নিউইয়র্ক ০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিভক্ত ফোবানা: ইগো আর নেতৃত্বের কোন্দলই দায়ী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫১ বার পঠিত

মন্তব্য প্রতিবেদন: ফেডারেশন অব বাংলাদেশীস অর্গানাইজেশন্স ইন নর্থ আমেরিকা-ফোবানা। দেশ ও প্রবাসে ফোবানা নামেই সংগঠনটির পরিচিতি। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাংলাদেশী সংগঠনগুলোর ফেডারেশন এই ফোবানা। উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক, অভিন্ন আর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ফোবানা আজ বিভক্ত। চলতি বছর বিভক্ত ফোবানার ৩৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো এবং হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কতিপয় কমিউনিটি নেতার ব্যক্তি ইগো আর নেতৃত্বের কোন্দলের কারণেই ফোবানায় বিভক্তি। সাথে রয়েছে গ্রæপিং, রাজনৈতিক মতানৈক্য, হিংসা-বিদ্বেষ, অযোগ্য নেতৃত্ব, অর্থের জোর প্রভৃতি। আবার বিভক্ত ফোবানা’র মধ্যেও কোন্দল, উপ কোন্দল লক্ষনীয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ফোবানা’র যাত্রা শুরু। বিভক্তির পর দুই পরিবর্তনও হয়েছে ফোবানা লগো।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আযম নেতৃত্ত¡াধীন ফোবানা’র একাংশের তিন দিনব্যাপী (৩, ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো লেবার ডে উইকেন্ডে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়া রাজ্যের হিলটন ক্রিস্টাল সিটিতে। অপরদিকে চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী মাসুদ চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ফোবানা’র অপরাংশের তিন দিনব্যাপী ( ২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বর) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ম্যারিল্যান্ডের গেলর্ড ন্যাশনাল রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারে।
ফোবানার সাথে সংশ্লিস্ট একাধিক কর্মকর্তা ও সচেতন প্রবাসীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের মতে বিভক্তির কারণে ফোবানা তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে বলে সচেতন প্রবাসীদের অভিমত। তার মনে করেন, ফোবানা নেতৃবৃন্দের অযোগ্যতায় ফোবানা আর মূল ফোবানা’য় নেই। ফোবানায় নেই আয়-বায়ের স্বচ্ছতা, নেই কোন হিসাব-নিকাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ভিতর থেকে দেখা ফোবানায় এবার এক নেতা তার নেতৃত্ব দেখাতেই তার সমর্থকদের নিয়ে একটি তথা কথিত সম্মেলন করে দেখিয়েছেন। ঐক্য তো দূরের কথা বিভক্ত করে হলেও সম্মেলন করাটাই তার জয় বলে তিনি মনে করছেন। অথচ প্রতিবছর ফোবানা সম্মেলনের নামে লাখ লাখ ডলার ব্যয় হলেও ফোবানা’র লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বরং অনেকে মনে করছেন ফোবানা নাচ-গানের সম্মেলনে পরিণত হয়েছে। সম্মেলনে সভা-সমাবেশ-সেমিনারের কথা থাকলেও তা নামে মাত্র হয় বলে অনেকের অভিযোগ। বড় অভিযোগ ফোবানার আয়-ব্যয় জন সমক্ষে প্রকাশ বা স্বচ্ছতা না দেখানো।
এদিকে বিভক্ত ফোবানা ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়ার কথা শুনা গেলেও কতিপয় নেতাই ফেবানায় ঐক্য চান না বলে সংশ্লিস্টদের অধিকাংশই মনে করছেন। তারা বলছেন, ফোবানা ঐকবদ্ধ হলে তথা কথিত ঐ নেতাদের নেতৃত্ব থাকবে না। ফোবানায় নেতৃত্ব বহাল রাখাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আবার কেউ কেউ দূর থেকেই ফোবানা বিভক্তির কলকাঠি নাড়ছেন। আবার বিভক্তির কারণে অনেকেই ফোবানা থেকে দূরে সরে গেছেন।
বিভক্ত ফোবানার চলমান প্রেক্ষপটে আদৌ ‘ফোবানা সম্মেলন’-এর প্রয়োজন আছে কিনা তাই এখন সচেতন প্রবাসীদের বড় প্রশ্ন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিভক্ত ফোবানা: ইগো আর নেতৃত্বের কোন্দলই দায়ী

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

মন্তব্য প্রতিবেদন: ফেডারেশন অব বাংলাদেশীস অর্গানাইজেশন্স ইন নর্থ আমেরিকা-ফোবানা। দেশ ও প্রবাসে ফোবানা নামেই সংগঠনটির পরিচিতি। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাংলাদেশী সংগঠনগুলোর ফেডারেশন এই ফোবানা। উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক, অভিন্ন আর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ফোবানা আজ বিভক্ত। চলতি বছর বিভক্ত ফোবানার ৩৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো এবং হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কতিপয় কমিউনিটি নেতার ব্যক্তি ইগো আর নেতৃত্বের কোন্দলের কারণেই ফোবানায় বিভক্তি। সাথে রয়েছে গ্রæপিং, রাজনৈতিক মতানৈক্য, হিংসা-বিদ্বেষ, অযোগ্য নেতৃত্ব, অর্থের জোর প্রভৃতি। আবার বিভক্ত ফোবানা’র মধ্যেও কোন্দল, উপ কোন্দল লক্ষনীয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ফোবানা’র যাত্রা শুরু। বিভক্তির পর দুই পরিবর্তনও হয়েছে ফোবানা লগো।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আযম নেতৃত্ত¡াধীন ফোবানা’র একাংশের তিন দিনব্যাপী (৩, ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো লেবার ডে উইকেন্ডে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়া রাজ্যের হিলটন ক্রিস্টাল সিটিতে। অপরদিকে চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী মাসুদ চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ফোবানা’র অপরাংশের তিন দিনব্যাপী ( ২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বর) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ম্যারিল্যান্ডের গেলর্ড ন্যাশনাল রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারে।
ফোবানার সাথে সংশ্লিস্ট একাধিক কর্মকর্তা ও সচেতন প্রবাসীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের মতে বিভক্তির কারণে ফোবানা তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে বলে সচেতন প্রবাসীদের অভিমত। তার মনে করেন, ফোবানা নেতৃবৃন্দের অযোগ্যতায় ফোবানা আর মূল ফোবানা’য় নেই। ফোবানায় নেই আয়-বায়ের স্বচ্ছতা, নেই কোন হিসাব-নিকাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ভিতর থেকে দেখা ফোবানায় এবার এক নেতা তার নেতৃত্ব দেখাতেই তার সমর্থকদের নিয়ে একটি তথা কথিত সম্মেলন করে দেখিয়েছেন। ঐক্য তো দূরের কথা বিভক্ত করে হলেও সম্মেলন করাটাই তার জয় বলে তিনি মনে করছেন। অথচ প্রতিবছর ফোবানা সম্মেলনের নামে লাখ লাখ ডলার ব্যয় হলেও ফোবানা’র লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বরং অনেকে মনে করছেন ফোবানা নাচ-গানের সম্মেলনে পরিণত হয়েছে। সম্মেলনে সভা-সমাবেশ-সেমিনারের কথা থাকলেও তা নামে মাত্র হয় বলে অনেকের অভিযোগ। বড় অভিযোগ ফোবানার আয়-ব্যয় জন সমক্ষে প্রকাশ বা স্বচ্ছতা না দেখানো।
এদিকে বিভক্ত ফোবানা ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়ার কথা শুনা গেলেও কতিপয় নেতাই ফেবানায় ঐক্য চান না বলে সংশ্লিস্টদের অধিকাংশই মনে করছেন। তারা বলছেন, ফোবানা ঐকবদ্ধ হলে তথা কথিত ঐ নেতাদের নেতৃত্ব থাকবে না। ফোবানায় নেতৃত্ব বহাল রাখাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আবার কেউ কেউ দূর থেকেই ফোবানা বিভক্তির কলকাঠি নাড়ছেন। আবার বিভক্তির কারণে অনেকেই ফোবানা থেকে দূরে সরে গেছেন।
বিভক্ত ফোবানার চলমান প্রেক্ষপটে আদৌ ‘ফোবানা সম্মেলন’-এর প্রয়োজন আছে কিনা তাই এখন সচেতন প্রবাসীদের বড় প্রশ্ন।