমানের ‘নেগেটিভ’ মনোভাব

প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

হককথা রিপোর্ট: এক যুগেরও বেশী হলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি নেই। অথচ এই কমিটির দাবীতে প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীরা সোচ্চার। তাদের কোন দাবী-দাওয়াই কেন্দ্রের নজার কাড়তে পাড়ছে। ফলে বাড়ছে দলীয়, বিভক্তি, পাল্টাপাল্টি গ্রæপং আর হতাশা। আবার কোন কোন নেতা কেন্দ্রের সুনজরে থাকায় তারাও কৌশল অবলম্বন করেই নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির রাজনীতি করছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি’র গঠনতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র রাজ্য সহ বিদেশে দলের একাধিক কমিটি থাকার কথা এবং এই কমিটিগুলো বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ের মর্যাদা সম্পন্ন। কিন্তু দলের হাই কমান্ড যুক্তরাজ্যের কমিটি মেনে নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের কমিটির ব্যাপারে ‘বিমাতা সূলভ’ আচরণ করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একধিক নেতা জানিয়েছেন। এসব কারনে অনেকেই দলের সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিষ্কৃয় হয়ে পড়ছেন।
সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের ৬ নেতা যুক্তরাজ্য সফর করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করার পর অতি সম্প্রতি নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেট কমিটির শীর্ষ নেতারা লন্ডন সফর করেন এবং সেখানে তারেক রহমানের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। ঐ সভা সূত্র জানায়, তারেক রহমানের সাথে বৈঠককালে যুক্তরাষ্ট্র বিএপি’র কমিটি গঠনের দাবী উঠে আসলেও তিনি কার্যত তা ‘ইগনোর’ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটির ব্যাপারে তারেক রহমানের ‘নেগেটিভ’ মনোভাব- এমন আভাস দিয়ে সূত্রগুলো জানায়, তারেক রহমান মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি ষ্টেট রয়েছে। এসব ষ্টেটগুলো একেকটা বাংলাদেশের সমান বা বড়। তাই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি না করে ষ্টেট কমিটিগুলো দিয়েই প্রকাসের রাজনীতি তরাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে বিশ্বের রাজধানী হিসেবে খ্যাত আর জাতিসংঘ ভবন নিউইয়র্কে অবস্থান করায় নিউইয়র্ক ষ্টেট কমিটি আর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি হওয়ায় ওয়াশিংটন ডিসি কমিটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ভাবা হচ্ছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতা এই প্রতিনিধিকে জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকে রহমানকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের কতিপয় নেতা তার সানিধ্যের সুযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কমিটি নিয়ে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’-এর চেষ্টা করছেন। তারা মনে করেন এবং প্রশ্ন তুলে বলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কমিটি থাকলে যুক্তরাষ্ট্র কমিটি থাকতে বাধা কোথায়?
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটির ব্যাপারে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ব্বিনেপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্ল’র দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা জনাব তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে সাক্ষাৎকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি গঠনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। এখন আমরা তার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান আমাদের নেতা। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি সময়ের দাবী। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কমিটি থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটিও হবে- এটাই আমরা বিশ্বাস করি এবং মনেপ্রাণে চাই।
এদিকে দলের গঠনতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি থাকা এবয় এই কমিটি দেশের জেলা পর্যায়ের কমিটির মর্যাদা পাওয়া থাকলেও ষ্টট কমিটি দিয়েই প্রবাসের রাজনীতির সিদ্ধান্ত হলে তাহলে দলের গঠনতন্ত্র লংঘন হবে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মূলধারার রাজনীতিক আকতার হোসেন বাদল। তিনি বলেন, আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছি, দলের জন্য শ্রম, সময় মেধা দিয়েছি তারা আজ বঞ্চিত হচ্ছি। দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সকল নেতা-কর্মীর ত্যাগ, অবদান রয়েছে। আর দীর্ঘ এক যুগের দলের কমিটি না হওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভেদ-বিভক্তি বাড়ছে। তিনি বলেন, আমরা দলের ঐক্য চাই, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শকিক্তশালী করতে চাই। আর দেশের এই ক্রান্তিকালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি সময়ের দাবী। তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান-কে কে বা কারা ভুল বুজাচ্ছেন। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি সবকিছু জানেন, বুঝেন এবং সময় মতোই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি-কে শক্তিশালী করতে চাই।