বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০১:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৬১ বার পঠিত
হককথা রিপোর্ট: বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৭ অক্টোবর, রোববার। এই নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশন ‘নির্বাচনী আচরণবিধি’ প্রকাশ করেছে। ওই দিন সকাল নয়টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে, শেষ হবে রাত নয়টায়। এই সময়ের মধ্যে ভোটারদের ভোট দিতে হবে। ভোট দেওয়ার জন্য পাঁচটি কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রগুলো হলো কুইন্সের উডসাইড, জ্যামাইকা ও ওজনপার্ক এবং ব্রঙ্কস ও ব্রæকলীন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সোসাইটির সকল ভোটারের উদ্দেশে গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত ‘নির্বাচনী আচরণবিধি’-তে কমিশন বলছে, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাহী কমিটি ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাঁচটি কেন্দ্রে নির্ধারিত জিপকোড অনুযায়ী ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ জন্য তারা ভোটারদের সহযোগিতা কামনা করেছে। পোলিং সেন্টারসহ কোন কোন জিপকোডের ভোটারদেরকে কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে, তাও জানানো হয়েছে। কুইন্সে ভোট হবে গুলশান ট্যারেসে (ঢাকা ক্লাব), এটি উডসাইডে। দ্বিতীয় কেন্দ্র হলো ওজন পার্কে মুনা সেন্টার। তৃতীয় কেন্দ্র ব্রæকলীনের পিএস ৭৯। ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস আর জ্যামাইকার ভোটকেন্দ্র হলো ইকরা পার্টি সেন্টার।
নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোট দেওয়ার দিন ভোটারদের আইডি নিয়ে যেতে হবে। আইডি ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারবেন না। আইডি যেগুলো ব্যবহার করা যাবে, এর মধ্যে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্টেট আইডি, সিটি আইডি, গ্রিনকার্ড, ওয়ার্ক অথরাইজেশন কার্ড অথবা পাসপোর্ট। ভোটারগণ এগুলোর যেকোনো একটি আইডি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
নির্বাচনের আচরণবিধিতে বলা হয়, নির্বাচন কেন্দ্রের ২০০ ফুটের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না, পোস্টার-ব্যানার লাগানো যাবে না এবং ফ্লায়ার দেওয়া যাবে না। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে কমিশন পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলবে। এ ছাড়া জরিমানাও করতে পারে ওই প্রার্থীকে। কোনো ধরনের রেডিও স্পিকার অথবা যেকোনো ধরনের শব্দযুক্ত মাইকিং ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী এলাকায় এ ধরনের কোনো জিনিস কেউ ব্যবহার করলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন কেন্দ্র ও কেন্দ্রের ২০০ ফুটের মধ্যে আন-অথরাইজড কিংবা আন-লফুল কর্মকান্ড মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচনের দিন কোনো প্রার্থী যদি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানানো হবে। একজন প্রতিবন্ধী ভোটারকে ভোট দিতে সহায়তা করার জন্য কেবল একজন মনোনীত ব্যক্তিকে অনুমতি দেওয়া হবে। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী কোনো কেন্দ্রে কমিশনের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রার্থীরা ভোটের দিনে ১০ মিনিটের জন্য ভোটকেন্দ্রে কেবল ভোটিং মেশিন চেক করতে পারবেন।
একজন লাইফ মেম্বার তার ভোট দেওয়ার জন্য লাইফ মেম্বারের কার্ড দিয়ে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন ও ভোট দিতে পারবেন। তিনি আলাদা আইডি না নিলেও চলবে। একজন ভোটারের তার জিপকোড অনুযায়ী যে কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কথা, তিনি কেবল সেই কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন। অন্য কোনো কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন না। প্রার্থী, লাইফ মেম্বার ও পোলিং এজেন্ট হলেও পারবেন না। কেবল প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার তিনি যে কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কাজ করবেন, সেই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। বাকি সব ভোটারকে নিজ নিজ জিপকোড অনুযায়ী নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে।
একজন ভোটারের আইডি কার্ডের সঙ্গে নাম, জন্ম তারিখ ও ফটো আইডির তথ্য একই হতে হবে। আইডির সঙ্গে এই তিনটি না মিললে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। যদি এমন কোনো বিষয় দেখা দেয়, বিধিবিধানের কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে বা সাংঘর্ষিক, তখন নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমস্যাটির সমাধান করবে। এ ছাড়া ভোটার, প্রার্থী ও নির্বাচন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোসাইটির ৭ সদস বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস এম জামাল ইউ আহমেদ (জনি)। কমিশনারের সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ এ মান্নান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মেহবুবুর রহমান (বাদল) ও আহবাব চৌধুরী। কমিশন ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে এনেছে।
এদিকে ভোটার তালিকা নিয়ে বারবার জটিলতা দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনটি ভোটার তালিকা হয়েছে। আরও একটি হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভোটার তালিকা নিয়ে চলমান সংকট যত দ্রæত শেষ হবে, ততই মঙ্গলজনক। কারণ ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কোনো ভোটার আইনি পদক্ষেপ নিলে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে এবং নির্বাচন অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে।