নিউইয়র্ক ০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীরাও লুটপাটের শিকার হচ্ছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
  • / ১৩৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রেও মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে একের পর এক শহরে কারফিউ জারি করা হচ্ছে। ফলে আমেরিকানদের সাথে অন্যান্য দেশের অভিবাসী নাগরিকরাও হামলার শিকার হচ্ছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে বাংলাদেশীদের কয়েকশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের পর সব মালামাল লুট করা হয়। এরমধ্যে এক বাংলাদেশীর দুটি স্বর্ণের দোকানসহ মোট ৩৫ দোকান লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি বাংলাদেশীদের রেস্টুরেন্ট জ্বালিয়ে দেওয়ার পর একই পরিস্থিতির অবতারণা হয়েছে ফিলাডেলফিয়া সিটিতেও।
ফিলাডেলফিয়ার ৪০৮৯, লেনক্যাস্টার এভিনিউর এবং ১১৩ ওয়েস্ট সেলটন এভিনিউতে অবস্থিত ‘মমি জুয়েলার্স অ্যান্ড পারফিউম ইনক’ নামক প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মালিক কামরুল ইসলাম জানান, রোববার (৩১ মে) রাতে কারফিউ চলাকালে তালাবদ্ধ দোকান ভেঙে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়েছে। দুই দোকানে কমপক্ষে ৬ লাখ ডলারের মালামাল ছিল বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের পুরনো দোকান দুটি ছিল তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন।
শহরটির আপার ডারবি টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক সোমবার (০১ জুন) রাতে জানান, সিটির বড় বড় কয়েকটি চেইনস্টোরসহ কয়েকশত দোকান পাটে ভাংচুর ও লুটতরাজ হয়েছে। আমরা সবগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিপূরণ আদায়ের কৌশল উদ্ভাবনের জন্যে শীঘ্রই সিটি অব ফিলাডেলফিয়া এবং আপার ডারবি টাউনশিপের যৌথ সভা হবে। সিটিতে কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্যে বহাল থাকবে। লুটতরাজে লিপ্ত দুর্বৃত্তদের আচরণে সবাই ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ।
এদিকে, বিক্ষোভ দমনে নির্দেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (০২ মে) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের সামনে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমার প্রথম এবং সর্বোচ্চ দায়িত্ব হ’ল আমাদের মহান দেশ এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের দেশের আইন বহাল রাখার শপথ নিয়েছিলাম এবং আমি এটাই করব।
এদিকে সাংবাদিক ফরিদ আলম মঙ্গলবার (০২ জুন) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘জ্যামাইকায় ডাকাতি শুরু হয়েছে। গতরাত ১টার দিকে হিলসাইড এভিনিউর ১৭৯ ও ১৭৮ স্ট্রীটের দুটি স্টোর ভেঙ্গে ডাকাতরা সবকিছু নিয়ে গেছে। হিলসাইডের টি-মোবাইল এর পাশেই আমার স্টোর। এই ঘটনার সময় শহরজুড়ে কারফিউ ছিলো। বাংলাদেশী সবাই সাবধান ও সতর্ক থাকবেন। নিজেদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখার চেষ্টা করুন।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীরাও লুটপাটের শিকার হচ্ছে

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রেও মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে একের পর এক শহরে কারফিউ জারি করা হচ্ছে। ফলে আমেরিকানদের সাথে অন্যান্য দেশের অভিবাসী নাগরিকরাও হামলার শিকার হচ্ছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে বাংলাদেশীদের কয়েকশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের পর সব মালামাল লুট করা হয়। এরমধ্যে এক বাংলাদেশীর দুটি স্বর্ণের দোকানসহ মোট ৩৫ দোকান লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি বাংলাদেশীদের রেস্টুরেন্ট জ্বালিয়ে দেওয়ার পর একই পরিস্থিতির অবতারণা হয়েছে ফিলাডেলফিয়া সিটিতেও।
ফিলাডেলফিয়ার ৪০৮৯, লেনক্যাস্টার এভিনিউর এবং ১১৩ ওয়েস্ট সেলটন এভিনিউতে অবস্থিত ‘মমি জুয়েলার্স অ্যান্ড পারফিউম ইনক’ নামক প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মালিক কামরুল ইসলাম জানান, রোববার (৩১ মে) রাতে কারফিউ চলাকালে তালাবদ্ধ দোকান ভেঙে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়েছে। দুই দোকানে কমপক্ষে ৬ লাখ ডলারের মালামাল ছিল বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের পুরনো দোকান দুটি ছিল তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন।
শহরটির আপার ডারবি টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক সোমবার (০১ জুন) রাতে জানান, সিটির বড় বড় কয়েকটি চেইনস্টোরসহ কয়েকশত দোকান পাটে ভাংচুর ও লুটতরাজ হয়েছে। আমরা সবগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিপূরণ আদায়ের কৌশল উদ্ভাবনের জন্যে শীঘ্রই সিটি অব ফিলাডেলফিয়া এবং আপার ডারবি টাউনশিপের যৌথ সভা হবে। সিটিতে কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্যে বহাল থাকবে। লুটতরাজে লিপ্ত দুর্বৃত্তদের আচরণে সবাই ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ।
এদিকে, বিক্ষোভ দমনে নির্দেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (০২ মে) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের সামনে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমার প্রথম এবং সর্বোচ্চ দায়িত্ব হ’ল আমাদের মহান দেশ এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের দেশের আইন বহাল রাখার শপথ নিয়েছিলাম এবং আমি এটাই করব।
এদিকে সাংবাদিক ফরিদ আলম মঙ্গলবার (০২ জুন) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘জ্যামাইকায় ডাকাতি শুরু হয়েছে। গতরাত ১টার দিকে হিলসাইড এভিনিউর ১৭৯ ও ১৭৮ স্ট্রীটের দুটি স্টোর ভেঙ্গে ডাকাতরা সবকিছু নিয়ে গেছে। হিলসাইডের টি-মোবাইল এর পাশেই আমার স্টোর। এই ঘটনার সময় শহরজুড়ে কারফিউ ছিলো। বাংলাদেশী সবাই সাবধান ও সতর্ক থাকবেন। নিজেদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখার চেষ্টা করুন।’