নিউইয়র্ক ০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবাইদার প্রার্থীতা ঘোষণা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯
  • / ৬৬৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে পরিচিত মুখ বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবাইদা নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান যিনি এই আসনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারীতে অ্যাসেম্বলীওম্যান পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। তার প্রার্থীতার মধ্য দিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নিউইয়র্কের বর্তমান অ্যাম্বলীওম্যান ক্যাথরিন নোলানকে। অ্যাসেম্বলীওম্যান ক্যাথরিন দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে এই আসনের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগামী ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে বিজয়ী হলে মেরি জোবাইদা প্রথমবারের মতো আলবেনি’র প্রতিনিধি সভায় যোগ দেয়ার সৌভাগ্য অর্জণ করবেন। প্রতিনিধিত্ব করবেন নিউইয়র্ক-এর ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ এর। ইতিমধ্যেই নিউইয়র্কের কমিউনিটিভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম গুরুত্বের সাথে তার প্রার্থীতার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে খবরটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স ব্রীজ, লং আইল্যান্ড সিটি, সানি সাইড, উডসাইড, ম্যাসপাথ ও রিজউড নিয়ে অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ আসন। ২০১০ সালের আদমশুমারীর হিসেবে এই আসনে ১,২৯,১৮৭ মানুষের বসবাস।
জানা গেছে, বিগত ৩৫ বছর ধরে নিউইয়র্ক-এর অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন ক্যাথরিন নোলান। এমনকি গত এক দশকে কেউ প্রাইমারী নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জটুকুও জানায়নি। দশ বছরে এবারই প্রথম ক্যাথরিন নোলান প্রাইমারীতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন।
এদিকে ক্যাথরিন নোলান নিউইয়র্কের জনপ্রিয় রাজনীতিকদের একজন। গত বছর তিনি নিউইয়র্কের ষ্টেট অ্যাসেম্বলী হাউজের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পান। নিউইয়র্কের শিক্ষা-বিষয়ক কমিটির প্রধান হিসেবে শিক্ষা খাতে নানা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সম্প্রতি নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে সিটিতে আমাজনের সদর দপ্তর স্থাপনের পক্ষে অবস্থান করা ক্যাথরিন নোলানের জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশী-আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট মেরী জোবাইদা প্রার্থিতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশী কমিউনিটি ছাড়াও বিভিন্ন প্রগতিশীল গ্রুপ সহ ইহুদী, জুইস, খ্রীষ্টান ও স্প্যানিশ কমিউনিটি তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।
মেরী জোবাইদা তার প্রার্থিতা ঘোষণার বিষয়ে বাংলা পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দেখেছি ব্যালটে একজননেরই নাম। ভোটারদের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিষয়টি রীতিমতো বিস্ময়কর। গণতন্ত্রের এ চেহারা আমাকে বিস্মিত করেছে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বসী।
ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রাইমারীতে নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মেরী জোবাইদা বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন ও পরিবেশ নিয়ে সোচ্চার থাকবো। পাশাপাশি ষ্টেট অ্যাসেম্বলী হাউজ সদস্যদের নির্বাচনের মেয়াদ নির্দিষ্টকরণে কাজ করব। নাগরিকদের সম্পদের বৈষম্য নিয়ে সব সময় সোচ্চার মেরি জোবাইদা বলেন, ‘ধনী-গরিবের সম্পদের ফারাক আমাদের জন্য পীড়াদায়ক।’
নির্বাচনী তহবিল প্রসঙ্গে মেরী জোবাইদা বলেন, আগামী বছরের জুন মাসে দলের প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনী খরচ ব্যয়ে ফান্ড রেইজ করা হবে। আমি জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচন করায় বিশ্বাসী। কোন কালো অর্থ বা আবাসন ও নির্বাচনী দাতাদের কাছ থেকে কোন চাঁদা বা অনুদান নেবেন না বলে তিনি জানান।
নিজের প্রার্থীতার বিষয়টি নিশ্চিত করে মেরী জোবাইদা বলেছেন, এই দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) আমাকে এত বেশি দিয়েছে যে, আমার মন থেকে আমি এদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এই দেশের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। নিজেকে প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট হিসেবে উল্লেখ করে মেরী জোবাইদা বলেন, আমি মানুষের শক্তি আবারো মানুষের কাছে ফেরত দিতে চাই। নিজের ডিষ্ট্রিক্টে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই, নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের মা মেরী জোবাইদা নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটির কোর্ট স্কয়ারে গত দুই দশক ধরে সপরিবারে বাস করছেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে তিনি পরিচিত মুখ। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এ স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে সাংবাদিকতার পাশাপাশি সেবামূলক বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে আসছেন। কমিউনিটির পাশাপাশি মূল ধারায়ও তার কাজের পরিধি বাড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে আরবান হেলথ প্ল্যান’র আউটরিচ স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত। এর আগে প্যানোরামা বাংলাদেশ’র ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজর, নিউইয়র্কে বাংলাভাষার টেলিভিশন চ্যানেল টাইম টিভি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার ফিচার রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকেই সাংগঠনিক সক্ষমতা অর্জন করেছেন মেরী জোবাইদা। লাগর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজ (কিউনি)’র স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভিপি ও এপিআই লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও নিউইউয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির কমিটি ফর চাইল্ড কেয়ার’র সিনেটর/চেয়ার ছিলেন। বরিশালে জন্মগ্রহণকারী মেরী জোবাইদা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী জীবনের আগে ঢাকাস্থ লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবাইদার প্রার্থীতা ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে পরিচিত মুখ বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবাইদা নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান যিনি এই আসনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারীতে অ্যাসেম্বলীওম্যান পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। তার প্রার্থীতার মধ্য দিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নিউইয়র্কের বর্তমান অ্যাম্বলীওম্যান ক্যাথরিন নোলানকে। অ্যাসেম্বলীওম্যান ক্যাথরিন দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে এই আসনের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগামী ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে বিজয়ী হলে মেরি জোবাইদা প্রথমবারের মতো আলবেনি’র প্রতিনিধি সভায় যোগ দেয়ার সৌভাগ্য অর্জণ করবেন। প্রতিনিধিত্ব করবেন নিউইয়র্ক-এর ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ এর। ইতিমধ্যেই নিউইয়র্কের কমিউনিটিভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম গুরুত্বের সাথে তার প্রার্থীতার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে খবরটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স ব্রীজ, লং আইল্যান্ড সিটি, সানি সাইড, উডসাইড, ম্যাসপাথ ও রিজউড নিয়ে অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ আসন। ২০১০ সালের আদমশুমারীর হিসেবে এই আসনে ১,২৯,১৮৭ মানুষের বসবাস।
জানা গেছে, বিগত ৩৫ বছর ধরে নিউইয়র্ক-এর অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন ক্যাথরিন নোলান। এমনকি গত এক দশকে কেউ প্রাইমারী নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জটুকুও জানায়নি। দশ বছরে এবারই প্রথম ক্যাথরিন নোলান প্রাইমারীতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন।
এদিকে ক্যাথরিন নোলান নিউইয়র্কের জনপ্রিয় রাজনীতিকদের একজন। গত বছর তিনি নিউইয়র্কের ষ্টেট অ্যাসেম্বলী হাউজের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পান। নিউইয়র্কের শিক্ষা-বিষয়ক কমিটির প্রধান হিসেবে শিক্ষা খাতে নানা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সম্প্রতি নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে সিটিতে আমাজনের সদর দপ্তর স্থাপনের পক্ষে অবস্থান করা ক্যাথরিন নোলানের জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশী-আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট মেরী জোবাইদা প্রার্থিতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশী কমিউনিটি ছাড়াও বিভিন্ন প্রগতিশীল গ্রুপ সহ ইহুদী, জুইস, খ্রীষ্টান ও স্প্যানিশ কমিউনিটি তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।
মেরী জোবাইদা তার প্রার্থিতা ঘোষণার বিষয়ে বাংলা পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দেখেছি ব্যালটে একজননেরই নাম। ভোটারদের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিষয়টি রীতিমতো বিস্ময়কর। গণতন্ত্রের এ চেহারা আমাকে বিস্মিত করেছে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বসী।
ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রাইমারীতে নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মেরী জোবাইদা বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন ও পরিবেশ নিয়ে সোচ্চার থাকবো। পাশাপাশি ষ্টেট অ্যাসেম্বলী হাউজ সদস্যদের নির্বাচনের মেয়াদ নির্দিষ্টকরণে কাজ করব। নাগরিকদের সম্পদের বৈষম্য নিয়ে সব সময় সোচ্চার মেরি জোবাইদা বলেন, ‘ধনী-গরিবের সম্পদের ফারাক আমাদের জন্য পীড়াদায়ক।’
নির্বাচনী তহবিল প্রসঙ্গে মেরী জোবাইদা বলেন, আগামী বছরের জুন মাসে দলের প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনী খরচ ব্যয়ে ফান্ড রেইজ করা হবে। আমি জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচন করায় বিশ্বাসী। কোন কালো অর্থ বা আবাসন ও নির্বাচনী দাতাদের কাছ থেকে কোন চাঁদা বা অনুদান নেবেন না বলে তিনি জানান।
নিজের প্রার্থীতার বিষয়টি নিশ্চিত করে মেরী জোবাইদা বলেছেন, এই দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) আমাকে এত বেশি দিয়েছে যে, আমার মন থেকে আমি এদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এই দেশের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। নিজেকে প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট হিসেবে উল্লেখ করে মেরী জোবাইদা বলেন, আমি মানুষের শক্তি আবারো মানুষের কাছে ফেরত দিতে চাই। নিজের ডিষ্ট্রিক্টে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই, নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের মা মেরী জোবাইদা নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটির কোর্ট স্কয়ারে গত দুই দশক ধরে সপরিবারে বাস করছেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে তিনি পরিচিত মুখ। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এ স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে সাংবাদিকতার পাশাপাশি সেবামূলক বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে আসছেন। কমিউনিটির পাশাপাশি মূল ধারায়ও তার কাজের পরিধি বাড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে আরবান হেলথ প্ল্যান’র আউটরিচ স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত। এর আগে প্যানোরামা বাংলাদেশ’র ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজর, নিউইয়র্কে বাংলাভাষার টেলিভিশন চ্যানেল টাইম টিভি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার ফিচার রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকেই সাংগঠনিক সক্ষমতা অর্জন করেছেন মেরী জোবাইদা। লাগর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজ (কিউনি)’র স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভিপি ও এপিআই লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও নিউইউয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির কমিটি ফর চাইল্ড কেয়ার’র সিনেটর/চেয়ার ছিলেন। বরিশালে জন্মগ্রহণকারী মেরী জোবাইদা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী জীবনের আগে ঢাকাস্থ লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। (বাংলা পত্রিকা)