নিউইয়র্ক ০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী নওশাদের কারণে নিউইয়র্ক সিটির গতি কমলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৪
  • / ১১৮২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি রাস্তা পার হবার সময় ট্রাকের চাপায় নিহত হয় ৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী ছাত্র নওশাদ নাহিয়ান হাসান। সে সময় দাবি উঠেছিল এই সিটির সড়কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ কমানোর। নাহিয়ানের শোকার্ত মা-বাবা-বোনের আকুতির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও অঙ্গীকার করেছিলেন দুর্ঘটনারোধে যথাসাধ্য পদক্ষেপ গ্রহণের। ১১ মাস পর মেয়রের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন ঘটলো এবং নিউইয়র্ক সিটির গতি কমে গেল ঘণ্টায় ৫ মাইল। এ বিধি ৭ নভেম্বর শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে সিটিতে ঘণ্টা সর্বোচ্চ ৩০ মাইল বেগে গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল।
সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর আহ্বানে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়। নয়া এই বিধি কার্যকর করতে সড়ক দ্বীপে সাইন লাগানো হচ্ছে। যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যদি ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তাহলে জরিমানা হবে কমপক্ষে ১৫০ ডলার। সঙ্গে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কা। আর যদি সড়কের পাশে স্থাপিত ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাহলে জরিমানা হবে ৫০ ডলার করে। রাডারের সাহায্যে স্পিড পরিমাপ করা হয়। এ বিধির পক্ষে যুক্তি প্রদর্শনকালে সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, সর্বোচ্চ ২৫ মাইল বেগে চলার কোন গাড়ির ধাক্কা খেলে কিংবা আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা দিলে ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা ৩০ মাইল বেগের অর্ধেক। কয়েক মাস আগে সিটির বিভিন্ন সড়কে পরীক্ষামূলকভাবে গতি নিয়ন্ত্রণের একটি প্রকল্প চালু করে এর সুফল এসেছে। এ বছরের গত ১০ মাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৪ জন। পক্ষান্তরে গত বছরের ১২ মাসে বাংলাদেশী নওশাদ নাহিয়ানসহ ২৯১ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।
কুইন্সের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন নর্দার্ন বুলেভার্ডে একটি পাবলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র নাহিয়ান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় বড়বোন নওশীন জাহানের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। স্কুলের প্রবেশ পথে গ্রিন লাইট দেখে রাস্তা পাড় হবার সময় একটি ট্রাক নাহিয়ানকে চাপা দেয়। ১১ বছর বয়সী একমাত্র বোন নওশীনের সামনেই নাহিয়ানের দেহ রাস্তায় মিশে যায়। মর্মান্তিক এ সংবাদ দ্রুত সিটির সকল স্কুলে ছড়িয়ে পড়লে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির অবতারণা হয়। এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হলে সিটি মেয়র সেসময় নাহিয়ানের বাবা মো. ওসমান মিয়া (৪০) এবং স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীর সামনে অঙ্গীকার করেছিলেন গাড়ি দুর্ঘটনারোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের।
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের কমিশনার পলি ট্রটেনবার্গ বলেন, সড়কে নতুন এ বিধির সাইন লাগানো শুরু হয়েছে। ৩০০০ (তিন হাজার) হাজার সাইন লাগানো হবে যাতে কোন ড্রাইভার অভিযোগ করতে না পারেন। এদিকে, নয়া এ বিধির কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্যাক্সি ড্রাইভাররা। নিউইয়র্ক সিটির ট্যাক্সি ড্রাইভারদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ‘ইউনাইটেড ট্যাক্সি ড্রাইভার এসোসিয়েশন, এনওয়াইসি’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ওসমান চৌধুরী বলেন, ‘গতিবেগ হ্রাসের ফলে আমরা যাত্রী হারাবো। কারণ এই সিটির অনেক পাবলিক বাসের গতি ঘণ্টায় ৩০ মাইলের বেশি। এছাড়া পাতাল ট্রেনও দ্রুতগামী।’ ওসমান চৌধুরী বলেন, ‘স্কুল-কলেজের আশপাাশে গতিরোধক স্পিড বাম্প’ স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা কমানো যেত। তা না করে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের পেটে লাথি দেয়ার মত পদক্ষেপ নেয়া হলো। এ অবস্থায় ট্যাক্সি ড্রাইভারদের আয় কমবে ২৫% এর মতো।’
কয়েক বছর আগে মিলিয়ন ডলারের হীরার অলংকার যাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়ে সারা আমেরিকায় বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্টদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্তস্থাপনকারী বগুড়ার সন্তান ওসমান চৌধুরী আরও বলেন, ‘গতিবেগ হ্রাসের ফলে সিটিও থমকে দাঁড়াবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব যখন এগিয়ে চলছে তেমনি সময়ে নিউইয়র্ক সিটির জনজীবনকে পেছনে টেনে ধরার মত বিধি তৈরি করা হলো।’ সিটি প্রশাসন অবশ্য উল্লেখ করেছে যে, নিউইয়র্ক সিটির মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাসড়কের গতিবেগ এ বিধির আওতায় আসবে না। ওইসব মহাসড়কে আগের মতই গাড়ি চালানো যাবে।
এর এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে ১ নভেম্বর থেকে ড্রাইভিংয়ের সময় টেক্সট মেসেজ (এসএমএস) করলে কঠোর শাস্তির বিধি কার্যকর হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর এন্ড্রু কুমো এ নির্দেশ জারি করেছেন। এ বিধি লংঘন করলে নয়া ড্রাইভারের লাইসেন্স সাসপেন্ড হবে ১২০ দিনের জন্যে। একই ড্রাইভার যদি লাইসেন্স ফিরে যাবার ৬ মাসের মধ্যে পুনরায় ওই বিধি লংঘন করেন তাহলে তার লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হবে। এছাড়া ড্রাইভিংয়ের সময় টেক্সট করলে ২০০ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে অন্য সকল (পুরনো ড্রাইভার) লাইসেন্সধারীর জন্যে। একই ড্রাইভার যদি ১৮ মাসের মধ্যে আবারও একই অপরাধ করেন তাহলে ২৫০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। স্টেট গভর্ণর তার বিবৃতিতে বলেছেন, রীতি অনুযায়ী গাড়ি চালানোর অভ্যাস শুরুতেই করতে হয়। এজন্যে নয়া লাইসেন্সধারীদের জন্যে কঠোর রীতি ঘোষণা করা হলো। আগেই জানানো হয়েছে যে, ড্রাইভিংয়ের সময় সেলফোনে কথা বলা বেআইনি ও জরিমানাযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ স্টেটে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশী নওশাদের কারণে নিউইয়র্ক সিটির গতি কমলো

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্ক: গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি রাস্তা পার হবার সময় ট্রাকের চাপায় নিহত হয় ৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী ছাত্র নওশাদ নাহিয়ান হাসান। সে সময় দাবি উঠেছিল এই সিটির সড়কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ কমানোর। নাহিয়ানের শোকার্ত মা-বাবা-বোনের আকুতির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও অঙ্গীকার করেছিলেন দুর্ঘটনারোধে যথাসাধ্য পদক্ষেপ গ্রহণের। ১১ মাস পর মেয়রের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন ঘটলো এবং নিউইয়র্ক সিটির গতি কমে গেল ঘণ্টায় ৫ মাইল। এ বিধি ৭ নভেম্বর শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে সিটিতে ঘণ্টা সর্বোচ্চ ৩০ মাইল বেগে গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল।
সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর আহ্বানে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়। নয়া এই বিধি কার্যকর করতে সড়ক দ্বীপে সাইন লাগানো হচ্ছে। যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যদি ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তাহলে জরিমানা হবে কমপক্ষে ১৫০ ডলার। সঙ্গে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কা। আর যদি সড়কের পাশে স্থাপিত ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাহলে জরিমানা হবে ৫০ ডলার করে। রাডারের সাহায্যে স্পিড পরিমাপ করা হয়। এ বিধির পক্ষে যুক্তি প্রদর্শনকালে সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, সর্বোচ্চ ২৫ মাইল বেগে চলার কোন গাড়ির ধাক্কা খেলে কিংবা আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা দিলে ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা ৩০ মাইল বেগের অর্ধেক। কয়েক মাস আগে সিটির বিভিন্ন সড়কে পরীক্ষামূলকভাবে গতি নিয়ন্ত্রণের একটি প্রকল্প চালু করে এর সুফল এসেছে। এ বছরের গত ১০ মাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৪ জন। পক্ষান্তরে গত বছরের ১২ মাসে বাংলাদেশী নওশাদ নাহিয়ানসহ ২৯১ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।
কুইন্সের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন নর্দার্ন বুলেভার্ডে একটি পাবলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র নাহিয়ান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় বড়বোন নওশীন জাহানের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। স্কুলের প্রবেশ পথে গ্রিন লাইট দেখে রাস্তা পাড় হবার সময় একটি ট্রাক নাহিয়ানকে চাপা দেয়। ১১ বছর বয়সী একমাত্র বোন নওশীনের সামনেই নাহিয়ানের দেহ রাস্তায় মিশে যায়। মর্মান্তিক এ সংবাদ দ্রুত সিটির সকল স্কুলে ছড়িয়ে পড়লে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির অবতারণা হয়। এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হলে সিটি মেয়র সেসময় নাহিয়ানের বাবা মো. ওসমান মিয়া (৪০) এবং স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীর সামনে অঙ্গীকার করেছিলেন গাড়ি দুর্ঘটনারোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের।
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের কমিশনার পলি ট্রটেনবার্গ বলেন, সড়কে নতুন এ বিধির সাইন লাগানো শুরু হয়েছে। ৩০০০ (তিন হাজার) হাজার সাইন লাগানো হবে যাতে কোন ড্রাইভার অভিযোগ করতে না পারেন। এদিকে, নয়া এ বিধির কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্যাক্সি ড্রাইভাররা। নিউইয়র্ক সিটির ট্যাক্সি ড্রাইভারদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ‘ইউনাইটেড ট্যাক্সি ড্রাইভার এসোসিয়েশন, এনওয়াইসি’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ওসমান চৌধুরী বলেন, ‘গতিবেগ হ্রাসের ফলে আমরা যাত্রী হারাবো। কারণ এই সিটির অনেক পাবলিক বাসের গতি ঘণ্টায় ৩০ মাইলের বেশি। এছাড়া পাতাল ট্রেনও দ্রুতগামী।’ ওসমান চৌধুরী বলেন, ‘স্কুল-কলেজের আশপাাশে গতিরোধক স্পিড বাম্প’ স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা কমানো যেত। তা না করে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের পেটে লাথি দেয়ার মত পদক্ষেপ নেয়া হলো। এ অবস্থায় ট্যাক্সি ড্রাইভারদের আয় কমবে ২৫% এর মতো।’
কয়েক বছর আগে মিলিয়ন ডলারের হীরার অলংকার যাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়ে সারা আমেরিকায় বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্টদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্তস্থাপনকারী বগুড়ার সন্তান ওসমান চৌধুরী আরও বলেন, ‘গতিবেগ হ্রাসের ফলে সিটিও থমকে দাঁড়াবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব যখন এগিয়ে চলছে তেমনি সময়ে নিউইয়র্ক সিটির জনজীবনকে পেছনে টেনে ধরার মত বিধি তৈরি করা হলো।’ সিটি প্রশাসন অবশ্য উল্লেখ করেছে যে, নিউইয়র্ক সিটির মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাসড়কের গতিবেগ এ বিধির আওতায় আসবে না। ওইসব মহাসড়কে আগের মতই গাড়ি চালানো যাবে।
এর এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে ১ নভেম্বর থেকে ড্রাইভিংয়ের সময় টেক্সট মেসেজ (এসএমএস) করলে কঠোর শাস্তির বিধি কার্যকর হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর এন্ড্রু কুমো এ নির্দেশ জারি করেছেন। এ বিধি লংঘন করলে নয়া ড্রাইভারের লাইসেন্স সাসপেন্ড হবে ১২০ দিনের জন্যে। একই ড্রাইভার যদি লাইসেন্স ফিরে যাবার ৬ মাসের মধ্যে পুনরায় ওই বিধি লংঘন করেন তাহলে তার লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হবে। এছাড়া ড্রাইভিংয়ের সময় টেক্সট করলে ২০০ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে অন্য সকল (পুরনো ড্রাইভার) লাইসেন্সধারীর জন্যে। একই ড্রাইভার যদি ১৮ মাসের মধ্যে আবারও একই অপরাধ করেন তাহলে ২৫০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। স্টেট গভর্ণর তার বিবৃতিতে বলেছেন, রীতি অনুযায়ী গাড়ি চালানোর অভ্যাস শুরুতেই করতে হয়। এজন্যে নয়া লাইসেন্সধারীদের জন্যে কঠোর রীতি ঘোষণা করা হলো। আগেই জানানো হয়েছে যে, ড্রাইভিংয়ের সময় সেলফোনে কথা বলা বেআইনি ও জরিমানাযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ স্টেটে।