নিউইয়র্ক ০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মুসলিম কমিউনিটির ঘরে ঘরে আল কোরআন, বিশ্বনবীর কর্মজীবন আহলে বায়তের কথা তুলে ধরার আহ্বান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ৬২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : মুসলিম কমিউনিটির ঘরে ঘরে পবিত্র আল কোরআন, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর কর্মজীবন আর আহলে বায়াতের কথা তুলে ধরার আহ্বানের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো আহলে বায়াত সম্মেলন। সম্মেলনে বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা বলেন, বিশ্বের মুসলিম কমিউনিটি চরম সঙ্কটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। মুসলমানদের মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তির জন্য অন্যেরা মুসলমানদের ওপর খবরদারী করছে, দেশে দেশে মুসলমানরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, আসমানী কিতাব আল কোরআনকে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এজন্য মুসলিম কমিউনিটির ঐক্য কামনার পাশাপাশি আহলে বায়াতের উপর বিশ্বাস রেখে আল কোরআনকে অন্তরে লালন-পালন ও চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। খবর ইউএনএ’র।

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী, রাজনীতিক ও জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবীদ মোহাম্মদ পীরজাদা আল্লামা শফিকুল ইসলাম। বিশিষ্ট আলেম ড. সৈয়দ অনসারুল করিম আল আজহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন পরিচালনা করেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট মাওলানা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ আতিকুর রহমান।

সম্মেলন প্রবাসের বিশিষ্ট আলেম-ওলামাদের মধ্যে মওলানা ফায়েক উদ্দিন, মওলানা জোবায়ের আর রশিদ, মুফতি আব্দুল মালেক, ইসলামিক টিভি’র সিইও মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আলহাজ আব্দুল ওহিদ টুপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পার্কচেষ্টার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব জুবাইর রশীদ, মওলানা মাহমুদুর রহমান, এস্টোরিয়ার আল আমীন মসজিদ সেন্টার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। সবশেষে মিলাদুন্নবী পাঠ ও বিশেষ দোয়ার পরিচালনা করেন মোহাম্মদ পীরজাদা আল্লামা শফিকুল ইসলাম।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আল কোরআন ও হাদিসে আহলে বায়াতকে (নবী পরিবারকে) শক্ত করে ধরে রাখবার এবং তাদেরকে অনুসরন করবার নির্দেশ থাকলেও আমরা তা পালন করছি না। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য দুটি ভারি বস্তু রেখে যাচ্ছি যাতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হয়ে যাও। প্রথমটি হলো আল কোরআন এবং দ্বিতীয়টি হলো আমার আহলে বায়াত। এই দুটি বস্তু কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না।’-সহি মুসলিম। বক্তারা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আহলে বায়াতকে শক্ত করে ধরে রাখবার নির্দেশনা থাকলেও তা পালন না করে তাদেরকে বরং হত্যা করা হয়েছে। হযরত আলী, ইমাম হাসান এবং ইমাম হোসেইন (আঃ)-কে মুসলমান নামধারীরাই হত্যা করেছে।

আহলে বায়াত তথা নবী পরিবারারকে হত্যা করে মুয়াবিয়া-ইয়াজিদ-মারওয়ান গংরা জোর করে ক্ষমতা দখল করে। সেই উমাইেযা রাজদরবারে দরবারী আলেম ওলামা দিয়ে আহলে বায়াত বিরোধী প্রচারনা চালানো হয়। এই দরবারী আলেম ওলামা আহলে বায়াতের শত্রুদের পক্ষে অনেক ভুয়া হাদিস বর্ননা করে এবং আহলে বায়াতের পক্ষের হাদিসগুলোকে অবজ্ঞা করে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো মাদরাসাগুলোতে পড়ানো হয়। নবী করীম (সাঃ) আরো বলেছেন, ‘আমি যার মওলা আলীও তার মওলা।’-সহি মুসলিম। নবী করীম (সাঃ) আরো বলেছেন, ‘আমি যদি জ্ঞানের শহর হই তবে সেই শহরের দরজা হলো আলী।’ তাই সত্যিকার জ্ঞান অর্জন করতে হলে মওলা আলীর মাধ্যমেই পেতে হবে। শুধু তাই নয়, আল্লাহ আহলে বায়াতদের-কে বেহেসতের সরদার বানিয়েছেন। অথচ সেই বেহেসতের সরদারদের কেই হত্যা করে তারা আবার বেহেসতে যেতে চায়।

সম্মেলনে গিয়াস আহমেদ তার বক্তব্যে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, বর্তমান সমাজের অনেক বিখ্যাত আলেম-ওলামাগনও আহলে বায়াতের হাদিসগুলো জানেন না। আবার যারা জানেন তারা শিয়া তকমা গায়ে লাগবে বলে ভয়ে প্রচার করেন না। বর্তমানে মাদরাসাগুলোতেও আহলে বায়াতের হাদিস পড়ানো হয় না। বরং আহলে বায়াতের শত্রুদের হাদিস বেশী করে পড়ানো হয়। গিয়াস আহমেদ বলেন, পৃথিবীতে কোটি কোটি আলেম ওলামা হাফেজ মুফতি আল্লামা এবং মওলানা থাকলেও মুসলমনাদের উপর আল্লাহর রহমত নেই। আগের দিনে আহলে বায়াতের কদর ছিলো, সম্মান ছিলো, মিলাদ কেয়াম দরুদ ছিলো, ওলি-আওলিয়াদেও সম্মান ছিল।

ফলে মুসলমনাদের উপর আল্লাহর রহমত ছিল। অর্ধেক দুনিয়া মুসলমানরা দাপটের সাথে শাসন করেছে। আর এখন গরু খাওয়ার সন্দেহে মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে। কোন বিচার নেই। ইসলামের শত্রুদের আক্রমন এবং নিজেদের মধ্যে গৃহযুদদ্ধে আজ আরব বিশ্ব ধংসযজ্ঞে পরিনত হয়েছে। পেলেষ্টাইনে প্রতিদিন মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে। সেই দিকে আলেম-ওলামা এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কোন প্রতিবাদ নেই। আলেম-ওলামাগন নিজেরদের মধ্যেই বিভিন্ন ফেৎনা ফেসাদে লিপ্ত।

তিনি বলেন, ওহাবী ফেৎনা আজ চরম আকার ধারন করেছে। গিয়াস আহমেদ বলেন, আল্লাহ তায়ালার রহমত পেতে হলে কোরআন এবং আহলে বায়াতকে শক্ত করে ধরে রেখে বিভিন্ন ফেৎনা-ফেসাদ থেকে দূরে থেকে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতি বছর আহলে বায়াতের সম্মেলন হবে বলে গিয়াস আহমেদ ঘোষণা দেন। এজন্য তিনি সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রতিও দেন।

সম্মেলনে কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টিভি’র সিইও আবু তাহের, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, সাপ্তাহিক হককথা সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক নবযুগ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, ইউএসএঅনলাইন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, আহলে বায়াত মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি সৈয়দ আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক শওকাত আনোয়ার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মুসলিম কমিউনিটির ঘরে ঘরে আল কোরআন, বিশ্বনবীর কর্মজীবন আহলে বায়তের কথা তুলে ধরার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ১০:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

হককথা ডেস্ক : মুসলিম কমিউনিটির ঘরে ঘরে পবিত্র আল কোরআন, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর কর্মজীবন আর আহলে বায়াতের কথা তুলে ধরার আহ্বানের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো আহলে বায়াত সম্মেলন। সম্মেলনে বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা বলেন, বিশ্বের মুসলিম কমিউনিটি চরম সঙ্কটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। মুসলমানদের মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তির জন্য অন্যেরা মুসলমানদের ওপর খবরদারী করছে, দেশে দেশে মুসলমানরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, আসমানী কিতাব আল কোরআনকে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এজন্য মুসলিম কমিউনিটির ঐক্য কামনার পাশাপাশি আহলে বায়াতের উপর বিশ্বাস রেখে আল কোরআনকে অন্তরে লালন-পালন ও চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। খবর ইউএনএ’র।

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী, রাজনীতিক ও জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবীদ মোহাম্মদ পীরজাদা আল্লামা শফিকুল ইসলাম। বিশিষ্ট আলেম ড. সৈয়দ অনসারুল করিম আল আজহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন পরিচালনা করেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট মাওলানা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ আতিকুর রহমান।

সম্মেলন প্রবাসের বিশিষ্ট আলেম-ওলামাদের মধ্যে মওলানা ফায়েক উদ্দিন, মওলানা জোবায়ের আর রশিদ, মুফতি আব্দুল মালেক, ইসলামিক টিভি’র সিইও মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আলহাজ আব্দুল ওহিদ টুপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পার্কচেষ্টার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব জুবাইর রশীদ, মওলানা মাহমুদুর রহমান, এস্টোরিয়ার আল আমীন মসজিদ সেন্টার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। সবশেষে মিলাদুন্নবী পাঠ ও বিশেষ দোয়ার পরিচালনা করেন মোহাম্মদ পীরজাদা আল্লামা শফিকুল ইসলাম।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আল কোরআন ও হাদিসে আহলে বায়াতকে (নবী পরিবারকে) শক্ত করে ধরে রাখবার এবং তাদেরকে অনুসরন করবার নির্দেশ থাকলেও আমরা তা পালন করছি না। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য দুটি ভারি বস্তু রেখে যাচ্ছি যাতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হয়ে যাও। প্রথমটি হলো আল কোরআন এবং দ্বিতীয়টি হলো আমার আহলে বায়াত। এই দুটি বস্তু কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না।’-সহি মুসলিম। বক্তারা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আহলে বায়াতকে শক্ত করে ধরে রাখবার নির্দেশনা থাকলেও তা পালন না করে তাদেরকে বরং হত্যা করা হয়েছে। হযরত আলী, ইমাম হাসান এবং ইমাম হোসেইন (আঃ)-কে মুসলমান নামধারীরাই হত্যা করেছে।

আহলে বায়াত তথা নবী পরিবারারকে হত্যা করে মুয়াবিয়া-ইয়াজিদ-মারওয়ান গংরা জোর করে ক্ষমতা দখল করে। সেই উমাইেযা রাজদরবারে দরবারী আলেম ওলামা দিয়ে আহলে বায়াত বিরোধী প্রচারনা চালানো হয়। এই দরবারী আলেম ওলামা আহলে বায়াতের শত্রুদের পক্ষে অনেক ভুয়া হাদিস বর্ননা করে এবং আহলে বায়াতের পক্ষের হাদিসগুলোকে অবজ্ঞা করে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো মাদরাসাগুলোতে পড়ানো হয়। নবী করীম (সাঃ) আরো বলেছেন, ‘আমি যার মওলা আলীও তার মওলা।’-সহি মুসলিম। নবী করীম (সাঃ) আরো বলেছেন, ‘আমি যদি জ্ঞানের শহর হই তবে সেই শহরের দরজা হলো আলী।’ তাই সত্যিকার জ্ঞান অর্জন করতে হলে মওলা আলীর মাধ্যমেই পেতে হবে। শুধু তাই নয়, আল্লাহ আহলে বায়াতদের-কে বেহেসতের সরদার বানিয়েছেন। অথচ সেই বেহেসতের সরদারদের কেই হত্যা করে তারা আবার বেহেসতে যেতে চায়।

সম্মেলনে গিয়াস আহমেদ তার বক্তব্যে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, বর্তমান সমাজের অনেক বিখ্যাত আলেম-ওলামাগনও আহলে বায়াতের হাদিসগুলো জানেন না। আবার যারা জানেন তারা শিয়া তকমা গায়ে লাগবে বলে ভয়ে প্রচার করেন না। বর্তমানে মাদরাসাগুলোতেও আহলে বায়াতের হাদিস পড়ানো হয় না। বরং আহলে বায়াতের শত্রুদের হাদিস বেশী করে পড়ানো হয়। গিয়াস আহমেদ বলেন, পৃথিবীতে কোটি কোটি আলেম ওলামা হাফেজ মুফতি আল্লামা এবং মওলানা থাকলেও মুসলমনাদের উপর আল্লাহর রহমত নেই। আগের দিনে আহলে বায়াতের কদর ছিলো, সম্মান ছিলো, মিলাদ কেয়াম দরুদ ছিলো, ওলি-আওলিয়াদেও সম্মান ছিল।

ফলে মুসলমনাদের উপর আল্লাহর রহমত ছিল। অর্ধেক দুনিয়া মুসলমানরা দাপটের সাথে শাসন করেছে। আর এখন গরু খাওয়ার সন্দেহে মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে। কোন বিচার নেই। ইসলামের শত্রুদের আক্রমন এবং নিজেদের মধ্যে গৃহযুদদ্ধে আজ আরব বিশ্ব ধংসযজ্ঞে পরিনত হয়েছে। পেলেষ্টাইনে প্রতিদিন মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে। সেই দিকে আলেম-ওলামা এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কোন প্রতিবাদ নেই। আলেম-ওলামাগন নিজেরদের মধ্যেই বিভিন্ন ফেৎনা ফেসাদে লিপ্ত।

তিনি বলেন, ওহাবী ফেৎনা আজ চরম আকার ধারন করেছে। গিয়াস আহমেদ বলেন, আল্লাহ তায়ালার রহমত পেতে হলে কোরআন এবং আহলে বায়াতকে শক্ত করে ধরে রেখে বিভিন্ন ফেৎনা-ফেসাদ থেকে দূরে থেকে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতি বছর আহলে বায়াতের সম্মেলন হবে বলে গিয়াস আহমেদ ঘোষণা দেন। এজন্য তিনি সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রতিও দেন।

সম্মেলনে কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টিভি’র সিইও আবু তাহের, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, সাপ্তাহিক হককথা সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক নবযুগ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, ইউএসএঅনলাইন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, আহলে বায়াত মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি সৈয়দ আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক শওকাত আনোয়ার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।