নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কূটনীতিক গ্রেপ্তার
- প্রকাশের সময় : ০২:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০১৭
- / ৮৫০ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: গৃহকর্মীকে নির্যাতনের কথিত অভিযোগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কের কুইন্সের জ্যামাইকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহেদুল ইসলাম আদালত থেকে জামিন পেলেও ২৫ হাজার ডলার পরিশোধ করতে না পারায় সোমবার কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। জামিনের অর্থ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশের একজন কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে আটক থাকার ঘটনাটি কমিউনিটিতে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
শাহেদুল ইসলাম ঠাকুরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত খাদেমুল ইসলামের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে নিয়োপ্রাপ্ত হয়ে ২০১১ সালে তিনি নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে যোগ দেন।
জানা গেছে, প্রায় ১৩ মাস আগে শাহেদুল ইসলামের বাসার গৃহকর্মী রুহুল আমিন বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিস থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্ক পুলিশ শাহেদুল ইসলামকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গৃহকর্মী রুহুল আমিনকে ন্যায্য বেতন দেননি এবং তার ওপর নির্যাতন করেছেন। শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন গৃহকর্মী রুহুল আমিন।
রুহুল আমিনের মত গৃহকর্মী পালিয়ে যাবার ঘটনা নিউইয়র্কে নতুন নয়। রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের উদ্দেশ্যে এর আগেও বেশকয়েকজন গৃহকর্মী বাসা থেকে পালিয়ে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হবার আশায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন। সর্বশেষ কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ এসেছিল। পরে ‘কূটনৈতিক সুবিধা’ গ্রহণ করে মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
এদিকে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতা আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম বলেন, শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অনেক গৃহকর্মীই এদেশে বসবাসের লোভে নানানজনের কুপরামর্শে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে এ ধরনের মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, জামিনের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় একজন বাংলাদেশী কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি না পাওয়ার ঘটনাও দুঃখজনক।
নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাহেদুল ইসলামকে সোমবার বিকালে জ্যামাইকার একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে শাহেদুল ইসলামকে জামিন প্রদান করেন ২৫ হাজার ডলার নগদ এবং ৫০ হাজার ডলার বন্ডে। ২৫ হাজার নগদ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শাহেদুল ইসলামের মুক্তি হয়নি। মঙ্গলবার (১৩ জুন) জামিনের অর্থ পরিশোধ করে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনার চেষ্টা করা হবে। শাহেদুল ইসলামকে আগামী ২৮ জুন আবারো আদালতে হাজির হতে হবে। (দৈনিক ইত্তেফাক)