নিউইয়র্ক ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫
  • / ১৬১২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে নিউইয়র্কে উদযাপন হলো সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ পূজা শারদীয় দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ১৯ অক্টোবর সোমবার থেকে ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভক্ত সমাগমে মন্দির/হল প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে। প্রতিমাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী দেবীর অনুসারীরা মন্ডপে মন্ডপে গিয়ে তেল, সিঁদুর ও মিষ্টি মুখ করিয়ে প্রতিমাকে বিদায় জানান। বিদায় বেলা বিভিন্ন পূজা, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুরো দুর্গোৎসবকে মাতিয়ে রাখেন পূজারীরা। প্রতিবারের মতো এবারো বিভিন্ন মন্দিরে সাজিয়ে তোলা হয় দেবী দুর্গাকে। নিউইয়র্কের সকল পূজা উৎসবেই দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাসের বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটি নেতারা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ পূজা সমিতি অব নিউইয়র্ক
উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ পূজা সমিতি অব নিউইয়র্ক-এর উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হলো। এ উপলক্ষ্যে গত ২৪-২৫ অক্টোবর যথাক্রমে শনি ও রোববার কুইন্স বুলেবার্ডস্থ সানি সাইড কমিউনিটি হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূজা-পার্বন ছাড়াও অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের শুভেচ্ছা বিনিময়, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যাফল ড্র, প্রসাদ বিতরণ প্রভৃতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দী ছাড়াও দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় শিল্পীসহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা একক ও দ্বৈত নৃত্য আর গান পরিবেশন করেন। নতুন প্রজন্মের শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থিত ভক্তদের মুগ্ধ করে। এছাড়াও ছিলো চন্ডী পাঠ, পূজা পর্বের গান- নৈবেদ্য, ভক্তিগীতির আসর- লহরী, আধুনিক গানের আসর- গুঞ্জন/বর্ণালী সন্ধ্যা, গীতি নাট্য- অকাল বোধন প্রভৃতি।
পূজা সমিতির সভাপতি অমিত কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক টিটু দত্ত সহ সমিতির কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ অভ্যাগত ভক্তদের স্বাগত জানান। এছাড়া সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদ্যের মধ্যে অধ্যাপক নবেন্দু বিকাশ দত্ত, সুব্রত বিশ্বাস, সুশীল সাহা, চন্দন সেন গুপ্ত, পরেশ সাহা, শুম্ভু লাল চন্দ, বিষ্ণু গোপ, ঝিলাম চৌধুরী, সুরেন রায়, রঞ্জু দত্ত. রাজ নন্দী, শুভ রায়, বিভুত ভূষণ দাস গুপ্ত সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পূজা উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী ও পরিচালনায় ছিলেন শুভাশীষ রায় শুভ। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনায় ছিলেন উৎপল দত্ত, সোনিয়া সুইটি, প্রিয়াংকা ঘোষ, অর্জিতা বণিক ও শুভ রায়।
প্রবাসী হিন্দু কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক নর-নারী প্রতিদিন এই উৎসবে যোগ দেন। দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে সুভেন রায় সম্পাদনায় ‘আগমণী’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। টাইম টেলিভিশন এই পূজা অনুষ্ঠানের মূল পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করে।
সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ
সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ-এর উদ্যোগে নিউইয়র্কের কুইন্সে উড সাইডস্থ দিব্যধাম সেবাশ্রম মন্দিরে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়। গত ১৮-২২ অক্টোবর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার পুণ্য তিথি অনুযায়ী শারদীয়া দুর্গাপূজার সব আনুষ্ঠানিকতা মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা।
৫দিন ব্যাপী এই পূজায় উপস্থিত ভক্তবৃন্দদেরকে অভিন্দনন জানান সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ ইনক-এর সভাপতি প্রবীর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষ মন্ডল, আহবায়ক মনিকা রায় ও সদস্য সচিব স্বপন ধর ।
প্রবীর কুমার রায় বলেন, প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের মতো প্রতি বছর দুর্গাপূজা পালন করতে পেরে আমরা খুশি। প্রতিবছরের মতো এবারো মহাধুমধামেই প্রবাসীরা মা’র আরাধনা করেছেন। যদিও মা‘কে বিদায় দিতে আমাদের কষ্ট হয়। তারপরও আমরা মহাখুশী দেবী আসছেন, আমাদের জন্য। আমরা দেবীকে বরণ করি আবার নিয়মানুযায়ী বিদায় জানাই।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নিউইর্য়ক
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নিউইর্য়ক ইনক-এর আয়োজনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নিউইর্কের উডসাইডস্থ গুলশান টেরেসে অনুষ্ঠিত হয় ৪ দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গা পূজা। পূজার কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ১৯ অক্টোবর সোমবার মহাসপ্তমী, ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার মহাঅষ্টমী, ২১ অক্টোবর বুধবার মহানবমী এবং ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়াদশমী। পূজা অনুষ্ঠানে প্রতিদিন প্রসাদ বিতরন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীবৃন্দ। পূজা সফল করার জন্য ভক্তদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পরিষদের সভাপতি রমাকান্ত বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ।
ওঁম শক্তি মন্দির
বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ওঁম শক্তি মন্দিরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। গত ১৮-২৩ অক্টোবর পাঁচদিনব্যাপী আয়োজিত এই পূজায় উপস্থিত সকল ভক্তবৃন্দকে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান অসীম দে শংকর, স্বপন কুন্ডু, স্বরুপ সাহা ও গৌরাঙ্গ রায়। পুজা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা অংশ নেন। এছাড়া প্রতিদিন পূজায় প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিপুল সংখ্যক ভক্ত পূজায় অংশগ্রহন করেন।
মহামায়া মন্দির
নিউইয়র্কের জ্যামাইকাস্থ মহামায়া মন্দিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর মহা ধুমধামে ১৯ অক্টোবর সোমবার থেকে ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী জগজ্জননী, অসুর নাশিনী, দশভুজা, দেবীমাতা শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা ও শারদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভক্ত সমাগমে মন্দির প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠে। মহামায়া মন্দিরে এবার একজন মহিলার নেতৃত্বে পূজার আয়োজন করে সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিপ্রা সাহাকে আহবায়ক করে এবং দীপা নাথ, তাপস দে, সমর রায় ও দীপক দাসকে যুগ্ম আহবায়ক করে গঠিত হয় এবারের পূজা কমিটি। অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে আহ্বায়িকা শিপ্রা সাহা ও যুগ্ম আহ্বায়িকা দীপা নাথ। এছাড়ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্দিরের চেয়ারম্যান ডা. অশোক সাহা ও সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে দর্শক ও ভক্তদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি, কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজ, মূলধারার রাজনীতিক এলিসিয়া হাইমেন সহ সিটি ও স্টেটের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধি আর আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীগণ। জন প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্যে হিন্দুদের জন্য দেওয়ালীর ছুটির ব্যাপারে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং নেতৃবৃন্দ দাবীটি পূরণের আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিতে একটি বিলের উল্লেখ করে তারা বলেন, এই মুহূর্তে হিন্দু কমিউনিটির লবিং বিশেষ প্রয়োজন। বিলটি তারা স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে পাশ করাতে বদ্ধপরিকর। তারা সকলকে এই ব্যাপারে তাঁদের নিজ নিজ প্রতিনিধিদের উপর চাপ অব্যাহত রাখা এবং মন্দিরগুলোকে আরও সোচ্চার হতে পরামর্শ দেন।
এবারে উৎসবে বরাবরের মত জয়ন্তী ভট্টাচার্যের পরিচালনায় ও গোবিন্দ দাসের ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এই পর্বে শব্দ নিয়ন্ত্রনে সহযোগিতায় ছিলেন গৌরব দাস অন্তু, শুভ দত্ত ও ভিক্টর ভট্টাচার্য। নতুন প্রজন্মসহ সহ দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের মনমুগ্ধকর পরিবেশনায় মন্দির প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে অংশ নেন- শান্তনু ভৌমিক, চন্দন চৌধুরী, ময়ূরী ভট্টাচার্য, কেকা দাস, শুভ্রা দাস, নিভা দত্ত, অনিন্দিতা, মেঘা, হিয়া, রশ্মিকা, সূচনা, সেঁজুতি, প্রিয়তা, নিকিতা, মৃত্তিকা, আনন্দিতা, প্রকৃতি প্রমুখ।
এছাড়া এবারে মন্দিরের আলোক শয্যা ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দিত, চিত্তাকর্ষক ও প্রশংসনীয়। রাজেন সাহার নেতৃত্বে সাজ-সজ্জার দায়িত্বে আরও ছিলেন অনুপ চৌধুরী, তাপস দে ও দীপক দাস।
পূজা উৎসবে প্রতিদিন প্রাসাদ বিতরণ করা হয়। খাবারের নানা রকম আইটেম পরিবেশন ও রন্ধনে সহযোগিতা করেন বিপ্লব বনিক, রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিকাশ বালা, পরিমল দেবনাথ, সহদেব তালুকদার, মধুসূদন দত্ত, শিল্পী চৌধুরী সহ আরও অনেকে। পূজা ও ভোগের আয়োজনে সহযোগিতা করেন রিঙ্কু চক্রবর্তী, মৌসুমী চক্রবর্তী, অমিয় বেনারজী, আলপনা চক্রবর্তী, দীপা নাথ, সঞ্চিতা দে, শুক্লা রায়, শিপ্রা সাহা, মনি সাহা, সঞ্চিতা দে, শিউলি সরকার, রিনা ভট্টাচার্য, বীণাপাণি দে সহ মন্দিরের সকল ভক্ত পরিবার ও মায়েরা। গ্রোসারী ও আনুষঙ্গিক কাজে সহযোগিতা করেন ধ্রুব চক্রবর্তী, সমর রায়, প্রিয়তোষ দে, তাপস দে, দীপক দাস ও গোপাল সাহা। পূজার প্রসাদ নিবেদন করেন রনজিত দেব, নন্দিতা দেব, গোপাল সাহা ও শিপ্রা সাহা, ডা. অশোক সাহা, জয়শ্রী সাহা, অমর দাস ও পল্লবী দাস, নির্মল পাল ও ডা. শান্তা পাল এবং পরিবারবর্গ। বিজয়া দশমী উপলক্ষে মিষ্টি বিতরন করেন বিপ্লব বনিক ও সাথী বনিক।
পুজায় পুরহিত্য করেন মন্দিরের পূজারি ও শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত অমল শাস্ত্রী। তাকে সহযোগিতা করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রতিদিনের আরতি পরিচালনা করেন দীপক দাস। প্রনব চক্রবর্তীর সম্পাদনায় এবারো বোধন নামে একটি সচিত্র স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আহবায়ক কমিটি ছাড়াও ছিলেন, শ্যামল চক্রবর্তী, ড. দিলীপ নাথ, রঞ্জিত সাহা, অঞ্জন ভট্টাচার্য, তাপস মালো, ডা. অশোক সাহা, দীপক কর্মকার, পরিমল কর্মকার, তাপস দে, ধ্রুব চক্রবর্তী, গোপাল সাহা প্রমুখ। ডটনেট গ্রাফিক্স সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালীরা ব্যক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে মহামায়া মন্দিরের আয়োজনকে স্বার্থক করে তুলেন।
এবারের দুর্গোৎসবে মহামায়া মন্দির শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ২৩-২৪ অক্টোবর পি, এস-৫০ পাবলিক স্কুলের অডিটোরিয়ামে বর্ধিত কলেবরে আয়োজন করেছে বিজয়া দশমী ও আনন্দ অনুষ্ঠান। দুই দিনের এই বর্ধিত অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ডালিয়া ও উৎপল চৌধুরীর পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় মনমাতানো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও প্রদীপ দাস রচিত পূর্ণ দৈর্ঘ্য নাটক ‘রাবন বধ’। শনিবার প্রখ্যাত নাট্যকার জীবন চৌধুরীর গ্রন্থনায় ও গোবিন্দ দাসের পরিচালনায় গীত-নৃত্য-নাট্য ‘শিব সতী পার্বত’ এবং সবশেষে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক-নায়ক এসডি রুবেল এর একক কনসার্টের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয় সপ্তাহব্যাপী শারদ মেলার।
শ্রী শ্রী গৌরনিতাই মন্দির
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা শ্রী শ্রী গৌর নিতাই মন্দিরে গত ১৮-২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান সূচীতে ছিলো পূষ্পাঞ্জলী, আরতী, চন্ডী পাঠ, মায়ের বন্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পূজা মন্ডপে প্রার্থনা ও দেবী দর্শনে মিলিত হন অসংখ্য ভক্ত। ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে দুর্গোৎসব মিলনমেলায় পরিণত হয়। পূজার আয়োজকদের পক্ষে আহ্বায়ক আশীষ রঞ্জন ভৌমিক ও সদস্য সচিব বিক্রম দাস (বিপ্লব) ছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সভাপতি মিলন কর্মকার এবং সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস উপস্থিত সকল ভক্তকে শারদীয়া ও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন

প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

নিউইয়র্ক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে নিউইয়র্কে উদযাপন হলো সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ পূজা শারদীয় দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ১৯ অক্টোবর সোমবার থেকে ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভক্ত সমাগমে মন্দির/হল প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে। প্রতিমাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী দেবীর অনুসারীরা মন্ডপে মন্ডপে গিয়ে তেল, সিঁদুর ও মিষ্টি মুখ করিয়ে প্রতিমাকে বিদায় জানান। বিদায় বেলা বিভিন্ন পূজা, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুরো দুর্গোৎসবকে মাতিয়ে রাখেন পূজারীরা। প্রতিবারের মতো এবারো বিভিন্ন মন্দিরে সাজিয়ে তোলা হয় দেবী দুর্গাকে। নিউইয়র্কের সকল পূজা উৎসবেই দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাসের বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটি নেতারা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ পূজা সমিতি অব নিউইয়র্ক
উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ পূজা সমিতি অব নিউইয়র্ক-এর উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হলো। এ উপলক্ষ্যে গত ২৪-২৫ অক্টোবর যথাক্রমে শনি ও রোববার কুইন্স বুলেবার্ডস্থ সানি সাইড কমিউনিটি হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূজা-পার্বন ছাড়াও অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের শুভেচ্ছা বিনিময়, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যাফল ড্র, প্রসাদ বিতরণ প্রভৃতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দী ছাড়াও দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় শিল্পীসহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা একক ও দ্বৈত নৃত্য আর গান পরিবেশন করেন। নতুন প্রজন্মের শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থিত ভক্তদের মুগ্ধ করে। এছাড়াও ছিলো চন্ডী পাঠ, পূজা পর্বের গান- নৈবেদ্য, ভক্তিগীতির আসর- লহরী, আধুনিক গানের আসর- গুঞ্জন/বর্ণালী সন্ধ্যা, গীতি নাট্য- অকাল বোধন প্রভৃতি।
পূজা সমিতির সভাপতি অমিত কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক টিটু দত্ত সহ সমিতির কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ অভ্যাগত ভক্তদের স্বাগত জানান। এছাড়া সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদ্যের মধ্যে অধ্যাপক নবেন্দু বিকাশ দত্ত, সুব্রত বিশ্বাস, সুশীল সাহা, চন্দন সেন গুপ্ত, পরেশ সাহা, শুম্ভু লাল চন্দ, বিষ্ণু গোপ, ঝিলাম চৌধুরী, সুরেন রায়, রঞ্জু দত্ত. রাজ নন্দী, শুভ রায়, বিভুত ভূষণ দাস গুপ্ত সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পূজা উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী ও পরিচালনায় ছিলেন শুভাশীষ রায় শুভ। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনায় ছিলেন উৎপল দত্ত, সোনিয়া সুইটি, প্রিয়াংকা ঘোষ, অর্জিতা বণিক ও শুভ রায়।
প্রবাসী হিন্দু কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক নর-নারী প্রতিদিন এই উৎসবে যোগ দেন। দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে সুভেন রায় সম্পাদনায় ‘আগমণী’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। টাইম টেলিভিশন এই পূজা অনুষ্ঠানের মূল পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করে।
সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ
সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ-এর উদ্যোগে নিউইয়র্কের কুইন্সে উড সাইডস্থ দিব্যধাম সেবাশ্রম মন্দিরে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়। গত ১৮-২২ অক্টোবর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার পুণ্য তিথি অনুযায়ী শারদীয়া দুর্গাপূজার সব আনুষ্ঠানিকতা মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা।
৫দিন ব্যাপী এই পূজায় উপস্থিত ভক্তবৃন্দদেরকে অভিন্দনন জানান সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ ইউএসএ ইনক-এর সভাপতি প্রবীর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষ মন্ডল, আহবায়ক মনিকা রায় ও সদস্য সচিব স্বপন ধর ।
প্রবীর কুমার রায় বলেন, প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের মতো প্রতি বছর দুর্গাপূজা পালন করতে পেরে আমরা খুশি। প্রতিবছরের মতো এবারো মহাধুমধামেই প্রবাসীরা মা’র আরাধনা করেছেন। যদিও মা‘কে বিদায় দিতে আমাদের কষ্ট হয়। তারপরও আমরা মহাখুশী দেবী আসছেন, আমাদের জন্য। আমরা দেবীকে বরণ করি আবার নিয়মানুযায়ী বিদায় জানাই।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নিউইর্য়ক
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নিউইর্য়ক ইনক-এর আয়োজনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নিউইর্কের উডসাইডস্থ গুলশান টেরেসে অনুষ্ঠিত হয় ৪ দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গা পূজা। পূজার কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ১৯ অক্টোবর সোমবার মহাসপ্তমী, ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার মহাঅষ্টমী, ২১ অক্টোবর বুধবার মহানবমী এবং ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়াদশমী। পূজা অনুষ্ঠানে প্রতিদিন প্রসাদ বিতরন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীবৃন্দ। পূজা সফল করার জন্য ভক্তদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পরিষদের সভাপতি রমাকান্ত বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ।
ওঁম শক্তি মন্দির
বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ওঁম শক্তি মন্দিরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। গত ১৮-২৩ অক্টোবর পাঁচদিনব্যাপী আয়োজিত এই পূজায় উপস্থিত সকল ভক্তবৃন্দকে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান অসীম দে শংকর, স্বপন কুন্ডু, স্বরুপ সাহা ও গৌরাঙ্গ রায়। পুজা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা অংশ নেন। এছাড়া প্রতিদিন পূজায় প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিপুল সংখ্যক ভক্ত পূজায় অংশগ্রহন করেন।
মহামায়া মন্দির
নিউইয়র্কের জ্যামাইকাস্থ মহামায়া মন্দিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর মহা ধুমধামে ১৯ অক্টোবর সোমবার থেকে ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী জগজ্জননী, অসুর নাশিনী, দশভুজা, দেবীমাতা শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা ও শারদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভক্ত সমাগমে মন্দির প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠে। মহামায়া মন্দিরে এবার একজন মহিলার নেতৃত্বে পূজার আয়োজন করে সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিপ্রা সাহাকে আহবায়ক করে এবং দীপা নাথ, তাপস দে, সমর রায় ও দীপক দাসকে যুগ্ম আহবায়ক করে গঠিত হয় এবারের পূজা কমিটি। অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে আহ্বায়িকা শিপ্রা সাহা ও যুগ্ম আহ্বায়িকা দীপা নাথ। এছাড়ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্দিরের চেয়ারম্যান ডা. অশোক সাহা ও সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে দর্শক ও ভক্তদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি, কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজ, মূলধারার রাজনীতিক এলিসিয়া হাইমেন সহ সিটি ও স্টেটের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধি আর আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীগণ। জন প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্যে হিন্দুদের জন্য দেওয়ালীর ছুটির ব্যাপারে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং নেতৃবৃন্দ দাবীটি পূরণের আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিতে একটি বিলের উল্লেখ করে তারা বলেন, এই মুহূর্তে হিন্দু কমিউনিটির লবিং বিশেষ প্রয়োজন। বিলটি তারা স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে পাশ করাতে বদ্ধপরিকর। তারা সকলকে এই ব্যাপারে তাঁদের নিজ নিজ প্রতিনিধিদের উপর চাপ অব্যাহত রাখা এবং মন্দিরগুলোকে আরও সোচ্চার হতে পরামর্শ দেন।
এবারে উৎসবে বরাবরের মত জয়ন্তী ভট্টাচার্যের পরিচালনায় ও গোবিন্দ দাসের ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এই পর্বে শব্দ নিয়ন্ত্রনে সহযোগিতায় ছিলেন গৌরব দাস অন্তু, শুভ দত্ত ও ভিক্টর ভট্টাচার্য। নতুন প্রজন্মসহ সহ দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের মনমুগ্ধকর পরিবেশনায় মন্দির প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে অংশ নেন- শান্তনু ভৌমিক, চন্দন চৌধুরী, ময়ূরী ভট্টাচার্য, কেকা দাস, শুভ্রা দাস, নিভা দত্ত, অনিন্দিতা, মেঘা, হিয়া, রশ্মিকা, সূচনা, সেঁজুতি, প্রিয়তা, নিকিতা, মৃত্তিকা, আনন্দিতা, প্রকৃতি প্রমুখ।
এছাড়া এবারে মন্দিরের আলোক শয্যা ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দিত, চিত্তাকর্ষক ও প্রশংসনীয়। রাজেন সাহার নেতৃত্বে সাজ-সজ্জার দায়িত্বে আরও ছিলেন অনুপ চৌধুরী, তাপস দে ও দীপক দাস।
পূজা উৎসবে প্রতিদিন প্রাসাদ বিতরণ করা হয়। খাবারের নানা রকম আইটেম পরিবেশন ও রন্ধনে সহযোগিতা করেন বিপ্লব বনিক, রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিকাশ বালা, পরিমল দেবনাথ, সহদেব তালুকদার, মধুসূদন দত্ত, শিল্পী চৌধুরী সহ আরও অনেকে। পূজা ও ভোগের আয়োজনে সহযোগিতা করেন রিঙ্কু চক্রবর্তী, মৌসুমী চক্রবর্তী, অমিয় বেনারজী, আলপনা চক্রবর্তী, দীপা নাথ, সঞ্চিতা দে, শুক্লা রায়, শিপ্রা সাহা, মনি সাহা, সঞ্চিতা দে, শিউলি সরকার, রিনা ভট্টাচার্য, বীণাপাণি দে সহ মন্দিরের সকল ভক্ত পরিবার ও মায়েরা। গ্রোসারী ও আনুষঙ্গিক কাজে সহযোগিতা করেন ধ্রুব চক্রবর্তী, সমর রায়, প্রিয়তোষ দে, তাপস দে, দীপক দাস ও গোপাল সাহা। পূজার প্রসাদ নিবেদন করেন রনজিত দেব, নন্দিতা দেব, গোপাল সাহা ও শিপ্রা সাহা, ডা. অশোক সাহা, জয়শ্রী সাহা, অমর দাস ও পল্লবী দাস, নির্মল পাল ও ডা. শান্তা পাল এবং পরিবারবর্গ। বিজয়া দশমী উপলক্ষে মিষ্টি বিতরন করেন বিপ্লব বনিক ও সাথী বনিক।
পুজায় পুরহিত্য করেন মন্দিরের পূজারি ও শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত অমল শাস্ত্রী। তাকে সহযোগিতা করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রতিদিনের আরতি পরিচালনা করেন দীপক দাস। প্রনব চক্রবর্তীর সম্পাদনায় এবারো বোধন নামে একটি সচিত্র স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আহবায়ক কমিটি ছাড়াও ছিলেন, শ্যামল চক্রবর্তী, ড. দিলীপ নাথ, রঞ্জিত সাহা, অঞ্জন ভট্টাচার্য, তাপস মালো, ডা. অশোক সাহা, দীপক কর্মকার, পরিমল কর্মকার, তাপস দে, ধ্রুব চক্রবর্তী, গোপাল সাহা প্রমুখ। ডটনেট গ্রাফিক্স সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালীরা ব্যক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে মহামায়া মন্দিরের আয়োজনকে স্বার্থক করে তুলেন।
এবারের দুর্গোৎসবে মহামায়া মন্দির শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ২৩-২৪ অক্টোবর পি, এস-৫০ পাবলিক স্কুলের অডিটোরিয়ামে বর্ধিত কলেবরে আয়োজন করেছে বিজয়া দশমী ও আনন্দ অনুষ্ঠান। দুই দিনের এই বর্ধিত অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ডালিয়া ও উৎপল চৌধুরীর পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় মনমাতানো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও প্রদীপ দাস রচিত পূর্ণ দৈর্ঘ্য নাটক ‘রাবন বধ’। শনিবার প্রখ্যাত নাট্যকার জীবন চৌধুরীর গ্রন্থনায় ও গোবিন্দ দাসের পরিচালনায় গীত-নৃত্য-নাট্য ‘শিব সতী পার্বত’ এবং সবশেষে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক-নায়ক এসডি রুবেল এর একক কনসার্টের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয় সপ্তাহব্যাপী শারদ মেলার।
শ্রী শ্রী গৌরনিতাই মন্দির
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা শ্রী শ্রী গৌর নিতাই মন্দিরে গত ১৮-২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান সূচীতে ছিলো পূষ্পাঞ্জলী, আরতী, চন্ডী পাঠ, মায়ের বন্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পূজা মন্ডপে প্রার্থনা ও দেবী দর্শনে মিলিত হন অসংখ্য ভক্ত। ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে দুর্গোৎসব মিলনমেলায় পরিণত হয়। পূজার আয়োজকদের পক্ষে আহ্বায়ক আশীষ রঞ্জন ভৌমিক ও সদস্য সচিব বিক্রম দাস (বিপ্লব) ছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সভাপতি মিলন কর্মকার এবং সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস উপস্থিত সকল ভক্তকে শারদীয়া ও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।