নিউইয়র্ক ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর বড় তালিকা নিয়ে প্রশ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে রয়েছেন অন্তর্বরতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারি নথি অনুযায়ী, নিরাপত্তা দল ও কর্মকর্তাসহ এবার তাঁর সফরসঙ্গীর তালিকায় রয়েছেন ১০৪ জন। তবে সফর-সংক্রান্ত পুস্তিকা অনুযায়ী এ সংখ্যা ৬২। সফরসঙ্গীদের মধ্যে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি রয়েছেন তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন নেতা।
সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতারা হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সদস্য মোহাম্মদ নকিবুর রহমান (তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হয়েছেন), জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোর সময়ে সাধারণত এ ধরনের সফরে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পছন্দের লোকজন যেতেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরাও নিজ খরচে সফরে যুক্ত হতেন। এবার অন্তর্বরতী সরকার তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সফরসঙ্গী করেছেন। তবে সফরসঙ্গীর তালিকা বড় হওয়ায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন মহল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নির্দলীয় অন্তর্র্বতী সরকারও এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সরকারের সংস্কৃতি অনুসরণ করছে কি না, সে রকম সমালোচনা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের নির্ধারিত বক্তৃতার সময় সফরসঙ্গীদের মধ্যে কয়েকজনের উপস্থিতির সুযোগ থাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অতীতে রাজনৈতিক সরকারের আমলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ জন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন। ২০১৪ সালে ১৮০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্কে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালে ২৯২ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্কে যান তিনি। তবে ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সফরসঙ্গীর কলেবর ছোট ছিল।
২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী ছিলেন ৫৭ জন। তখন নিউইয়র্ক যাত্রার আগে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নিরাপত্তাসহ কিছু বিষয় আছে, চাইলেও তা এড়ানো যায় না।
গত বছর অধ্যাপক ইউনূসের নিউইয়র্ক সফরের বহর পুস্তিকা অনুযায়ী ৫৭ জনের হলেও সরকারি নথিতে এ সংখ্যা ছিল ৮০ জনের বেশি। এবার পুস্তিকা অনুযায়ী ৬২ আর সরকারি নথি অনুযায়ী ১০৪ জন। সরকারপ্রধানের বিদেশ সফরের সময় পুস্তিকা ও নথি দুটোই তৈরি করে থাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক সভায় যোগ দিতে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদের বিদেশ সফরের সময় বড় বহর নিয়ে যাওয়াটা দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। এবারও বিপুল সফরসঙ্গী থাকার পরও নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ নিয়ে সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এর দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে অনেকে মনে করছেন।

দুই তালিকা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে দুইভাবে সফরসঙ্গীদের তালিকা করা হয়। শীর্ষ নেতাদের প্রতিটি সফর নিয়ে একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়। এতে সফরের কর্মসূচি, সফরসঙ্গীদের তালিকা, আবাসন বিন্যাস, যানবাহন পরিকল্পনা, যে গন্তব্যে যাওয়া হবে, সে-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা, প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। মূলত শীর্ষ নেতার সঙ্গে যাঁরা একই ফ্লাইটে সফরে যান, পুস্তিকায় সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁদের নাম যুক্ত থাকে।
জানা গেছে, পুস্তিকায় অন্তর্ভুক্ত সফরসঙ্গীদের পাশাপাশি নির্ধারিত সফরটির কাজে নানাভাবে যুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আরেকটি তালিকা তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় থাকা সবাই শীর্ষ নেতার সঙ্গে একই ফ্লাইটে সফর করেন না। তাঁরা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট সফরের আগে কিংবা মাঝপথে শীর্ষ নেতার সফরের কাজে যুক্ত হন। আবার তাঁদের কেউ কেউ অন্য মিশন থেকে এসে বিশেষ দায়িত্বের অংশ হিসেবে শীর্ষ নেতার সফরের কাজে যুক্ত হন। যেমন এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরের জন্য কাঠমান্ডু থেকে দুই সপ্তাহের জন্য নিউইয়র্কে গেছেন শোয়েব আব্দুল্লাহ। এই কূটনীতিক এ বছরের শুরুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি হয়েছেন।

সফরসঙ্গী যাঁরা
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে তৈরি পুস্তিকা অনুযায়ী সফরসঙ্গীর সংখ্যা ৬২। আর সরকারি নথি অনুযায়ী এই সংখ্যা ১০৪। দুই তালিকাতেই যুক্ত আছেন চার উপদেষ্টা-আসিফ নজরুল, মো. তৌহিদ হোসেন, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও আদিলুর রহমান খান। উপদেষ্টা পদমর্যাদার দুজন হলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
সরকারি নথি অনুযায়ী, এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন ১৯ জন ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন ৪৭ জন। (প্রথম আলো)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর বড় তালিকা নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে রয়েছেন অন্তর্বরতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারি নথি অনুযায়ী, নিরাপত্তা দল ও কর্মকর্তাসহ এবার তাঁর সফরসঙ্গীর তালিকায় রয়েছেন ১০৪ জন। তবে সফর-সংক্রান্ত পুস্তিকা অনুযায়ী এ সংখ্যা ৬২। সফরসঙ্গীদের মধ্যে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি রয়েছেন তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন নেতা।
সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতারা হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সদস্য মোহাম্মদ নকিবুর রহমান (তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হয়েছেন), জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোর সময়ে সাধারণত এ ধরনের সফরে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পছন্দের লোকজন যেতেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরাও নিজ খরচে সফরে যুক্ত হতেন। এবার অন্তর্বরতী সরকার তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সফরসঙ্গী করেছেন। তবে সফরসঙ্গীর তালিকা বড় হওয়ায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন মহল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নির্দলীয় অন্তর্র্বতী সরকারও এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সরকারের সংস্কৃতি অনুসরণ করছে কি না, সে রকম সমালোচনা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের নির্ধারিত বক্তৃতার সময় সফরসঙ্গীদের মধ্যে কয়েকজনের উপস্থিতির সুযোগ থাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অতীতে রাজনৈতিক সরকারের আমলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ জন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন। ২০১৪ সালে ১৮০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্কে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালে ২৯২ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্কে যান তিনি। তবে ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সফরসঙ্গীর কলেবর ছোট ছিল।
২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী ছিলেন ৫৭ জন। তখন নিউইয়র্ক যাত্রার আগে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নিরাপত্তাসহ কিছু বিষয় আছে, চাইলেও তা এড়ানো যায় না।
গত বছর অধ্যাপক ইউনূসের নিউইয়র্ক সফরের বহর পুস্তিকা অনুযায়ী ৫৭ জনের হলেও সরকারি নথিতে এ সংখ্যা ছিল ৮০ জনের বেশি। এবার পুস্তিকা অনুযায়ী ৬২ আর সরকারি নথি অনুযায়ী ১০৪ জন। সরকারপ্রধানের বিদেশ সফরের সময় পুস্তিকা ও নথি দুটোই তৈরি করে থাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক সভায় যোগ দিতে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদের বিদেশ সফরের সময় বড় বহর নিয়ে যাওয়াটা দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। এবারও বিপুল সফরসঙ্গী থাকার পরও নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ নিয়ে সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এর দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে অনেকে মনে করছেন।

দুই তালিকা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে দুইভাবে সফরসঙ্গীদের তালিকা করা হয়। শীর্ষ নেতাদের প্রতিটি সফর নিয়ে একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়। এতে সফরের কর্মসূচি, সফরসঙ্গীদের তালিকা, আবাসন বিন্যাস, যানবাহন পরিকল্পনা, যে গন্তব্যে যাওয়া হবে, সে-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা, প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। মূলত শীর্ষ নেতার সঙ্গে যাঁরা একই ফ্লাইটে সফরে যান, পুস্তিকায় সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁদের নাম যুক্ত থাকে।
জানা গেছে, পুস্তিকায় অন্তর্ভুক্ত সফরসঙ্গীদের পাশাপাশি নির্ধারিত সফরটির কাজে নানাভাবে যুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আরেকটি তালিকা তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় থাকা সবাই শীর্ষ নেতার সঙ্গে একই ফ্লাইটে সফর করেন না। তাঁরা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট সফরের আগে কিংবা মাঝপথে শীর্ষ নেতার সফরের কাজে যুক্ত হন। আবার তাঁদের কেউ কেউ অন্য মিশন থেকে এসে বিশেষ দায়িত্বের অংশ হিসেবে শীর্ষ নেতার সফরের কাজে যুক্ত হন। যেমন এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরের জন্য কাঠমান্ডু থেকে দুই সপ্তাহের জন্য নিউইয়র্কে গেছেন শোয়েব আব্দুল্লাহ। এই কূটনীতিক এ বছরের শুরুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি হয়েছেন।

সফরসঙ্গী যাঁরা
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে তৈরি পুস্তিকা অনুযায়ী সফরসঙ্গীর সংখ্যা ৬২। আর সরকারি নথি অনুযায়ী এই সংখ্যা ১০৪। দুই তালিকাতেই যুক্ত আছেন চার উপদেষ্টা-আসিফ নজরুল, মো. তৌহিদ হোসেন, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও আদিলুর রহমান খান। উপদেষ্টা পদমর্যাদার দুজন হলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
সরকারি নথি অনুযায়ী, এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন ১৯ জন ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন ৪৭ জন। (প্রথম আলো)