নিউইয়র্ক ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ফারহান সাদিকের জানাজা অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ৯৫ বার পঠিত

হককথা রিপোর্ট: নিউইয়র্কের আপষ্টেটে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ফারহান মোহাম্মদ সাদিকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ আগষ্ট) বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জেএমসি’র ইমাম হাফেজ মওলানা আকিব চৌধুরী। জানাজায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ও ফারহানের বন্ধু-বান্ধবসহ কয়েক শত মুসল্লি অংশ নেন। করোনাভাইরাস প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব মেনেই জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত ফারহানের বড় ভাই মোহাম্মদ আব্দুল আহেদ 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ফারহানের মরদেহ আপষ্টেট থেকে এনে পাক ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। সেখান থেকে বুধবার অপরাহ্নে তার মরদেহ ফারহানদের বাসায় আনা হয়। এসময় তাদের বাসায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আদরের সন্তানকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে মা নাসরিন আক্তার রাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক আতœীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী তাকে শেষবারের মতে দেখেন। এরপর তার মরদেহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে আনা হয় এবং বাদ মাগরিব তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজের আগে নিহত ফারহানের বড় ভাই মোহাম্মদ আব্দুল আহেদ সহ জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী ও ইমাম হাফেজ মওলানা আকিব চৌধুরী উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ পাক ফিউনেরাল হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) সকালে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবর স্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
নিহত ফারহান মোহাম্মদ সাদিক

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টার দিকে নিউইয়র্কের আপষ্টেটের বেয়ার মাউন্টেইন এলাকায় প্লালিসাইড পার্কওয়ের এক্সিট ১৮-তে গাড়ী দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ফারহান সাদিক মারা যান। দূর্ঘটনায় তার দুই বন্ধু আহত হলেও তারা আশংকামুক্ত। ঘটনার সময় ফারহানের বন্ধু ইব্রাহিম ইমু গাড়ী ড্রাইভ করছিলেন। ধারাণা করা হচ্ছে অতি দ্রæত গাড়ী চালানোর সময় ওভার স্পীডের কারণেই তারা দূর্ঘটনার শিকার হন। লং আইল্যান্ডে বসবাসকারী ইমু আগের দিন সোমবার ‘ইনফিনিটি স্পোর্টস কার’ ক্রয় করে এবং নতুন গাড়ী নিয়ে আনন্দ করতে তারা লং ড্রাইভে যায়। দূর্ঘটনার সময় গাড়ীটি মোড় ঘুরার সময় একটি গাছের সাথে গাড়ীর পিছনের দিক ধাক্কা খায়। এতে গাড়ীর পিছন সীটে বসা ফারহান সাদিক মারা যান। পরবর্তীতে আহত অপর দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয় এবং তারা আশংকামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ফারহান সাদিকের মা-ভাই তার দূর্ঘটনার খবর পান। আরো উল্লেখ্য, ফারহান সাদিকও একই দিন নিজের কাজে যাতায়াতের জন্য ‘ইউজড ভলবো কার’ ক্রয় করে। কিন্তু বন্ধু ইমুর কার নিউ ব্র্যান্ডের হওয়ায় তার আহŸানেই মধ্যরাতে লং ড্রাইভে বের হয়। ফারহানের ক্রয় করা গাড়ীটি তাদের বাসার সামনে পার্ক করা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ বছর বয়সী ফারহান সাদিক কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাস করতো। মৃত্যকালে সে মা-বাবা আর এক ভাই রেখে যান। তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ। শিশু বয়সে সে মা-বাবার সাথে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী হয়। ফারহান সাঈদের অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ফারহান সাদিকের জানাজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ১২:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

হককথা রিপোর্ট: নিউইয়র্কের আপষ্টেটে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ফারহান মোহাম্মদ সাদিকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ আগষ্ট) বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জেএমসি’র ইমাম হাফেজ মওলানা আকিব চৌধুরী। জানাজায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ও ফারহানের বন্ধু-বান্ধবসহ কয়েক শত মুসল্লি অংশ নেন। করোনাভাইরাস প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব মেনেই জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত ফারহানের বড় ভাই মোহাম্মদ আব্দুল আহেদ 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ফারহানের মরদেহ আপষ্টেট থেকে এনে পাক ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। সেখান থেকে বুধবার অপরাহ্নে তার মরদেহ ফারহানদের বাসায় আনা হয়। এসময় তাদের বাসায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আদরের সন্তানকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে মা নাসরিন আক্তার রাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক আতœীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী তাকে শেষবারের মতে দেখেন। এরপর তার মরদেহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে আনা হয় এবং বাদ মাগরিব তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজের আগে নিহত ফারহানের বড় ভাই মোহাম্মদ আব্দুল আহেদ সহ জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী ও ইমাম হাফেজ মওলানা আকিব চৌধুরী উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ পাক ফিউনেরাল হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) সকালে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবর স্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
নিহত ফারহান মোহাম্মদ সাদিক

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টার দিকে নিউইয়র্কের আপষ্টেটের বেয়ার মাউন্টেইন এলাকায় প্লালিসাইড পার্কওয়ের এক্সিট ১৮-তে গাড়ী দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ফারহান সাদিক মারা যান। দূর্ঘটনায় তার দুই বন্ধু আহত হলেও তারা আশংকামুক্ত। ঘটনার সময় ফারহানের বন্ধু ইব্রাহিম ইমু গাড়ী ড্রাইভ করছিলেন। ধারাণা করা হচ্ছে অতি দ্রæত গাড়ী চালানোর সময় ওভার স্পীডের কারণেই তারা দূর্ঘটনার শিকার হন। লং আইল্যান্ডে বসবাসকারী ইমু আগের দিন সোমবার ‘ইনফিনিটি স্পোর্টস কার’ ক্রয় করে এবং নতুন গাড়ী নিয়ে আনন্দ করতে তারা লং ড্রাইভে যায়। দূর্ঘটনার সময় গাড়ীটি মোড় ঘুরার সময় একটি গাছের সাথে গাড়ীর পিছনের দিক ধাক্কা খায়। এতে গাড়ীর পিছন সীটে বসা ফারহান সাদিক মারা যান। পরবর্তীতে আহত অপর দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয় এবং তারা আশংকামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ফারহান সাদিকের মা-ভাই তার দূর্ঘটনার খবর পান। আরো উল্লেখ্য, ফারহান সাদিকও একই দিন নিজের কাজে যাতায়াতের জন্য ‘ইউজড ভলবো কার’ ক্রয় করে। কিন্তু বন্ধু ইমুর কার নিউ ব্র্যান্ডের হওয়ায় তার আহŸানেই মধ্যরাতে লং ড্রাইভে বের হয়। ফারহানের ক্রয় করা গাড়ীটি তাদের বাসার সামনে পার্ক করা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ বছর বয়সী ফারহান সাদিক কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাস করতো। মৃত্যকালে সে মা-বাবা আর এক ভাই রেখে যান। তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ। শিশু বয়সে সে মা-বাবার সাথে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী হয়। ফারহান সাঈদের অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।