নিউইয়র্ক ০৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রস্তাবিত বাজেট জনস্বার্থ বিরোধী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭
  • / ৫৮০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অনির্বাচিত বিনাভোটের জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কর্মসংস্থানমুখী নয়, এ বাজেট লুটপাটের বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখা। সংগঠনের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন আহমেদ শামীম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
জেএসডি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য চার লাখ দুই শত ছেষট্টি কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ব্যাংক ঋণ ও বিদেশি সাহায্য নির্ভর ঘাটতি বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, কৃষক-শ্রমিক, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী এবং সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে একগুঁয়েমির আশ্রয় নিয়ে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫% ভ্যাট আরোপ করে কার্যত: দেশের শতকরা আশি ভাগ লোকের স্বার্থে আঘাত করা হয়েছে। কৃষক-শ্রমিকসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পেটে লাথি মারা হয়েছে। শিল্পখাত, কৃষিখাত, উৎপাদন খরচ যেন না বাড়িয়ে দেয় যদি কমাতে না পারে। দুটোর একটিও এ বাজেটে রক্ষিত হয়নি। একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় দেয়া হয়েছে সুশাসন ও সংস্কারের ব্যাপারে কিন্তু গতানুগতিক একটি কথাও সুনির্দিষ্টভাবে নেই।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এ বাজেট লুটপাটের বাজেট। এটা একটা প্রকল্প, যে প্রকল্পে এখন আছে অন্তত ১০ হাজার কি ২০ হাজার কোটি টাকা। সেটা দেখবেন ৩০ হাজার কোটি টাকা করেছে। আবার বাড়াবে, ৪০ হাজার কোটি টাকা হবে। এভাবে বাড়তে থাকে। ব্যাংক ঋণ ও বিদেশি সাহায্য নির্ভর বাজেট উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ৪ লক্ষ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সূদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। সরকারি বেসরকারি ব্যাংক লুটপাটের সাথে সাথে জনগণের রক্ত চুষে শেষ করে দিচ্ছে অনির্বাচিত সরকার। বাজেটের প্রচুর অর্থ লুটপাট হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে নতুন বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ধার করতে হবে সরকারকে। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। আজকে আওয়ামী লীগ যে মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী, খুনী, গুম সরকার- এটা পরিষ্কার। তাদের হাতে দেশের মানুষের জীবন-সম্পদ এবং দেশ কোনটাই নিরাপদ নয়।  শুধু সুদ প্রদানে বাজেটের ১০.৪% ব্যয় হবে। বিশেষ করে, দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে নিয়ে নিলে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে না। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

প্রস্তাবিত বাজেট জনস্বার্থ বিরোধী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭

নিউইয়র্ক: অনির্বাচিত বিনাভোটের জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কর্মসংস্থানমুখী নয়, এ বাজেট লুটপাটের বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখা। সংগঠনের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন আহমেদ শামীম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
জেএসডি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য চার লাখ দুই শত ছেষট্টি কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ব্যাংক ঋণ ও বিদেশি সাহায্য নির্ভর ঘাটতি বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, কৃষক-শ্রমিক, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী এবং সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে একগুঁয়েমির আশ্রয় নিয়ে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫% ভ্যাট আরোপ করে কার্যত: দেশের শতকরা আশি ভাগ লোকের স্বার্থে আঘাত করা হয়েছে। কৃষক-শ্রমিকসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পেটে লাথি মারা হয়েছে। শিল্পখাত, কৃষিখাত, উৎপাদন খরচ যেন না বাড়িয়ে দেয় যদি কমাতে না পারে। দুটোর একটিও এ বাজেটে রক্ষিত হয়নি। একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় দেয়া হয়েছে সুশাসন ও সংস্কারের ব্যাপারে কিন্তু গতানুগতিক একটি কথাও সুনির্দিষ্টভাবে নেই।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এ বাজেট লুটপাটের বাজেট। এটা একটা প্রকল্প, যে প্রকল্পে এখন আছে অন্তত ১০ হাজার কি ২০ হাজার কোটি টাকা। সেটা দেখবেন ৩০ হাজার কোটি টাকা করেছে। আবার বাড়াবে, ৪০ হাজার কোটি টাকা হবে। এভাবে বাড়তে থাকে। ব্যাংক ঋণ ও বিদেশি সাহায্য নির্ভর বাজেট উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ৪ লক্ষ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সূদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। সরকারি বেসরকারি ব্যাংক লুটপাটের সাথে সাথে জনগণের রক্ত চুষে শেষ করে দিচ্ছে অনির্বাচিত সরকার। বাজেটের প্রচুর অর্থ লুটপাট হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে নতুন বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ধার করতে হবে সরকারকে। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। আজকে আওয়ামী লীগ যে মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী, খুনী, গুম সরকার- এটা পরিষ্কার। তাদের হাতে দেশের মানুষের জীবন-সম্পদ এবং দেশ কোনটাই নিরাপদ নয়।  শুধু সুদ প্রদানে বাজেটের ১০.৪% ব্যয় হবে। বিশেষ করে, দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে নিয়ে নিলে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে না। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে।