মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক-কলামিস্টদের উদ্বেগ
- প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
- / ২৭৪ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: ঢাকার দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক ও খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মতিউর রহমান চৌধুরী এবং মানবজমিন-এর প্রতিবেদক আল আমিনসহ ৩২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশী সাংবাদিক ও কলামিস্টগণ। তারা হয়রানিমূলক এই মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। এ নিয়ে তারা একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবিৃতিতে বলা হয়, বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুরু থেকেই বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা, মুক্ত মত প্রকাশ তথা অবাধ তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ইতিপূর্বে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের অসংখ্য মানুষের বিরুদ্ধে এই কালো আইনের অপপ্রয়োগ দেখা গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ পর্যায়ে বিতর্কিত এই আইনে দেশের খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এবং একই পত্রিকার প্রতিবেদক আল আমিনসহ ৩২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, মামলাটি করেছেন ক্ষমতাসীন দলেরই একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্য, যার নাম সংশি¬ষ্ট প্রতিবেদনের কোথাও উল্লেখ নেই। এটা খুবই পরিষ্কার যে, স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি এবং ব্যক্তি বিশেষকে হয়রানির অসৎ উদ্দেশ্যেই নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন: সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও অবিভক্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-এর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনজুর আহমদ, সিনিয়র লেখক/কলামিস্ট, হাসান ফেরদৌস, সিনিয়র সাংবাদিক/কলামিস্ট মঈনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, সিনিয়র সাংবাদিক ও এখন সময় সম্পাদক কাজী শামসুল হক, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টিভি’র সিইও আবু তাহের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু, সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা’র আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট আবু জাফর মাহমুদ, জাস্টনিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকো, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাপ্তাহিক প্রবাস-এর প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ওয়ালিউল আলম, সাংবাদিক মনির হায়দার, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র নির্বাহী সম্পাদক জাবেদ খসরু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ সিরাজুল ইসলাম, ভয়েস অব আমেরিকা’র নিউইয়র্ক প্রতিনিধি আকবর হায়দার কিরণ, সাপ্তাহিক দেশকন্ঠ সম্পাদক দর্পণ কবীর, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র বার্তা সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, এনআরবি কানেক্ট টিভি’র নির্বাহী সম্পাদক হাসানুজ্জামান সাকী, বাংলা ইনফোটিউব সম্পাদক সাহেদ আলম, দৈনিক ইত্তেফাক-এর যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক ও লেখক মনিজা রহমান, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান, টাইম টেলিভিশন-এর বার্তা প্রধান আবিদুর রহীম, সাপ্তাহিক নবযুগ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, সাপ্তাহিক আজকাল-এর সিনিয়র সাংবাদিক শামীম আহমেদ, নিউজপ্রেজেন্টার দিমা নেফারতিতি, সাংবাদিক ও উপস্থাপক কাজী জেসিন, নিউইয়র্ক মেইল অনলাইন সম্পাদক তুহিন সানজিদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আশরাফুল ইসলাম নওশাদ।