নিউইয়র্ক ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে ‘পাঠাও’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন : শরীরের সবকিছু খন্ড-বিখন্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
  • / ৪৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’র অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৩) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটানে খুন হয়েছেন। ফাহিমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার আত্মীয় আতাউর বাবুল। পরে স্থানীয় পুলিশ ফাহিমের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এনওয়াইপিডি পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমের শরীরের হাত-পা, মাথা সবকিছু খন্ড-বিখন্ড ছিল। ফাহিমের বোন তার খোঁজ না পেয়ে ৯১১ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও ‘পাঠাও’ এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক ফাহিম সালেহ।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার স›দ্বীপের হরিসপুরের সস্তান নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন পোকিপস্পিতে বসবাসরত আইবিএম’র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদের একমাত্র পুত্র ফাহিমকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ-এর শিরচ্ছেদ করা লাশ পুলিশ ১৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে তার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে। বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের দেহ কয়েক টুকরা করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশের ধারণা। খবরটি আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ায় গুরুত্তের সাথে প্রচার ও প্রকাশিত হচ্ছে।
ম্যানহাটানের লোয়্যার ইস্ট সাইডে সাফোক স্ট্রিটের ইস্ট হিউস্টন স্ট্রিটের ওপর লাক্সারি এই এপার্টমেন্টের প্রবেশ পথের ভিডিও ফুটেজের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট কার্লোস নিয়েভেস মিডিয়া-কে জানান, ফাহিমের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা, বুক, দুই হাত ও দুই পা পাওয়া গেছে কক্ষের ভেতরেই।
পুলিশ আরও জানায়, ফাহিমের বোনের টেলিফোন পেয়ে ওই ভবনের সপ্তম তলায় ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে যায় পুলিশ অফিসারেরা। আগেরদিন থেকেই ফাহিমের কোন সন্ধান না পেয়ে তার ছোটবোন উদ্বিগ্নচিত্তে ছুটে গিয়েছিলেন সেখানে। ভেতরে ভাইয়ের শিরচ্ছেদকৃত দেহাবশেষ দেখেই ফোন করেছিলেন ৯১১-এ। ভিডিও ফুটেজের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, ১৩ জুলাই সোমবার বিকেলে ফাহিম লিফট দিয়ে ওই ভবনে ঢুকেছেন। তার পেছনেই ছিল স্যুট পরা এক ব্যক্তি, যার মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক, হাতে গøাভস ছিল। সাথে ছিল একটি স্যুটকেস। পুলিশের ধারনা, ফাহিম তার বাসায় প্রবেশের সময়ে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরই তাকে হয়তো নিস্তেজ করা হতে পারে।
পুলিশ অফিসার আরো উল্লেখ করেছেন যে, ঘাতক খুবই চালাক শ্রেণির। ফাহিমের খন্ডিত দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে পাওয়া গেছে। করাতে তেমন রক্ত দেখেননি পুলিশ অফিসারেরা।
ফাহিম সালেহ গত বছর সোয়া দুই মিলিয়ন ডলারে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে অভিজাতশ্রেণীর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি ক্রয় করেন। ১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের। তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে।
ঘাতকের সন্ধানে ফাহিমের এপার্টমেন্টে প্রবেশের সিটিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে সুপরিকল্পিতভাবে করাত দিয়ে টুকরা টুকরা করার পর খন্ডিত অংশগুলো একটি থলিতে ভরার অপেক্ষায় ছিল এপার্টমেন্টের ভেতরেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমন তথ্যই পেয়েছে। করোনার মহামারির পুরো সময় তিনি ছিলেন মা-বাবার সাথে পোকিস্পিতে। কয়েকদিন আগে সে তার ক্রয় করা এপার্টমেন্টে আসে। এদিকে স্বল্পভাষী ফাহিমের মর্মান্তি মৃত্যু সংবাদে গোটা কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থম্ভিত, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
ফাহিম-এর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এতো অল্প বয়সেই প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হওয়ার পরও তার মধ্যে কোন অহমিকা বা অহংকার ছিল না। সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ফাহিম অবিবাহিত ছিলেন। তার এই হত্যাকান্ডে কে বা কারা জড়িত তা উদঘাটনের দাবি উঠেছে সকল মহল থেকে।
ঢাকার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: মেধাবি ছাত্র ফাহিম নিউইয়র্কে একটি হাই স্কুলে পড়াবস্থায়ই ‘উইজ টিন’ নামক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। বেশ অর্থও আয় করতে সক্ষম হন। এরপর ম্যাসেচুসেটস স্টেটের বেন্টলি ইউনিভার্সিটি থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে কম্পিউটার ইনফরমেশন সিস্টেমে ব্যাচেলর করেন ফাহিম। উদ্ভাবনী মেধাসম্পন্ন ফাহিম আর পেছনে ফিরে না তাকিয়ে কিংবা কোন কোম্পানীতে চাকরির চেষ্টা না করেই মা-বাবার জন্মস্থান বাংলাদেশে ছুটেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় মোটর সাইকেলে যাত্রী পরিবহনে ‘পাঠাও’ প্রযুক্তির প্রচলন ঘটান আরো দুই বন্ধুর সাথে। ঢাকায় অবস্থানকালেই এর আগে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘হ্যাকহাউজ’ নামক আরেকটি সংস্থা। বনানী মডেল টাউনে ছিল এর সদর দফতর।
‘পাঠাও’র প্রচলন রাজধানী ঢাকা ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন সিটিতে বিস্তৃত হয়। এক পর্যায়ে তা নেপালেও সম্প্রসারিত হয়েছে। এমনি অবস্থায় ঢাকা ছাড়েন ফাহিম। নাইজেরিয়ায় পরিচিত একজনের পার্টনারে মোটরবাইকে শেয়ারিং সার্ভিস হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে লাগোসে চালু করেন ‘গোকাডা’। সেই ব্যবসা জমে উঠলেও নানাবিধ কারণে তা বছরখানেক পরই বন্ধ হয়ে গেছে বলে ফাহিমের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে একটি কোম্পানী স্থাপন করেছেন বলে ফাহিমের এক নিকটাত্মীয় জানান। সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত। বিনোদনমূলক এ্যাপারেটাস কোম্পানী ‘কিকব্যাক’রও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফাহিম। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠাতা-পার্টনার ছিলেন এডভেঞ্চার ক্যাপিটলের।

https://www.crunchbase.com/person/fahim-saleh

https://nypost.com/2020/07/14/decapitated-dismembered-body-found-in-nyc-apartment/?fbclid=IwAR1D5PN2RbjDV_zjTDm1ijgnvgY3Bpk7J64V-iBRPmKnQxTlDMF8NJXbXgo

https://www.nydailynews.com/new-york/nyc-crime/ny-headless-torso-found-manhattan-20200714-rz25uxzsejgrxnsk4rd22vf7hq-story.html

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে ‘পাঠাও’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন : শরীরের সবকিছু খন্ড-বিখন্ড

প্রকাশের সময় : ০১:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’র অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৩) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটানে খুন হয়েছেন। ফাহিমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার আত্মীয় আতাউর বাবুল। পরে স্থানীয় পুলিশ ফাহিমের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এনওয়াইপিডি পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমের শরীরের হাত-পা, মাথা সবকিছু খন্ড-বিখন্ড ছিল। ফাহিমের বোন তার খোঁজ না পেয়ে ৯১১ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও ‘পাঠাও’ এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক ফাহিম সালেহ।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার স›দ্বীপের হরিসপুরের সস্তান নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন পোকিপস্পিতে বসবাসরত আইবিএম’র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদের একমাত্র পুত্র ফাহিমকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ-এর শিরচ্ছেদ করা লাশ পুলিশ ১৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে তার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে। বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের দেহ কয়েক টুকরা করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশের ধারণা। খবরটি আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ায় গুরুত্তের সাথে প্রচার ও প্রকাশিত হচ্ছে।
ম্যানহাটানের লোয়্যার ইস্ট সাইডে সাফোক স্ট্রিটের ইস্ট হিউস্টন স্ট্রিটের ওপর লাক্সারি এই এপার্টমেন্টের প্রবেশ পথের ভিডিও ফুটেজের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট কার্লোস নিয়েভেস মিডিয়া-কে জানান, ফাহিমের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা, বুক, দুই হাত ও দুই পা পাওয়া গেছে কক্ষের ভেতরেই।
পুলিশ আরও জানায়, ফাহিমের বোনের টেলিফোন পেয়ে ওই ভবনের সপ্তম তলায় ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে যায় পুলিশ অফিসারেরা। আগেরদিন থেকেই ফাহিমের কোন সন্ধান না পেয়ে তার ছোটবোন উদ্বিগ্নচিত্তে ছুটে গিয়েছিলেন সেখানে। ভেতরে ভাইয়ের শিরচ্ছেদকৃত দেহাবশেষ দেখেই ফোন করেছিলেন ৯১১-এ। ভিডিও ফুটেজের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, ১৩ জুলাই সোমবার বিকেলে ফাহিম লিফট দিয়ে ওই ভবনে ঢুকেছেন। তার পেছনেই ছিল স্যুট পরা এক ব্যক্তি, যার মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক, হাতে গøাভস ছিল। সাথে ছিল একটি স্যুটকেস। পুলিশের ধারনা, ফাহিম তার বাসায় প্রবেশের সময়ে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরই তাকে হয়তো নিস্তেজ করা হতে পারে।
পুলিশ অফিসার আরো উল্লেখ করেছেন যে, ঘাতক খুবই চালাক শ্রেণির। ফাহিমের খন্ডিত দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে পাওয়া গেছে। করাতে তেমন রক্ত দেখেননি পুলিশ অফিসারেরা।
ফাহিম সালেহ গত বছর সোয়া দুই মিলিয়ন ডলারে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে অভিজাতশ্রেণীর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি ক্রয় করেন। ১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের। তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে।
ঘাতকের সন্ধানে ফাহিমের এপার্টমেন্টে প্রবেশের সিটিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে সুপরিকল্পিতভাবে করাত দিয়ে টুকরা টুকরা করার পর খন্ডিত অংশগুলো একটি থলিতে ভরার অপেক্ষায় ছিল এপার্টমেন্টের ভেতরেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমন তথ্যই পেয়েছে। করোনার মহামারির পুরো সময় তিনি ছিলেন মা-বাবার সাথে পোকিস্পিতে। কয়েকদিন আগে সে তার ক্রয় করা এপার্টমেন্টে আসে। এদিকে স্বল্পভাষী ফাহিমের মর্মান্তি মৃত্যু সংবাদে গোটা কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থম্ভিত, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
ফাহিম-এর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এতো অল্প বয়সেই প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হওয়ার পরও তার মধ্যে কোন অহমিকা বা অহংকার ছিল না। সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ফাহিম অবিবাহিত ছিলেন। তার এই হত্যাকান্ডে কে বা কারা জড়িত তা উদঘাটনের দাবি উঠেছে সকল মহল থেকে।
ঢাকার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: মেধাবি ছাত্র ফাহিম নিউইয়র্কে একটি হাই স্কুলে পড়াবস্থায়ই ‘উইজ টিন’ নামক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। বেশ অর্থও আয় করতে সক্ষম হন। এরপর ম্যাসেচুসেটস স্টেটের বেন্টলি ইউনিভার্সিটি থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে কম্পিউটার ইনফরমেশন সিস্টেমে ব্যাচেলর করেন ফাহিম। উদ্ভাবনী মেধাসম্পন্ন ফাহিম আর পেছনে ফিরে না তাকিয়ে কিংবা কোন কোম্পানীতে চাকরির চেষ্টা না করেই মা-বাবার জন্মস্থান বাংলাদেশে ছুটেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় মোটর সাইকেলে যাত্রী পরিবহনে ‘পাঠাও’ প্রযুক্তির প্রচলন ঘটান আরো দুই বন্ধুর সাথে। ঢাকায় অবস্থানকালেই এর আগে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘হ্যাকহাউজ’ নামক আরেকটি সংস্থা। বনানী মডেল টাউনে ছিল এর সদর দফতর।
‘পাঠাও’র প্রচলন রাজধানী ঢাকা ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন সিটিতে বিস্তৃত হয়। এক পর্যায়ে তা নেপালেও সম্প্রসারিত হয়েছে। এমনি অবস্থায় ঢাকা ছাড়েন ফাহিম। নাইজেরিয়ায় পরিচিত একজনের পার্টনারে মোটরবাইকে শেয়ারিং সার্ভিস হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে লাগোসে চালু করেন ‘গোকাডা’। সেই ব্যবসা জমে উঠলেও নানাবিধ কারণে তা বছরখানেক পরই বন্ধ হয়ে গেছে বলে ফাহিমের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে একটি কোম্পানী স্থাপন করেছেন বলে ফাহিমের এক নিকটাত্মীয় জানান। সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত। বিনোদনমূলক এ্যাপারেটাস কোম্পানী ‘কিকব্যাক’রও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফাহিম। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠাতা-পার্টনার ছিলেন এডভেঞ্চার ক্যাপিটলের।

https://www.crunchbase.com/person/fahim-saleh

https://nypost.com/2020/07/14/decapitated-dismembered-body-found-in-nyc-apartment/?fbclid=IwAR1D5PN2RbjDV_zjTDm1ijgnvgY3Bpk7J64V-iBRPmKnQxTlDMF8NJXbXgo

https://www.nydailynews.com/new-york/nyc-crime/ny-headless-torso-found-manhattan-20200714-rz25uxzsejgrxnsk4rd22vf7hq-story.html