নিউইয়র্ক ১১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী নাজমা খানম হত্যা মামলার রায়ে ঘাতক মার্টিনের ৪০ বছরের কারাদন্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৫৭২ বার পঠিত

শিবলী চৌধুরী কায়েস: আর কোন স্বপ্নের অপমৃত্যু চাই না। চাই কমিউনিটির ঐক্য আর শান্তিপূর্ণ সহবস্থান। বাংলাদেশী নাজমা খানম হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এমন মন্তব্য করেছেন, তার পরিবারের সদস্যরা। ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিজ বাড়ির পাশেই প্রাণ হারিয়েছিলেন, ষাটোর্ধ্ব নাজমা। দীর্ঘ দুই বছর পর অবশেষে এ মামলার রায় দেয়া হয়। যাতে আসামিকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় সর্বোচ্চ ২৫ বছরের জামিন-অযোগ্য সাজা আর ছিনতাইয়ের জন্য ১৫ বছরের দন্ড দেয় কুইন্সের ক্রিমিনাল কোর্ট। রায়ের প্রতিক্রিয়া ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্টরা।
২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। কর্মস্থল থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন বাংলাদেশী নাজমা খানম। তার ঠিক গজ পেছনেই ছিলেন স্বামী সামছুল আলম খান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস; চোখের পলকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন প্রিয় মানুষটি। তা ভাবতেই এখনো আঁতকে উঠছেন, অভিবাসী এ বাংলাদেশী।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা হিলসের-নরম্যাল রোডেই দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন নাজমা। ওই ঘটনায় ফুঁসে উঠেছিল বাংলাদেশী কমিউনিটি। হত্যাকারিকে গ্রেফতারের জোর দাবি উঠে। যাতে একাত্মতা পোষণ করেন নিউইয়র্ক সিটি ও রাজ্য প্রশাসনের মূলধারার রাজনীবিতিদরা।
নাজমা খানমক হত্যার চারদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়, খুনি ‘ইয়োনাতন মার্টিন’কে। আদালতে তার বিরুদ্ধে ছিনতাই ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। সিসিটিভির ফুটেজে তাকে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও যুক্তি তর্ক শেষে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) মামলাটির রায় ঘোষণা করেন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক। যাতে নাজমা খানমকে হত্যা সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে জামিন-অযোগ্য ২৫ বছরের সাজা এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরো ১৫ বছরের দন্ড দেয়া হয়।
দীর্ঘ দুই বছর পর মামলাটির রায়ের পরও চোখের সামনে নিজের সহধর্মীনির মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সামছুল আলম খান। জানান, স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমিয়ে একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু কোনভাবে কাম্য ছিল না তাদের।
কেবল নাজমা খানমই নন, ২০১৬ সালে জুন মাসে নিউইয়র্কের ওজন পার্কে খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশী ইমাম-আকুনজি ও তার সহযোগি তারা উদ্দিন মিয়া। দুর্বৃত্তের হাতে একই বছরে তিনজন বাংলাদেশীর প্রাণহানিকে ‘হেইট-ক্রাইম’ বলে অভিযোগ ছিল কমিউনিটির। (সূত্র: টাইম টেলিভিশন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশী নাজমা খানম হত্যা মামলার রায়ে ঘাতক মার্টিনের ৪০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

শিবলী চৌধুরী কায়েস: আর কোন স্বপ্নের অপমৃত্যু চাই না। চাই কমিউনিটির ঐক্য আর শান্তিপূর্ণ সহবস্থান। বাংলাদেশী নাজমা খানম হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এমন মন্তব্য করেছেন, তার পরিবারের সদস্যরা। ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিজ বাড়ির পাশেই প্রাণ হারিয়েছিলেন, ষাটোর্ধ্ব নাজমা। দীর্ঘ দুই বছর পর অবশেষে এ মামলার রায় দেয়া হয়। যাতে আসামিকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় সর্বোচ্চ ২৫ বছরের জামিন-অযোগ্য সাজা আর ছিনতাইয়ের জন্য ১৫ বছরের দন্ড দেয় কুইন্সের ক্রিমিনাল কোর্ট। রায়ের প্রতিক্রিয়া ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্টরা।
২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। কর্মস্থল থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন বাংলাদেশী নাজমা খানম। তার ঠিক গজ পেছনেই ছিলেন স্বামী সামছুল আলম খান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস; চোখের পলকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন প্রিয় মানুষটি। তা ভাবতেই এখনো আঁতকে উঠছেন, অভিবাসী এ বাংলাদেশী।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা হিলসের-নরম্যাল রোডেই দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন নাজমা। ওই ঘটনায় ফুঁসে উঠেছিল বাংলাদেশী কমিউনিটি। হত্যাকারিকে গ্রেফতারের জোর দাবি উঠে। যাতে একাত্মতা পোষণ করেন নিউইয়র্ক সিটি ও রাজ্য প্রশাসনের মূলধারার রাজনীবিতিদরা।
নাজমা খানমক হত্যার চারদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়, খুনি ‘ইয়োনাতন মার্টিন’কে। আদালতে তার বিরুদ্ধে ছিনতাই ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। সিসিটিভির ফুটেজে তাকে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও যুক্তি তর্ক শেষে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) মামলাটির রায় ঘোষণা করেন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক। যাতে নাজমা খানমকে হত্যা সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে জামিন-অযোগ্য ২৫ বছরের সাজা এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরো ১৫ বছরের দন্ড দেয়া হয়।
দীর্ঘ দুই বছর পর মামলাটির রায়ের পরও চোখের সামনে নিজের সহধর্মীনির মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সামছুল আলম খান। জানান, স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমিয়ে একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু কোনভাবে কাম্য ছিল না তাদের।
কেবল নাজমা খানমই নন, ২০১৬ সালে জুন মাসে নিউইয়র্কের ওজন পার্কে খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশী ইমাম-আকুনজি ও তার সহযোগি তারা উদ্দিন মিয়া। দুর্বৃত্তের হাতে একই বছরে তিনজন বাংলাদেশীর প্রাণহানিকে ‘হেইট-ক্রাইম’ বলে অভিযোগ ছিল কমিউনিটির। (সূত্র: টাইম টেলিভিশন)