হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবাসীদের তালিকা বাড়ছে। ফলে দেশের মতো প্রবাসেরও জমে উঠছে সংশ্লিস্ট প্রার্থীদের লবিং। ইতিমধ্যেই কেউ কেউ দেশে গিয়ে নিজ নিজ এলাকায় গণ সংযোগও শুরু করেছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ গিয়ে জাতীয় সংসদে মনোনয়ন পেয়ে ইতিমধ্যেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন ও সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদকমন্ডলীর চেয়ারম্যান এম এম শাহীন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। মনোনয়ন পেতে নিজ নিজ দলের নীতি নির্ধারণী কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতে দেশে গিয়ে নির্বাচনী এলাকায় কেউ কেউ কাজও শুরু করেছেন।
সচেতন প্রবাসীদের অভিযোগ, প্রবাসীদের অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও যথাযথ মূল্যায়ন নেই। তাঁদের স্বার্থে সংসদে কথা বলার কেউ নেই। তাই প্রবাসীদের সম্মানে যোগ্যতা সম্পন্নদের মনোনয়ন দিয়ে দেশের কল্যাণে প্রবাসীদের ভূমিকা রাখার দাবীও অনেকের।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন (সিলেট-১) ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান (বগুড়া-১), ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ (জামালপুর-৪), সাংগঠনিক সম্পাদক (প্রথম) ফারুক আহমদ (সিলেট-৪), দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। এজন্য তারা বিভিন্নভাবে জোর তৎপরতার পাশাপাশি লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট (নড়াইল-১ (কালিয়া), সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ সোলেমান ভূঁইয়া (ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা), সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল (চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরিষদের সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদ (চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), থেকে এবং আরেক আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর সভাপতি আব্দুল মুসাব্বির মৌলভবীবাজার থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে গেছেন এবং এলাকায় অবস্থান করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন গত বছর দেশে গিয়ে এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। আসন সিলেট-১ টি বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে মর্যাদার আসন হিসেবে ধরা হয়। কথিত রয়েছে এই আসনে যেদল জিতে তারাই সরকার গঠন করে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন। এক সময় তাঁর পরিবর্তে সহদর আবদুল মোমেন প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক দলীয় নেতা মাঠে নামছেন।
এছাড়াও ড. সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুস সামাদ আজাদ ও ফারুক আহমেদ একাধিকবার দেশে গিয়ে গণসংযোগ করেছেন এবং কেন্দ্রের সাথে লবিংর অব্যাহত রেখেছেন।
সংশ্লিস্টদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে দল ও দেশের জন্য প্রবাস থেকে কাজ করেছেন। এখন সময় এসেছে প্রবাসীদের মূল্যায়নের। তাই তারা মনোনয়ন প্রত্যাশী।(বাংলা পত্রিকা)