নিউইয়র্ক ১০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
শোকাহত কমিউনিটি : বেদনা বিধূর পরিবেশ ব্রঙ্কসে

পুলিশ অফিসার রতনের জানাজা বৃহস্পতিবার : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম সহ ইউএস কংগ্রেস সদস্যদের শোক প্রকাশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / ৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক সিটির মিডটাউন ম্যানহাটানে এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত এনওয়াইপিডি’র বাংলাদেশী পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম রতনের মরদেহ ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদের ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠান শেষে মরদেহ দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে শোকাহত পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটি। সোমবারের (২৮ জুলাই) ঘটনায় রতন সহ ৪জন নিহত হয়েছে। ঘটনার সময় বন্দুকধারী নিজেও আতœহত্যা করে।
এদিকে পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম রতনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে মাইনোরিটি লীডার কংগ্রেসম্যান হেকিম জ্যাফরিস, ইউএস কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং ও আলেকজান্ডার ওকাসিও কটেজ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে নিহত পুলিশ অফিসার রতন সহ অপর ৩ ব্যক্তি স্মরণে মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানহাটানের ব্র্রায়ান্ট পার্কে সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই সভায় সকল ধর্মীয় অনুসারে নিহতদের জন্য প্রার্থনা এবং মোমবাতীতে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। এতে মেয়র এরিক অ্যাডামস ও পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার এবং বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ অংশ নেন।
মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম রতন, নিউইয়র্ক সিটির সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রায় ৪ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। সোমবার ম্যানহাটানের ৫১ ও ৫২ স্ট্রীটের মাঝামাঝি ৩৪৫ পার্ক এভিনিউ এলাকায় একটি বহুতল ভবনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে এক বন্দুকধারী তাকে গুলি করে গুরুতর আহত করে ভবনটির ৩৩ তলায় গিয়ে আরও কয়েকজন-কে গুলি করে এবং এক পর্যায়ে সে তার নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় রতন সহ ৪জন নিহত হন বলে জানা যায়।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাসরত রতনের দেশের বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া সদর উপজেলাধীর পৌর এলাকার মাগুড়া। ব্যক্তিগত জীবনে দিদারুল ইসলাম রতন ৮ ও ৬ বছরের দুই সন্তানের জনক এবং তিনি তার পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন। তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তসত্তা বলে জানা গেছে। তার মা-বাবা ও দুই বোন নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করেন। ২০০৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হন এবং নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। বিয়ে করেন মামাতো বোনকে। ঘটনার দিন সোমবার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। অথচ দায়িত্ব পালনের কারণে তিনি তার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে নি। ঘাতকের গুলিতে চলে গেলেন চিরতরে। কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তর মাগুরা এলাকায় ‘নাঈমা নীড়’ নামে তাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে। ২০০০ সালের জমি কিনে বাড়ীটি তৈরি করেন। তবে রতনদের আদি বাড়ি পাশের বড়লেখা উপজেলার ছিকামহল গ্রামে। ২০০৯ সালে রতন কুলাউড়া সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস কওে যুক্তরাষ্ট্র আসেন। সর্বশেষ ২০২৪ মার্চে ১৫ বছর পর বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী আর দুই সন্তানরে নিয়া রতন বাংলাদেশে বেড়াতে যানন। চাকরির কারণে এক মাসের বেশি সময় দেশে থাকতে পারেননি।
সোমবারের ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, হামলাকারী ও আতœহত্যাকারী বন্দুকধারী লাস ভেগাস থেকে এসেছে এবং সে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। তার নাম সানে ডি তামুরা, বয়স ২৭। এসময় মেয়র নিহত রতনকে ‘সহসী বীর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এদিকে সোমবার রাতেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রতনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করে ফিউনেরাল হোমে নেয়া হয়। সিটি মেয়র অ্যাডামস ও নিহত রতনের মা এবং পরিবারের সদস্য সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত থেকে তাকে শেষ বিদায় জানায়। এসময় বেদনা বিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে সন্তানের নিহতের খবরে বাবা আব্দুর রব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুত্ব অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন।
নিহত পুলিশ অফিসার রতনে মরদেহ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদের ফিউনেরাল হোমে আনা হলে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে সেখানেও বেদনা বিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার মরদেহ এই ফিউনেরাল হোমেই রাখা হয়েছে। আনুষ্ঠনিকতা শেষে বৃহস্পতিবার বাজ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠান শেষে মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
কুলাউড়ার সন্তান এনওয়াইপিডি’র পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম রতনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় কুলাউড়া বাংলাদেশী এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র সভাপতি সৈয়দ ইলিয়াস খসরু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম মিন্টু ও কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কামাল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন (বাপা)-এর সভাপতি এরশাদুল সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক রাসেক মালিক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মুন্সী এবং এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শোকাহত কমিউনিটি : বেদনা বিধূর পরিবেশ ব্রঙ্কসে

পুলিশ অফিসার রতনের জানাজা বৃহস্পতিবার : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম সহ ইউএস কংগ্রেস সদস্যদের শোক প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ০৩:০১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক সিটির মিডটাউন ম্যানহাটানে এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত এনওয়াইপিডি’র বাংলাদেশী পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম রতনের মরদেহ ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদের ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠান শেষে মরদেহ দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে শোকাহত পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটি। সোমবারের (২৮ জুলাই) ঘটনায় রতন সহ ৪জন নিহত হয়েছে। ঘটনার সময় বন্দুকধারী নিজেও আতœহত্যা করে।
এদিকে পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম রতনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে মাইনোরিটি লীডার কংগ্রেসম্যান হেকিম জ্যাফরিস, ইউএস কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং ও আলেকজান্ডার ওকাসিও কটেজ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে নিহত পুলিশ অফিসার রতন সহ অপর ৩ ব্যক্তি স্মরণে মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানহাটানের ব্র্রায়ান্ট পার্কে সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই সভায় সকল ধর্মীয় অনুসারে নিহতদের জন্য প্রার্থনা এবং মোমবাতীতে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। এতে মেয়র এরিক অ্যাডামস ও পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার এবং বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ অংশ নেন।
মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম রতন, নিউইয়র্ক সিটির সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রায় ৪ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। সোমবার ম্যানহাটানের ৫১ ও ৫২ স্ট্রীটের মাঝামাঝি ৩৪৫ পার্ক এভিনিউ এলাকায় একটি বহুতল ভবনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে এক বন্দুকধারী তাকে গুলি করে গুরুতর আহত করে ভবনটির ৩৩ তলায় গিয়ে আরও কয়েকজন-কে গুলি করে এবং এক পর্যায়ে সে তার নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় রতন সহ ৪জন নিহত হন বলে জানা যায়।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাসরত রতনের দেশের বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া সদর উপজেলাধীর পৌর এলাকার মাগুড়া। ব্যক্তিগত জীবনে দিদারুল ইসলাম রতন ৮ ও ৬ বছরের দুই সন্তানের জনক এবং তিনি তার পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন। তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তসত্তা বলে জানা গেছে। তার মা-বাবা ও দুই বোন নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করেন। ২০০৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হন এবং নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। বিয়ে করেন মামাতো বোনকে। ঘটনার দিন সোমবার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। অথচ দায়িত্ব পালনের কারণে তিনি তার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে নি। ঘাতকের গুলিতে চলে গেলেন চিরতরে। কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তর মাগুরা এলাকায় ‘নাঈমা নীড়’ নামে তাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে। ২০০০ সালের জমি কিনে বাড়ীটি তৈরি করেন। তবে রতনদের আদি বাড়ি পাশের বড়লেখা উপজেলার ছিকামহল গ্রামে। ২০০৯ সালে রতন কুলাউড়া সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস কওে যুক্তরাষ্ট্র আসেন। সর্বশেষ ২০২৪ মার্চে ১৫ বছর পর বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী আর দুই সন্তানরে নিয়া রতন বাংলাদেশে বেড়াতে যানন। চাকরির কারণে এক মাসের বেশি সময় দেশে থাকতে পারেননি।
সোমবারের ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, হামলাকারী ও আতœহত্যাকারী বন্দুকধারী লাস ভেগাস থেকে এসেছে এবং সে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। তার নাম সানে ডি তামুরা, বয়স ২৭। এসময় মেয়র নিহত রতনকে ‘সহসী বীর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এদিকে সোমবার রাতেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রতনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করে ফিউনেরাল হোমে নেয়া হয়। সিটি মেয়র অ্যাডামস ও নিহত রতনের মা এবং পরিবারের সদস্য সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত থেকে তাকে শেষ বিদায় জানায়। এসময় বেদনা বিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে সন্তানের নিহতের খবরে বাবা আব্দুর রব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুত্ব অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন।
নিহত পুলিশ অফিসার রতনে মরদেহ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদের ফিউনেরাল হোমে আনা হলে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে সেখানেও বেদনা বিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার মরদেহ এই ফিউনেরাল হোমেই রাখা হয়েছে। আনুষ্ঠনিকতা শেষে বৃহস্পতিবার বাজ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠান শেষে মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
কুলাউড়ার সন্তান এনওয়াইপিডি’র পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম রতনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় কুলাউড়া বাংলাদেশী এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র সভাপতি সৈয়দ ইলিয়াস খসরু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম মিন্টু ও কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কামাল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন (বাপা)-এর সভাপতি এরশাদুল সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক রাসেক মালিক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মুন্সী এবং এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।