নিউইয়র্ক ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্যানেল ভোটেই নির্ধারিত হলো জয়-পরাজয়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটির রোববারের (২৭ অক্টোবর) নির্বাচনে প্যানেল ভোটেই জয়ী হয়েছেন ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের সকল প্রার্থী। অপরদিকে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের একমাত্র প্রতিদ্ব›িদ্ব ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের প্রার্থীরাও প্যানেল ভোট পেলেও তাদের সমর্থিত ভোটার সংখ্যা ছিলো কম। এদিকে জনশ্রæতি ছিলো ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের পক্ষ থেকে ১২/১৪ হাজার ভোটার করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল সমর্থিত ভোটার ছিলো ৫/৬ হাজার। কিন্তু এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিলো ১৮ হাজার ৬১৩ জন। খবর ইউএনএ’র।
সোসাাইটির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় এবারের নির্বাচনে ভোটারর উপস্থিতি ছিলো অনেক কম। কেননা, এই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আর বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান গড় দেড়/দুই হাজার। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৫,৪৯৪। এই ভোট পেয়েছেন সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন দেওয়ান। বিপুল সংখ্যক ভোটার নির্বাচনে ভোটদানে অংশ নেননি। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অভিমমত, যেভাবে ভোটার বানানো হয়েছে, সেভাবে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে প্রার্থীরা ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ১৮ হাজারোধীক ভোটারের মধ্যে দুই প্যানেল মিলে ৮/৯ হাজারোধিক ভোটারের কেন্দ্রে উপস্থিতি অনেকেই হতাশ করেছে।
এদিকে নির্বাচনে ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী রুহুল আমীন সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বহুল প্রতিক্ষীত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সকলের অংশগ্রহনে উৎসব মুখর পরিবেশে। এই নির্বাচনে আপনারা যারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনার মূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন আমি একজন প্রাথী হিসেবে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি সহ নির্বাচন কমিশনারের সকল কমিশনারগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল নির্বাচনে মাঠে ছিলেন। এছাড়াও প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যদেরকে, যারা দীর্ঘদিন ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের সাথে থেকে অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি অভিনন্দন ‘সেলিম –আলী’ প্যানেলের সকল নির্বাচিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের।
বিবৃতিতে রুহুল আমীন সিদ্দিকী আরো বলেন, নেতৃত্ব আল্লাহ নির্ধারণ করেন। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ও যে আন্তরিকতা আমি পেয়েছি তা আজীবন ধরে রাখতে চা। ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের সভাপতি পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে সকল ভোটার, শুভাখাঙ্খী ও সহযোগীদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তার জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে অশেষ শোকরিয়া এবং আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি নব নির্বাচিত পরিষদ আগামী দুই বছর সুন্দর ও আন্তরিকতার সাথে বাংলাদেশ সোসাইটিকে পরিচালনা করবে এবং সকলের জন্য যে শ্লোগান ছিল তা বাস্তবায়ন করবেন। মহান আল্লাহতালা সবাইকে সুস্থ ও ভালো রাখুন। আমিন।
অপরদিকে সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম রাব্বী (রাব্বী মোহাম্মদ খোকন) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে বিজয়ী সকল প্রার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আশাকরি নতুন কমিটি আগামী দিনে বাহ্যিক প্রভাব মুক্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোসাইটিকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। একেএম ফজলে রাব্বী ২০০১-২০০২ সালে সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্যানেল ভোটেই নির্ধারিত হলো জয়-পরাজয়

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটির রোববারের (২৭ অক্টোবর) নির্বাচনে প্যানেল ভোটেই জয়ী হয়েছেন ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের সকল প্রার্থী। অপরদিকে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের একমাত্র প্রতিদ্ব›িদ্ব ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের প্রার্থীরাও প্যানেল ভোট পেলেও তাদের সমর্থিত ভোটার সংখ্যা ছিলো কম। এদিকে জনশ্রæতি ছিলো ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের পক্ষ থেকে ১২/১৪ হাজার ভোটার করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল সমর্থিত ভোটার ছিলো ৫/৬ হাজার। কিন্তু এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিলো ১৮ হাজার ৬১৩ জন। খবর ইউএনএ’র।
সোসাাইটির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় এবারের নির্বাচনে ভোটারর উপস্থিতি ছিলো অনেক কম। কেননা, এই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আর বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান গড় দেড়/দুই হাজার। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৫,৪৯৪। এই ভোট পেয়েছেন সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন দেওয়ান। বিপুল সংখ্যক ভোটার নির্বাচনে ভোটদানে অংশ নেননি। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অভিমমত, যেভাবে ভোটার বানানো হয়েছে, সেভাবে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে প্রার্থীরা ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ১৮ হাজারোধীক ভোটারের মধ্যে দুই প্যানেল মিলে ৮/৯ হাজারোধিক ভোটারের কেন্দ্রে উপস্থিতি অনেকেই হতাশ করেছে।
এদিকে নির্বাচনে ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী রুহুল আমীন সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বহুল প্রতিক্ষীত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সকলের অংশগ্রহনে উৎসব মুখর পরিবেশে। এই নির্বাচনে আপনারা যারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনার মূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন আমি একজন প্রাথী হিসেবে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি সহ নির্বাচন কমিশনারের সকল কমিশনারগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল নির্বাচনে মাঠে ছিলেন। এছাড়াও প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যদেরকে, যারা দীর্ঘদিন ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের সাথে থেকে অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি অভিনন্দন ‘সেলিম –আলী’ প্যানেলের সকল নির্বাচিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের।
বিবৃতিতে রুহুল আমীন সিদ্দিকী আরো বলেন, নেতৃত্ব আল্লাহ নির্ধারণ করেন। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ও যে আন্তরিকতা আমি পেয়েছি তা আজীবন ধরে রাখতে চা। ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের সভাপতি পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে সকল ভোটার, শুভাখাঙ্খী ও সহযোগীদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তার জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে অশেষ শোকরিয়া এবং আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি নব নির্বাচিত পরিষদ আগামী দুই বছর সুন্দর ও আন্তরিকতার সাথে বাংলাদেশ সোসাইটিকে পরিচালনা করবে এবং সকলের জন্য যে শ্লোগান ছিল তা বাস্তবায়ন করবেন। মহান আল্লাহতালা সবাইকে সুস্থ ও ভালো রাখুন। আমিন।
অপরদিকে সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম রাব্বী (রাব্বী মোহাম্মদ খোকন) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে বিজয়ী সকল প্রার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আশাকরি নতুন কমিটি আগামী দিনে বাহ্যিক প্রভাব মুক্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোসাইটিকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। একেএম ফজলে রাব্বী ২০০১-২০০২ সালে সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।