বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাহ নেওয়াজ সভাপতি টুকু সা. সম্পাদক

- প্রকাশের সময় : ১২:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৮
- / ৮১৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) নিউইয়র্ক’র দ্বি-বার্ষিক (২০১৮-২০১৯) নির্বাচনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লায়ন মো: শাহ নেওয়াজ সভাপতি ও মো: মাহবুবুর রহমান (টুকু) সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের ১৫ সদস্যের সকল কর্মকর্তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বলে শনিবার (৬ জানুয়ারী) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, নবনির্বাচিত সভাপতি শাহ নেওয়াজ জেবিবিএ’র বিদায়ী কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন এবং তিনি নিউইয়র্ক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী এবং বেঙ্গল হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট। অপরদিকে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি ফ্যাশন-এর স্বত্তাধিকারী। তিনি জেবিবিএ’র বিগত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
ইসি ঘোষিত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত জেবিবিএ’র কর্মকর্তারা হলেন: সভাপতি- শাহ নেওয়াজ, সহ সভাপতি- মাকসুদুর রহমান ও মোল্লা এম এ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (টুকু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- এস এম হাসান, কোষাধ্যক্ষ- মোহাম্মদ মুনীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক- ভিক্টর লিয়াকত এলাহী, দপ্তর সম্পাদক- শাহরিয়ার আরিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- বেলাল আহমেদ, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক- শেখ আলী এবং কার্যকরী পরিষদ সদস্য যথাক্রমে- মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল কাইয়ুম খান, খালেদ আক্তার, মফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ এস হোসেন। সিটির জ্যাকসন হাইটসের নিউ মেজবান রেষ্টুরেন্টে গত ৬ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পারভেজ কাজী নতুন কমিটি ঘোষণা দেন। এর আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসি সদস্য আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া। এছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ বক্তব্য রাখেন ইসি সদস্য রেজা রশীদ ও মাহবুবুর রহমান। উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইসি কমিটির অপর সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। কিন্তু একটি পক্ষ আসেননি। তাদের একটি দাবী ছাড়া সকল দাবীই আমরা মেনে নিতে চেয়েছিলাম। প্রয়োজনে নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে সকল সদস্য/ভোটার নিয়ে বসতেও চেয়েছিলাম। এক গ্রুপের নেতা আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম সহ জেবিবিএ’র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথেই আমরা ইসি’র পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবেও কথা বলেছি, একসাথে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু ইসি’র কোন আহবানেই তারা সাড়া দেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা নির্বাচনী তফসিল মোতাবেক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছি। ইসি’র কর্মকর্তারা বলেন, জেবিবিএ’র ১৫ সদস্যের কার্যকরী পরিষদে ১৫ জন ব্যবসায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তাদের মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করার পর মনোনয়নপত্রগুলো বৈধ বলে বিবেচিত হয় এবং তাদের বিপরীতে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ১৫জনকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো। পরে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের উত্তরে ইসি’র কর্মকর্তারা বলেন, জেবিবিএ’র নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে আদালতের কোন নির্দেশ বা কপি অফিসিয়ালী আমরা পাইনি। তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। এদিকে ইসি কর্তৃক জেবিবিএ’র নতুন কমিটি ঘোষণার পর সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত নবনির্বাচিত কর্মকর্তা ও তাদের সমর্থকরা উল্লাসে মেতে উঠেন এবং মিষ্টিমুখ করেন। আরো উল্লেখ্য, আগামী ২১ জানুয়ারী রোববার জেবিবিএ নিউইয়র্ক-এর নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা ছিলো। বিদায়ী কমিটি কর্র্তৃক ইসি’র কাছে দাখিলকৃত লিস্ট মোতাবেক এবার জেবিবিএ’র সদস্য/ভোটার হচ্ছে ২০৮জন। ‘জিকো-তারেক’ নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ’র বিদায়ী কমিটি কর্র্তৃক উপদেষ্টা পরিষদ বাতিল/বিলুপ্ত করে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ, নির্বাচন কমিশন পুন:গঠন এবং ইসি’র ক্ষমতা তিন মাস বৃদ্ধি এবং উপদেষ্টা পরিষদকে জেবিবিএ’র গঠনতন্ত্র মোতাবেক ‘এডহক’ কমিটি ঘোষণার ঘটনায় জেবিবিএ নতুন সঙ্কটে পড়েছে। এরই মধ্যে ইসি নতুন কমিটি ঘোষণা দেয় এবং জেবিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম ও এডহক কমিটি জেবিবিএ’র নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করতে নিউইয়র্ক সুপ্রীম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করলে মাননীয় আদালত ২০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করেছে। গত ৫ জানুয়ারী শুক্রবার এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ডকেট নম্বর ৯১/২০৮।