যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের ১৭ নেতার যৌথ বিবৃতি

- প্রকাশের সময় : ১২:৩২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭
- / ৬৬০ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের সভায় সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ১৭জন নেতা যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিত তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চ দখল করে বক্তৃতা শুরু করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিনিয়র সম্পাদকবৃন্দ দাড়িয়ে প্রশ্ন করতে চাইলে সভাপতি কর্তৃক অসাংগঠনিক ও স্বৈরাচারী কায়দায় হুমকী ধমকী ও নেতা কর্মীদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করার এক পর্যায়ে তার ভাড়াটে কতিপয় বহিরাগতদের দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে এবং পুলিশ ডেকে সকলকে বের করে দেয় এবং নিজে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করার পর থেকে সিদ্দিকুর রহমান বছরের সিংহভাগ সময় বাংলাদেশে অবস্থান করে ব্যবসা বানিজ্য তদবির লবিং ও নিজাম চৌধুরীর সাথে ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ আজ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে একটি ভঙ্গ ও অকার্যকর সংগঠনে পরিনত করার ফল আজকের এই বিশৃঙ্খলা। উল্লেখ্য, ড. সিদ্দিকুর রহমান প্রটোকল ভেঙ্গে জাতিয় সংসদের হুইপ মোহাম্মদ সাহবউদ্দিন এমপিকে প্রধান অতিথি না করে সিদ্দিকুর রহমানের ভায়রা মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এমপিকে প্রধান অতিথি করে বিজ্ঞাপন দেয়ায় হুইফ অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি। নিজাম-সিদ্দিকের ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ ও স্বার্থ হাসিলের প্রতিযোগীতায় কথায় কথায় নেতা-কর্মীদেরকে বহিঃস্কার, পদন্নোতি, পদায়ন ও ভারপ্রাপ্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তীকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশ-বিদেশে হাস্যস্কর করে তুলেছে। শুধু তাই নয় এই নিজাম চৌধুরী ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বরের কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং করার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নেতাকে ইন্দন দিয়েছিল দলকে দুই খন্ড করার জন্য কিন্তু জননেত্রীর শেখ হাসিনার নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করে দলকে ঐকবধ্য রাখে আজ সেই নিজাম চৌধুরীর প্ররোচনায় দলকে আগের সেই বিশৃঙ্খলায় নিয়ে যাচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা ও দলের অভ্যন্তরে গ্রুপিং ও কোন্দলের জন্যে সিদ্দিকুর রহমানকে নেতা-কর্মীদের কাছে জবাবদীহিতা করতে হবে।
সাম্প্রতিককালে সিদ্দিকুর রহমান হাইকমান্ড ও কেন্দ্রের উদ্বৃতি দিয়ে একের পর এক দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করে ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার উদ্দেশে ৭ বছর মেয়াদোত্ত্বীর্ণ কমিটির সম্মেলন দিতে অস্বীকার করে যাচ্ছে ও কেন্দ্রের অনুমোদন বহিঃস্কার করে চলেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে সিদ্দিকুর রহমান মিথ্যাচার করে দুইজন সম্পাদককে পুলিশের কাছে অভিযোগদেন, পুলিশ তা আমলে না নিয়ে সকলকে স্থান ত্যাগ করতে বলে। এঘটনায় নেতাকর্মীরা সিদ্দিকুর রহমানের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্দু হন এবং তার যথাযথ জবাব দেয়া হবে বলে প্রতিজ্ঞতাবন্ধ হন।
বিবৃতিতে তারা ভবিষ্যতে দলের এই বিভক্তির জন্য সিদ্দিকুর রহমান ও নিজাম চৌধুরী দায়-দায়িত্ব নিতে হবে এবং সকল বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অচিরেই জানানো হবে বলে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীবৃন্দ ঐক্যমত পোষক করেন।
বিবৃতি প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ হলেন: আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শাহ মোহাম্মদ বখতিয়ার আলী, দপ্তর সম্পাদক প্রকৌঃ মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশাহ ও চন্দন দত্ত, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, কার্য নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে হিন্দাল কাদির বাপ্পা, শরীফ কামরুল আলম হীরা, হোসেন সোহেল রানা, রুহেল চৌধুরী, কার্য নির্বাহী সদস্য, কাজী আজিজুল হক খোকন, জুয়েল আহমদ, কার্য নির্বাহী সদস্য, এম এ আলম বিপ্লব, ইলিয়ার রহমান, মোহাম্মদ লিটু গাজী, মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা আব্দুর রহিম।