নিউইয়র্ক ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪৮০ বার পঠিত

জানাজার আগে বক্তব্য রাখছেন সাদেক হোসেন খোকার বড়ো ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন (বায়ে)। জানাজা নামাজের দৃশ্য (ডানে)

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজা স্থানীয় সময় সোমবার (৪ নভেম্বর) এশার নামাজের পর নিউইয়র্কের কুইন্সে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের ৪/৫ হাজার মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সময় সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর রাত ২টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। নিজের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে তিনি সপরিবারে নিউইয়র্ক চলে আসেন। তারপর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এমিরাত এয়ারলানইন্সের রাতের একটি ফ্লাইটে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছনোর কথা রয়েছে। মরহুম খোকার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ সমাহিত করা হবে।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে নামাজে জানাজার আগে ও পরে একাত্তুরের ‘গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে খ্যাত সাদেক হোসেন খোকাকে প্রবাসে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট জানিয়ে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। তার মরদেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব ও ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ

সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব ও ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। এর আগে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ছোট ছেলে ইসফাক হোসেন ও জেএমসি পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান। এই পর্ব পরিচালনা করেন জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম হোসেন তার বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা-কে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্বোধন না করায় মসজিদে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং চিৎকার ও হৈ চৈ শুরু করেন। তারা খোকার পাসপোর্ট নবায়ন না করারও প্রতিবাদ জানান। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমদ চৌধুরী মসজিদের পরিবেশ রক্ষা এবং সম্মানের সাথে মরহুম খোকার জানায়া সম্পন্নের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং এক পর্যায়ে বিএনপি আব্দুস সালাম, মনজুর আহমদ চৌধুরী এবং সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন-এর আহŸানে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মরহুম খোকার জানার প্রাক্কালে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক ও প্রবাসী সাদেক হোসেন খোকা মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃতদেহ ঢাকায় নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট আমরা এরইমধ্যে ইস্যু করেছি। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত মুসল্লীর বড় অংশ প্রতিবাদ ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
জানাজার আগে বক্তব্য রাখছেন প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন

মরহুম খোকার পুত্র প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন জানাজায় উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নিউইয়র্ক কনস্যুলেট আমার বাবা ও মায়ের পাসপোর্ট নবায়ন না করলেও কনস্যুলেট দ্রæত সময়ের মধ্যে বাবার মরদেহ দেশে নিয়ে যাবার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা আমার বাবার জন্য যা করেছেন, আমার পরিবার তা মনে রাখবে। তার বাবার সাথে কারো কোন দেনা-পাওনা থাকে তার জন্য তিনি পরিবারের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়ে মরহুম খোকার বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় দোয়া প্রত্যাশা করেন।

জানাজার আগে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম

এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিদায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু সহ দলের সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় অংশ নেন। এতে তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদের বেসমেন্ট সহ প্রতিটি ফ্লোর কানায় কানায় ভরে যায়। ঠান্ডার মধ্যেও মসজিদ ভবনের বাইরে এবং সড়কের উপর শত শত মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
সাবেক এমপি এম এম শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, মালয়েশিয়া বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দও মরহুম সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরহুম সাদেক হোসেন খোকার মুখ শেষবারের মতো দেখার জন্য উপস্থিত প্রবাসী হুমরী খেয়ে পড়েন। এসময় ব্যাপক ভীড় পরিলক্ষিত হয়। পরিস্থিত সামাল দিতে অনেকটা তড়িঘরি করেই তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে অনেকে শেষবারের মতো তাঁর মুখ দেখতে পারেননি বলে এই প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেন। ছবি: নিহার সিদ্দিকী

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল

প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

জানাজার আগে বক্তব্য রাখছেন সাদেক হোসেন খোকার বড়ো ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন (বায়ে)। জানাজা নামাজের দৃশ্য (ডানে)

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজা স্থানীয় সময় সোমবার (৪ নভেম্বর) এশার নামাজের পর নিউইয়র্কের কুইন্সে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের ৪/৫ হাজার মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সময় সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর রাত ২টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। নিজের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে তিনি সপরিবারে নিউইয়র্ক চলে আসেন। তারপর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এমিরাত এয়ারলানইন্সের রাতের একটি ফ্লাইটে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছনোর কথা রয়েছে। মরহুম খোকার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ সমাহিত করা হবে।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে নামাজে জানাজার আগে ও পরে একাত্তুরের ‘গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে খ্যাত সাদেক হোসেন খোকাকে প্রবাসে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট জানিয়ে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। তার মরদেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব ও ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ

সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব ও ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। এর আগে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ছোট ছেলে ইসফাক হোসেন ও জেএমসি পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান। এই পর্ব পরিচালনা করেন জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম হোসেন তার বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা-কে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্বোধন না করায় মসজিদে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং চিৎকার ও হৈ চৈ শুরু করেন। তারা খোকার পাসপোর্ট নবায়ন না করারও প্রতিবাদ জানান। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমদ চৌধুরী মসজিদের পরিবেশ রক্ষা এবং সম্মানের সাথে মরহুম খোকার জানায়া সম্পন্নের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং এক পর্যায়ে বিএনপি আব্দুস সালাম, মনজুর আহমদ চৌধুরী এবং সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন-এর আহŸানে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মরহুম খোকার জানার প্রাক্কালে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারী শামীম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক ও প্রবাসী সাদেক হোসেন খোকা মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃতদেহ ঢাকায় নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট আমরা এরইমধ্যে ইস্যু করেছি। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত মুসল্লীর বড় অংশ প্রতিবাদ ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
জানাজার আগে বক্তব্য রাখছেন প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন

মরহুম খোকার পুত্র প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন জানাজায় উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নিউইয়র্ক কনস্যুলেট আমার বাবা ও মায়ের পাসপোর্ট নবায়ন না করলেও কনস্যুলেট দ্রæত সময়ের মধ্যে বাবার মরদেহ দেশে নিয়ে যাবার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা আমার বাবার জন্য যা করেছেন, আমার পরিবার তা মনে রাখবে। তার বাবার সাথে কারো কোন দেনা-পাওনা থাকে তার জন্য তিনি পরিবারের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়ে মরহুম খোকার বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় দোয়া প্রত্যাশা করেন।

জানাজার আগে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম

এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিদায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু সহ দলের সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় অংশ নেন। এতে তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদের বেসমেন্ট সহ প্রতিটি ফ্লোর কানায় কানায় ভরে যায়। ঠান্ডার মধ্যেও মসজিদ ভবনের বাইরে এবং সড়কের উপর শত শত মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
সাবেক এমপি এম এম শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, মালয়েশিয়া বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দও মরহুম সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরহুম সাদেক হোসেন খোকার মুখ শেষবারের মতো দেখার জন্য উপস্থিত প্রবাসী হুমরী খেয়ে পড়েন। এসময় ব্যাপক ভীড় পরিলক্ষিত হয়। পরিস্থিত সামাল দিতে অনেকটা তড়িঘরি করেই তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে অনেকে শেষবারের মতো তাঁর মুখ দেখতে পারেননি বলে এই প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেন। ছবি: নিহার সিদ্দিকী