নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় বসবাসকারী সিপিএ মোহাম্মদ হায়দার আলম (৫৪) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার এক মাত্র কন্যা তাসফিয়া আলম-কে স্কুলে পৌছে দেয়ার পর বাসায় ফেরার পথে তিনি স্ট্রোকের শিকার হন এবং জ্যামাইকার ১৬৯ স্ট্রীট ও হাইল্যান্ড এভিনিউ এলাকায় রাস্তায় পড়ে যান। ফলে তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে দূত তাকে কুইন্স জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি ২০/২২ আগে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। খবর ইউএনএ’র।
রাজশাহী জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ আকন্দ জানান, সিপিএ হায়দার আলম স্ত্রী তালিয়া শামসী আরা ও কন্যা তাসফিয়া আলম (১২)-কে নিয়ে কুইন্সের জ্যামাইকা এলাকায় বসবাস করতেন। তার দেশের বাড়ী রাজশাহী জেলার গুদাবাড়ী উপজেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গেই ছিলো।
এদিকে সিপিএ হায়দার আলীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর রাজশাহী জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার ঘরোয়ার রেষ্টুরেন্টে জরুরী সভায় মিলিত হন। সভায় তার মরদেহ দাফন সহ আনুসাঙ্গীক কর্ম সম্পাদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মরহুম হায়দার আলমের দাফন প্রক্রিয়া সহ তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সভায় তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
সভায় রাজশাহী জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ আকন্দ সহ মরহুমের শশুর প্রিন্সপ্যাল মোজাম্মেল হক সহ ডা. আব্দুল লতিফ, মোহাতার হোসেন, মুজিব উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মজিদ আকন্দ ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, হাসপাল কর্তৃপক্ষ মরহুম হায়দার আলমের মরদেহ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফিউনেরার হোমে হস্তান্তর করার কথা। পরবর্তীতে তার নামাজে নানাজা শেষে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম কবর স্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।