নিউইয়র্ক ০১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান : আ. লীগ রাজনৈতিক শ্লোগানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিশৃঙ্খলা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ সোসাইটির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): প্রবাসে জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতি তুলে ধরার প্রত্যয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রæয়ারী) নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডের তিব্বতি সেন্টারে মহান একুশে ফেব্রæয়ারী এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সোসাইটির অনুষ্ঠানমালা। সোসাইটির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, গোল্ডেন হোম কেয়ার সার্ভিসের কর্ণধার লায়ন শাহ নেওয়াজ। এছাড়াও আমন্ত্রি অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর জন সি ল্যু। খবর ইউএনএ’র।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটির বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রী সহ প্রবাসের নতুন প্রজন্ম ও শিল্পীদের অসাধারণ হৃদয়গ্রাহী পরিবেশনা ও মনোমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠান উপস্থিত সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন ছিলো প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বক্সার জিনাত ফেরদৌস-কে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা সহ অতিথি আর সোসাইটির কর্মকর্তারা তার হাতে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন।
বিকেল ৫টার দিকে শিশু কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সোসাইরি একুশের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাপতি আতাউর রহমানের নেতৃত্বে সোসাইটির কর্মকর্তা ও উপস্থিত অতিথিরা এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রতিযোগিতার পুরষ্কার পরবর্তীতে সোসাইটি অফিসে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে বিতরণ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেয়া হয়। তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মেডেল পরিয়ে দেন অতিথি জন ল্যু। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিভিন্ন ধর্মগ্রস্থ থেকে পাঠের পর ভাষা শহীদ সহ মহান মুক্তিযুদ্ধেও সকল শহীদ এবং সোসাইটির প্রয়াত সাবেক কর্মকর্তা ও প্রয়াত প্রবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। সোনাজাত করেন সোসাইটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী। এরপর ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর বেহালঅয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানমালায় আরো ছিল নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহŸায়ক মহিউদ্দিন দেওয়ান। বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, একুশে উদযাপন কমিটির আহবায়ক মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়াদী, সদস্য সচিব ডিউক খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ ও সাহিত্য সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান জিলানী।
একুশে ফেব্রæয়ারী উদযাপন উপলক্ষে ‘অক্ষর’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এই প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। এসময় শাহ নেওয়াজ, সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সহ সোসাইটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার, সাবেক সহ সভাপতি আজহারুল হক মিলন, সাবেক সহ সভাপতি ফারুক মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম ও রুহুল আমীন সিদ্দিকী সহ বর্তমান এবং সাবেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী চন্দন চৌধুরী, শাহ মাহবুব, কামরুজ্জামান বকুল, করিম হওলাদার, মরিয়ম মারিয়া প্রমুখ সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী প্রিয়া ডায়েস ও তার দল এবং নৃত্যাঞ্জলী’র শিল্পীরা মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির একুশের অনুষ্ঠানে শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাত ১২টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিলো: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও অঙ্গসংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও অঙ্গসংগঠন, জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যুক্তরাষ্ট্র, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, চিটাগাং এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন ইন্ক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, দোহার উপজেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক ইউএসএ, বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইন্ক, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশন ইন্ক, কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, চাটখিল সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, নিউইয়র্ক বাংলাদেশী আমেরিকান লায়ন্স ক্লাব, সিলেট গণদাবি পরিষদ ইউএসএ ইন্ক, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এসোসিয়েশন ইন্ক, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইন্ক, প্রবাসী নরসিংদী জেলা সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিউনিটি অব নর্থ আমেরিকা ইন্ক, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ ইন্ক, বৃহত্তর দাউদকান্দি এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সোসাইটি অব ইউএসএ ইন্ক, বগুড়া সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ, প্রবাসী শরীয়তপুর সমিতি ইউএসএ ইন্ক, ঢাকা জেলা সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন ইন্ক, নবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইন্ক, গ্রেটার বেগমগঞ্জ সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, প্রবাসী সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি ইন্ক, রংপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, নারায়ণগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইন্ক, সিলেট সদর সমিতি ইউএসএ ইন্ক, মানিকগঞ্জ সমিতি নর্থ আমেরিকা ইন্ক, সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, যশোর সোসাইটি অব আমেরিকা ইন্ক, পাবনা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, বরিশাল বিভাগীয় সমিতি ইউএসএ ইন্ক, বাংলাদেশ আমেরিকান পোস্টাল এমপ্লয়ী এসোসিয়েশন ইন্ক, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, লক্ষীপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, সেনবাগ সোসাইটি, ভোলা ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইন্ক, বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউএসএ, সাতকানিয়া সোসাইটি ইউএসএস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, সিলেট এমসি অ্যান্ড গভ. কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইন্ক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নাগরিক ঐক্য ফোরাম প্রভৃতি সংগঠন সহ শত শত প্রবাসী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সোসাইটির পক্ষ থেকে কোন ‘রাজনৈতিক শ্লোগান না দেওয়ার’ আহাবান উপেক্ষা করে শ্লোগান দিলে অনুষ্ঠানস্থলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিশৃঙ্খলা দেয়া দেয়। পরবর্তীতে সোসাইটির কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা রক্ষীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থতি শান্ত হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান : আ. লীগ রাজনৈতিক শ্লোগানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিশৃঙ্খলা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ সোসাইটির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): প্রবাসে জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতি তুলে ধরার প্রত্যয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রæয়ারী) নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডের তিব্বতি সেন্টারে মহান একুশে ফেব্রæয়ারী এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সোসাইটির অনুষ্ঠানমালা। সোসাইটির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, গোল্ডেন হোম কেয়ার সার্ভিসের কর্ণধার লায়ন শাহ নেওয়াজ। এছাড়াও আমন্ত্রি অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর জন সি ল্যু। খবর ইউএনএ’র।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটির বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রী সহ প্রবাসের নতুন প্রজন্ম ও শিল্পীদের অসাধারণ হৃদয়গ্রাহী পরিবেশনা ও মনোমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠান উপস্থিত সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন ছিলো প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বক্সার জিনাত ফেরদৌস-কে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা সহ অতিথি আর সোসাইটির কর্মকর্তারা তার হাতে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন।
বিকেল ৫টার দিকে শিশু কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সোসাইরি একুশের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাপতি আতাউর রহমানের নেতৃত্বে সোসাইটির কর্মকর্তা ও উপস্থিত অতিথিরা এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রতিযোগিতার পুরষ্কার পরবর্তীতে সোসাইটি অফিসে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে বিতরণ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেয়া হয়। তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মেডেল পরিয়ে দেন অতিথি জন ল্যু। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিভিন্ন ধর্মগ্রস্থ থেকে পাঠের পর ভাষা শহীদ সহ মহান মুক্তিযুদ্ধেও সকল শহীদ এবং সোসাইটির প্রয়াত সাবেক কর্মকর্তা ও প্রয়াত প্রবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। সোনাজাত করেন সোসাইটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী। এরপর ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর বেহালঅয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানমালায় আরো ছিল নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহŸায়ক মহিউদ্দিন দেওয়ান। বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, একুশে উদযাপন কমিটির আহবায়ক মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়াদী, সদস্য সচিব ডিউক খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ ও সাহিত্য সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান জিলানী।
একুশে ফেব্রæয়ারী উদযাপন উপলক্ষে ‘অক্ষর’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এই প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। এসময় শাহ নেওয়াজ, সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সহ সোসাইটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার, সাবেক সহ সভাপতি আজহারুল হক মিলন, সাবেক সহ সভাপতি ফারুক মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম ও রুহুল আমীন সিদ্দিকী সহ বর্তমান এবং সাবেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী চন্দন চৌধুরী, শাহ মাহবুব, কামরুজ্জামান বকুল, করিম হওলাদার, মরিয়ম মারিয়া প্রমুখ সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী প্রিয়া ডায়েস ও তার দল এবং নৃত্যাঞ্জলী’র শিল্পীরা মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির একুশের অনুষ্ঠানে শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাত ১২টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিলো: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও অঙ্গসংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও অঙ্গসংগঠন, জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যুক্তরাষ্ট্র, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, চিটাগাং এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন ইন্ক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, দোহার উপজেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক ইউএসএ, বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইন্ক, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশন ইন্ক, কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, চাটখিল সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, নিউইয়র্ক বাংলাদেশী আমেরিকান লায়ন্স ক্লাব, সিলেট গণদাবি পরিষদ ইউএসএ ইন্ক, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এসোসিয়েশন ইন্ক, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইন্ক, প্রবাসী নরসিংদী জেলা সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিউনিটি অব নর্থ আমেরিকা ইন্ক, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ ইন্ক, বৃহত্তর দাউদকান্দি এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সোসাইটি অব ইউএসএ ইন্ক, বগুড়া সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ, প্রবাসী শরীয়তপুর সমিতি ইউএসএ ইন্ক, ঢাকা জেলা সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন ইন্ক, নবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইন্ক, গ্রেটার বেগমগঞ্জ সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, প্রবাসী সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি ইন্ক, রংপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, নারায়ণগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইন্ক, সিলেট সদর সমিতি ইউএসএ ইন্ক, মানিকগঞ্জ সমিতি নর্থ আমেরিকা ইন্ক, সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, যশোর সোসাইটি অব আমেরিকা ইন্ক, পাবনা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, বরিশাল বিভাগীয় সমিতি ইউএসএ ইন্ক, বাংলাদেশ আমেরিকান পোস্টাল এমপ্লয়ী এসোসিয়েশন ইন্ক, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক, লক্ষীপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, সেনবাগ সোসাইটি, ভোলা ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইন্ক, বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউএসএ, সাতকানিয়া সোসাইটি ইউএসএস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, সিলেট এমসি অ্যান্ড গভ. কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইন্ক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নাগরিক ঐক্য ফোরাম প্রভৃতি সংগঠন সহ শত শত প্রবাসী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সোসাইটির পক্ষ থেকে কোন ‘রাজনৈতিক শ্লোগান না দেওয়ার’ আহাবান উপেক্ষা করে শ্লোগান দিলে অনুষ্ঠানস্থলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিশৃঙ্খলা দেয়া দেয়। পরবর্তীতে সোসাইটির কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা রক্ষীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থতি শান্ত হয়।