বিজয়ী হলে মানুষের ভালবাসার আস্থা প্রতিদান দেবেন এম এম শাহীন

- প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
- / ৬২৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: এম এম শাহীন দেশে এবং প্রবাসে একজন জনপ্রিয় মানুষ। প্রবাসে তিনি প্রবাস বন্ধু হিসাবে পরিচিত, আর দেশে মাটি ও মানুষের নেতা হিসাবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। প্রবাসের সর্বস্তরের মানুষ এবং নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে তার সমর্থনে গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বেলাজিনো অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, এম এম শাহীন দেশে এবং প্রবাসে মানুষের যে ভালবাসা, বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জন করেছেন, জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি সেই ভালবাসা, আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতিদান দেবেন। অতীতেও তিনি তা করেছেন। তিনি দুই বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিবারেই তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। মূলত: তিনিই ছিলেন প্রবাসীদের একমাত্র প্রতিনিধি। এবারো তিনি নির্বাচন করছেন, আশা করি প্রবাসী বাংলাদেশীরা তার পাশে দাঁড়াবেন এবং আকুণ্ঠ সমর্থন জানাবেন। বক্তারা বলেন, এম এম শাহীনের মত একজন মানবদরদি এবং দেশপ্রেমিক নেতার বড় প্রয়োজন। তিনি জানেন কীভাবে দেশ ও জনগণের পাশে থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে হয়। তারা আরো বলেন, এম এম শাহীনের জয় মানেই প্রবাসীদের জয়, কুলাউড়ার মানুষের জয়, সর্বোপরি বাংলাদেশের জয়।
প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসাবে পরিচিরত বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সোসাইটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া আওয়ামী লীগের নেতা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগের চমৎকার পরিচালনায় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম আজিজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি এবং ড্রামা সার্কলের সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম রানা চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার সাবেক সভাপতি এমাদ চৌধুরী, বেদারুল ইসলাম বাবলা, ফ্লোরিডা থেকে আগত ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য আজিমুর রহমান বোরহান, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, জেবিবিএ’র (একাংশ) সভাপতি ও এনওয়াই ইন্স্যুরেন্সে প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, ফোবানার কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য সচিব এবং নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন জালাল, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ, শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চমন এলাহী, মূলধারার রাজনীতিবিদ হেলাল শেখ, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জুনায়েদ এ খান, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলু মিয়া, বগুড়া সমিতি, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তা সাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না, বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ মজিবউর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভানেত্রী বদরুন নাহার খান মিতা, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, এস্টোরিয়ার আল আমিন মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমেদ, বিশিষ্ট ফার্মাসিস্ট মোস্তাক আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশ সোসাইটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, বাংলাদেশ সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা মনিকা রায়, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটির সদস্য সাদী মিন্টু, আবুল কাশেম চৌধুরী, বিশিষ্ট কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট ও মূলধারার রাজনীতিবিদ হাসান আলী, মৌলভীবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, কুলাউড়া এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা গিয়াস উদ্দিন, বিশিষ্ট কম্যুনিটি লিডার ফখর উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মোল্লা এম এ মাসুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বশির খান, এটর্নী প্যারি ডি সিলভার, শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট কম্যুনিটি লিডার শামীম আহমেদ, এ এফ এম মিসবাউজ্জামান, বিশিষ্ট সিপিএ ইয়াকুব এ খান, কম্যুনিটি লিডার আব্দুল কাদের চৌধুরী শাহীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা জে মোল্লা সানি, নড়াইল সমিতি ও রাজশাহী এলামনাই এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মুন্সি আহাদ, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম বর্ষণ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু মিয়া, মোহাম্মদ কাইয়ুম, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, খলিল রহমান, কম্যুনিটি লিডার সাইদুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুর সমিতির কর্মকর্তা মিঠু হামিদ, ঐক্য পরিষদ নেতা সুশীল সাহা, বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনেপ্রার্থী সামাদ মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জে চৌধুরী লিটু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, এম এম শাহীন এই প্রবাসে আপনাদের সাথেই ছিলেন। কিন্তু প্রবাসের উন্নত জীবন ছেড়ে তিনি দেশ মাতৃকার টানে বাংলাদেশে গিয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি বলেন, এম এম শাহীন আমাদের সবার ভালবাসার, শ্রদ্ধার এবং বিশ্বাসের মানুষ। আশা করি তিনি আমাদের বিশ্বাসের প্রতিদান দেবেন যদি তাকে আমরা জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পারি।
সভায় কামাল আহমেদ বলেন, এম এম শাহীন আমেরিকার সুখী জীবন ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার জন্য বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। এই ধরনের মানুষ সাধারণত আমরা দেখতে পাই না। দেশ এবং মানুষের প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকলে তিনি এই কাজটি করতে পারেন। তিনি বলেন, এম এম শাহীনের নেতৃত্বে কুলাউড়ার মানুষ জেগে উঠেছিলো। এই প্রবাসে থাকা অবস্থাও তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনিই ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
এম আজিজ বলেন, এম এম শাহীন ভাল মানুষ বলেই, আজকে এখানে তার সম্পর্কে আপনারা ভাল ভাল কথা বলছেন। আমি আজকে এখানে এসেছি এম এম শাহীনের জন্য, আমি কোন মার্কার জন্য আসিনি। বাংলাদেশে কোন মার্কাই মানুষের কল্যাণে আসেনি। নিউইয়র্ক- ঢাকা- নিউইয়র্ক রুটে বাংলাদেশ বিমান ছিলো তাও বন্ধ রয়েছে। প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী যখন আসেন তখনই প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু কোন কাজ হয় না। তিনি বলেন, আমরা যদি এম এম শাহীনের পাশে থেকে তাকে নির্বাচিত করতে পারি, তাহলে তিনি প্রবাসীদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করবেন।
নার্গিস আহমেদ বলেন, এম এম ,শাহীন আমার বন্ধু এবং আত্মার আত্মীয়। আমার বন্ধু বলে বলছি না, এম এম শাহীনের শত্রুরাও তাকে কোন দিন খারাপ বলতে পারবেন না। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন ভাল মানুষ। তার প্রতিটি কাজের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম, আছি এবং থাকবো। তিনি আরো বলেন, এম এম শাহীন একজন কৌশলী মানুষও বটে। কৌশলী না হলে এ দুনিয়ায় চলা যায় না। আবার বৃহত্তর স্বার্থের জন্য কৌশলী হাওয়া প্রয়োজন। যে কাজটি তিনি এবার করেছেন। তিনি কৌশলী না হলে মানুষের কল্যাণ করতে পারতেন না। প্রবাসেও তিনি বাংলাদেশী কম্যুনিটির কল্যাণে কাজ করেছেন, আগামীতে দেশের কল্যাণে কাজ করবেন।
রফিকুল ইসলাম রানা চৌধুরী বলেন, আমি এম এম শাহীনকে সমর্থন করি তিনি যখন দেশে গিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আমার সমর্থনের কারণ হচ্ছে- তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবার, তার বড় ভাই খালিদুর রবের সাথে আমি একত্রে যুদ্ধ করেছি। অন্য দিকে এম এম শাহীন দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করেন এটা আমার ভাল লাগে। তিনি ফেইস বুকে এম এম শাহীনের ক্যাম্পেইন শুরু করার আহবান জানান। তিনি এম এম শাহীনের পাশাপাশি আরেক প্রবাসী প্রার্থী ড. এ কে মোমেনকেও সমর্থন করার আহবান জানান।
জহিরুল ইসলাম বলেন, এম এম শাহীনের মানুষের প্রতি ভালবাসার কোন তুলনা হয় না। তিনি বলেন, একদিন আমি তার সাথে জ্যাকসন হাইটস থেকে জ্যামাইকায় যাচ্ছিলাম। শ্রীচিন্ময় সেন্টারের কাছে আসার পর দেখলাম- একজন বাঙালীকে কয়েকজন স্প্যানিস ছেলে ছিনতাই করছে এবং মারধরের চেষ্টা করছে। এই সময় তিনি আমাকে গাড়ি থামাতে বললেন, গাড়ি থামাতেই তিনি দৌড়ে চলে গেলেন এবং বেশ কয়েক ব্লক দৌড়ে স্প্যানিস দুই ছিনতাইকারীকে আটকালেন, আমিও সহযোগিতা করেছিলাম। পরদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমিসহ থানায় ছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, আমরা না নামলে বাঙালী ছেলেটাকে তারা মারধোর করতো, আমরা থাকতে আমি তা হতে দেবো না। এম এম শাহীন মানুষকে ভালবাসেন এবং অসম্ভব সাহসী একজন মানুষ। আমি এই ধরনের সাহসী কাজ প্রবাসে খুব কম মানুষের মধ্যে দেখি। তার মত মানুষদেরই জাতীয় সংসদে যাওয়া উচিত। তিনি জাতীয় সংসদে গেলে আমাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করবেন।
এমাদ চৌধুরী বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে এম এম শাহীনের নির্বাচনে গিয়েছিলাম। আমি যা দেখেছি তা বিরল। বাংলাদেশের জাতীয় নেতারা সব সময়ই ঢাকায় থাকেন, আর এম এম শাহীন তার কুলাউড়ার মানুষের সাথে থাকেন। তাকে আমি দেখেছি একজন সাধারণ মানুষের ঘরে যেতে এবং তাদের সুখ- দু:খে পাশে থাকতে। মানুষের ভালভাসার কারণে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে হারিয়েছিলেন, এবার নৌকা প্রতীক নিয়েও তাকে হারাবেন।
আবু তালেব চৌধুরী চান্দু বলেন, এম এম শাহীন আসলে প্রবাসীদের প্রতিনিধি। তিনি এটি আগেও প্রমাণ করেছেন, এবারও প্রমাণ করবেন। সুতরাং তার পক্ষেই আমাদের কাজ করতে হবে।
শাহ নেওয়াজ বলেন, এম এম শাহীন একজন সাদা মনের মানুষ। এই ধরনের মানুষের জাতীয় সংসদে থাকা উচিত। তাই তার পক্ষেই আমরা কাজ করবো।
মোস্তফা কামাল বলেন, আমি নৌকার মানুষ। এম এম শাহীন এবার নৌকার হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সুতরাং তাকে আমাদের নির্বাচিত করতে হবে।
মজিব উর রহমান বলেন, রাজনীতি মানুষকে পরিবর্তন করে। তাই এম এম শাহীনও পরিবর্তিত হয়েছেন অনেকের মত। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এম এম শাহীন আমাদের বন্ধু এবং আমাদের প্রতিনিধি।
মোহাম্মদ আলী বলেন, এম এম শাহীন আমার প্রিয় মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রিয় মানুষ। তার পক্ষে আমরা আছি এবং থাকবো।
ফজলু মিয়া বলেন, এম এম শাহীন আমাদের প্রার্থী। আমরা তার পক্ষে কাজ করবো। তিনি জয়লাভ করলে আমরা আমাদের একজন প্রতিনিধি পাবো।
জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, এম এম শাহীন একজন পরিচ্ছন্ন মনের মানুষ। তিনি আগেও চেষ্টা করেছিলেন আওয়ামী লীগে যোগ দিতে। কিন্তু তা হয়নি। এবার তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন- এটাই আমার কাছে ভাল লাগছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে প্রবাস বন্ধু এম এম শাহীন এবং ড. এ কে মোমেনকে জয়ী করাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে।
আতিকুর রহমান বলেন, এম এম শাহীন আমার বন্ধু। তিনি ঠিকানা পত্রিকা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। আমি মনে করি এম এম শাহীন বাংলাদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করবেন। এরআগেও তিনি জাতীয় সংসদে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এবার তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, যা আমার জন্য গর্বের। কারণ আমি একজন মুজিব সৈনিক।
বেদারুল ইসলাম বাবলা বলেন, এম এম শাহীন আমার সহযোগী ছিলেন। আমরা এক সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। প্রবাস কম্যুনিটির কল্যাণের পাশাপাশি তিনি দেশ ও মানুষের টানে এক সময় বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন। তার ছিলো মানুষ কাছে টানার অধম্য শক্তি। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনিই একমাত্র প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন। এবারো তিনি জয়লাভ করবেন এবং আমরা তাকে জাতীয় সংসদে দেখতে পাবো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, গীতা পাঠ করেন মনিকা রায় চৌধুরী, বাইবেল পাঠ করেন ডা. টমাস দুলু রায় এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন সুরীত বড়–য়া।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব ও অপু। তবে এটি ছিলো শিল্পী শাহ মাহবুবের অকুন্ঠ সমর্থন এম এম শাহীনের প্রতি।
অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয় বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মঈনুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বসির খান ও খলিলুর রহমানকে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।