নিউইয়র্ক ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রয়োজনে বাংলাদেশও তাদের স্যাংশন দেবে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সালাহউদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা স্যাংসনের সমালোচনা করে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশও তাদের স্যাংশন দেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্যাংশন দেয়, তারা বিএনপি-জামায়াতের নানা কর্মকান্ডও দেখবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংসনে বিরোধী দলসহ সবার কথাই বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা স্যাংশন দিচ্ছে, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও সমস্যা আছে। তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কি করছে, তাও আমরা জানি। আমরা তো, তাও করিনি।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপরোক্ত কথা বলেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) অপরাহ্নে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ভাষন দেন। এবার নিয়ে শেখ হাসিনা ১৯তম বার জাতিসংঘে ভাষণ দিলেন। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মুহিত তার পাশে ছিলেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক এলাহী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম মালেক সহ তাঁর সফরসঙ্গীদের অনেকেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রদত্ত লিখিত বক্তব্য সময় স্বল্পতার কারণে তা পঠিত বলে গণ্য হবে উল্লেখ করে তিনি সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে চলে যান। খবর ইউএনএ’র।

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে? ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল আর হ্যাঁ-না ভোটের উদাহরণ দিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কোথায় ছিল? ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ভিসানীতির কারণে এবার তারা হয়তো এত দূর যেতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতির একটি সুবিধা হলো, এবার তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।

ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের ওপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এটাই হলো আমাদের স্বার্থকতা। কাজেই কে স্যাংশন দিলো, আর কে স্যাংশন দিলো না সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, হার্ডভার্ডে লেখাপড়া করেছেন। এখানে তাঁর পরিবার আছে, বাড়ী-ব্যবসা আছে। ‘নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। আমাদের তো বাংলাদেশ আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কারো শক্তিতে বিশ্বাস করে নয় বরং জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ আমাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়নি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কাজেই নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হোক- সেটা আমরাও চাই।

নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা আছে তা আওয়ামী লীগের জন্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেকগুলো উপনির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। জনগণ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।

প্রসঙ্গত শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দন্ডিত আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাসায় থাকতে দিয়েছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা নেবার কোন সুযোগ নেই। আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি, সেটা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কে ক্ষমতায় থাকবে সেটা ঠিক করবে দেশের জনগণ।

রোহিঙ্গা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ঘরে ফিরে যাক এটা অনেকেই চায় না। শরণার্থী হিসেবে থাকা কত কষ্টের সেটা আমি বুঝি। রোহিঙ্গারা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের যুক্ত হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একসময় বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে কথাই ছিল, ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা। বিএনপি এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা দেড় মাসও টিকতে পারেনি। তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, মানুষের মধ্যে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এগুলো আমরা করেছি। ভোট ও ভাতের অধিকার আওয়ামী লীগই করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এটি আমারই স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছে এবং নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছে।

কন্যা সায়মা ওয়াজেদের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর (সায়মা) নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা নেই। ছেলে-মেয়েকে এনে চেয়ারে বসিয়ে দিবো এটা আমি বিশ্বাস করি না। কে আসবে না আসবে, তা বাংলাদেশের জনগণ ও দল ঠিক করবে। বলেন, সায়মা ওয়াজেদ অটিজম নিয়ে কাজ করছে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রয়োজনে বাংলাদেশও তাদের স্যাংশন দেবে

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সালাহউদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা স্যাংসনের সমালোচনা করে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশও তাদের স্যাংশন দেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্যাংশন দেয়, তারা বিএনপি-জামায়াতের নানা কর্মকান্ডও দেখবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংসনে বিরোধী দলসহ সবার কথাই বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা স্যাংশন দিচ্ছে, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও সমস্যা আছে। তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কি করছে, তাও আমরা জানি। আমরা তো, তাও করিনি।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপরোক্ত কথা বলেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) অপরাহ্নে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ভাষন দেন। এবার নিয়ে শেখ হাসিনা ১৯তম বার জাতিসংঘে ভাষণ দিলেন। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মুহিত তার পাশে ছিলেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক এলাহী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম মালেক সহ তাঁর সফরসঙ্গীদের অনেকেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রদত্ত লিখিত বক্তব্য সময় স্বল্পতার কারণে তা পঠিত বলে গণ্য হবে উল্লেখ করে তিনি সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে চলে যান। খবর ইউএনএ’র।

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে? ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল আর হ্যাঁ-না ভোটের উদাহরণ দিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কোথায় ছিল? ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ভিসানীতির কারণে এবার তারা হয়তো এত দূর যেতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতির একটি সুবিধা হলো, এবার তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।

ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের ওপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এটাই হলো আমাদের স্বার্থকতা। কাজেই কে স্যাংশন দিলো, আর কে স্যাংশন দিলো না সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, হার্ডভার্ডে লেখাপড়া করেছেন। এখানে তাঁর পরিবার আছে, বাড়ী-ব্যবসা আছে। ‘নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। আমাদের তো বাংলাদেশ আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কারো শক্তিতে বিশ্বাস করে নয় বরং জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ আমাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়নি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কাজেই নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হোক- সেটা আমরাও চাই।

নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা আছে তা আওয়ামী লীগের জন্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেকগুলো উপনির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। জনগণ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।

প্রসঙ্গত শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দন্ডিত আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাসায় থাকতে দিয়েছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা নেবার কোন সুযোগ নেই। আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি, সেটা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কে ক্ষমতায় থাকবে সেটা ঠিক করবে দেশের জনগণ।

রোহিঙ্গা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ঘরে ফিরে যাক এটা অনেকেই চায় না। শরণার্থী হিসেবে থাকা কত কষ্টের সেটা আমি বুঝি। রোহিঙ্গারা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের যুক্ত হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একসময় বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে কথাই ছিল, ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা। বিএনপি এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা দেড় মাসও টিকতে পারেনি। তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, মানুষের মধ্যে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এগুলো আমরা করেছি। ভোট ও ভাতের অধিকার আওয়ামী লীগই করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এটি আমারই স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছে এবং নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছে।

কন্যা সায়মা ওয়াজেদের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর (সায়মা) নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা নেই। ছেলে-মেয়েকে এনে চেয়ারে বসিয়ে দিবো এটা আমি বিশ্বাস করি না। কে আসবে না আসবে, তা বাংলাদেশের জনগণ ও দল ঠিক করবে। বলেন, সায়মা ওয়াজেদ অটিজম নিয়ে কাজ করছে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।