মক্কায় বাবাকে ফেলে পালিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশী-আমেরিকান পারভেজ

- প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
- / ৯৮৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: আন্তর্জাতিক টেরোরিজমের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত তরুণকে। গত ২৩ জুন নিউইয়র্ক সিটির ওজপার্কের বাসিন্দা এই তরুণের বাসায় ব্যাপক তল্লাসী চালিয়েছে এন্ট্রি টেরোরিজম টাস্কফোর্স ও এফবিআই। এর আগে রোজা মাসে বাবার সাথে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে যায় এই তরুণ। তারপর সৌদি আরব থেকেই সন্ত্রাসী অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বাংলাদেশী-আমেরিকান এই তরুণের বয়স ২১-২২ বছর হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তার ডাক নাম পারভেজ বলে জানা গেছে।
পারভেজের পরিবারের সবাই ওজনপার্কের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন থেকেই সে চরমপন্থায় বিশ্বাসী ছিল বলে এলাকা থেকে জানা গেছে। রোজা মাসে পারভেজের বাবা তাকে সঠিক পথে আনার কৌশল হিসেবে পবিত্র মক্কা শরীফে ওমরাহ করতে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর পরই সে বাবার কাছ থেকে হারিয়ে যায়।
পারভেজের উপর আগ থেকেই গোয়েন্দা নজর থাকায় সৌদি আরবেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার বাবা এখনো তার অবস্থান জানেন না বলে জানা গেছে। এর পর পরই ঈদের মাত্র দুদিন আগে ওজনপার্কে অবস্থিত ১০১ এভিন্যুতে অবস্থিত বাড়ীটি ঘেরাও করে এফবিআই এজেন্টরা। এতে পুরো এলাকাতে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। আসরের নামাজের পর এই অপারেশন চলাকালে পারভেজের ঘরে অবস্থানরত অন্য আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আসা এফবিআইয়ের গাড়ীতে। সেখানে তাদের বসিয়ে রেখে শুরু হয় তল্লাসী। কয়েক ঘন্টার তল্লাসীর পর বাড়ী থেকে কম্পিউটার সহ পারভেজের ব্যবহৃত সব কাগজপত্র নিয়ে যায় এফবিআই। এরই জের ধরে পারভেজের আরো কয়েকজন আত্মীয়ের বাড়ীতেও তল্লাসী চালিয়েছে এফবিআই।
এদিকে গত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার পারভেজের বাবা হজ্ব থেকে ফিরে এসেছেন। তারা কেউ মুখ খুলছেন না। তবে আশপাশের সবার মধ্যেই বিষয়টি উদ্বেগ ও আতংকের জন্ম দিয়েছে।
ওজনপার্কের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, পারভেজ সব সময় উগ্রতায় বিশ্বাসী। মাত্র কিছুদিন আগে ‘গণতন্ত্র হারাম’ বলে সে রায় দিয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথেও তর্কবিতর্ক হয়েছে পারভেজের।
এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম পরিচয় গোপণ রাখার শর্তে একজন প্রবাসী বলেন, পারভেজকে সব সময়ই চিন্তিত মনে হতো। তার বয়স ২২/২৩ হবে। তবে দাঁড়ি ছিল। এবং তার ঘোরাফেরা ছিল রহস্যময়। এলাকায় বাংলাদেশীদের সাথে সে তেমন সম্পর্ক রাখতো না। মোটকথা তার চালচলন ছিল অনেকটা রহস্যময়।
এনিয়ে তাদের পরিবারেও উদ্বেগ ছিল। যার প্রেক্ষিতে মানসিকতা পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়েই পারভেজকে নিয়ে হজ্ঝে গিয়েছিলেন তার বাবা। হজ্বের পরিপল্পনা বাবা করলেও পারভেজের ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা। যার ফলে মক্কাতে নেমেইে সে বাবাকে ফেলে হারিয়ে যায়। পারভেজকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আনা হয়েছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। (বাংলা পত্রিকা)