নিউইয়র্ক ০৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী : জেএফকে বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / ৩৪ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা ও এলডিসি বিষয়ক বহুপক্ষীয় দুটি আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি নিউইয়র্কে এছে পৌছৈছেন। তিনি কাতার এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইটে রোববার (১৩ জুন) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছেন বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন সূত্রে জানা গেছে। এসময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: শহীদুল ইসলাম ও জাতিসংঘে নিয়ুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ড. মোমেন-কে স্বাগত জানান।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ড. মোমেনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এসময় দলের উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামাদ আজাদ সহ ডা. মাসুদুল হাসান, আইরিন পারভীন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাছিব মামুন, দুলাল মিয়া এনাম, মিসবাহ আহমেদ, কৃষিবীদ আশরাফুজ্জামান, শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল হক জিহাদ ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগ নেতা এ. কে. এম. আলমগীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাখায়াত বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা ইফজাল আহমেদ চৌধুরী ছাড়াও সাইফুল আমল, সাহিদুল হক রাসেল, নুর উদ্দিন, ফকির সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. মোমেন’কে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। সোমবার (১৪ জুন) থেকে ড. মোমেনের সফরের কর্মসূচি শুরু হবে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বাজকির অনুষ্ঠান দুটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পূর্বনির্ধারিত দুটি সভায় যোগ দেয়া ছাড়াও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ, সাধারণ পরিষদের বিদায়ী সভাপতি ভলকান বাজকির, শান্তিরক্ষা মিশন এবং জাতিসংঘের রাজনীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওদিকে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ওয়াশিংটন যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøংকেনের অ্যাপয়েনমেন্ট চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। টিকা নিয়ে আলোচনাই তার ওই বৈঠকের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছে, ওই সময়ের সেক্রেটারি অব স্টেটের শিডিউল খালি নেই। তিনি প্রচন্ড ব্যস্ত থাকবেন। ফলে মন্ত্রী মোমেন যদি বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন তাহলে সাক্ষাতের একটি ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, দেশে সংসদ অধিবেশন চলছে তাই আমাদের দ্রæত ফিরতে হবে। বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারছি না। প্রাথমিক পরিকল্পনা মতে, ২০ জুন পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবো। ওই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়ার চেষ্টা করবো। ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র রোববার বলছে, দূতাবাসের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। কিন্তু ২০ জুনের মধ্যে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শিডিউল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
অপরদিকে ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেলে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকা ফিরবেন মন্ত্রী মোমেন। সে ক্ষেত্রে তার প্রস্তাবিত ওয়াশিংটন সফর বাতিল করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি আমাকে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। আমি তা গ্রহণ করেছি। এবারে নিউ ইয়র্কে দুটো বড় ইস্যু নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া গেল। আগামী ১৫ই জুন জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে অংশ নেবো। পরবর্তীতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত আরেকটি বৈঠকেও যোগ দেবো। সেখানে বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কথা বলবো। রোহিঙ্গা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় আছে, এটা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) যৌথভাবে একটি বড় আয়োজন করেছে। সেখানে আমাকে দাওয়াত দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে। আমি তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবো এবং প্রত্যাবাসন শুরুর ক্ষেত্রে সহায়তার আহবান জানাবো।
আরো উল্লেখ্য, ড. মোমেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্তির আগে দীর্ঘদিন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী : জেএফকে বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা ও এলডিসি বিষয়ক বহুপক্ষীয় দুটি আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি নিউইয়র্কে এছে পৌছৈছেন। তিনি কাতার এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইটে রোববার (১৩ জুন) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছেন বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন সূত্রে জানা গেছে। এসময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: শহীদুল ইসলাম ও জাতিসংঘে নিয়ুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ড. মোমেন-কে স্বাগত জানান।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ড. মোমেনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এসময় দলের উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামাদ আজাদ সহ ডা. মাসুদুল হাসান, আইরিন পারভীন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাছিব মামুন, দুলাল মিয়া এনাম, মিসবাহ আহমেদ, কৃষিবীদ আশরাফুজ্জামান, শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল হক জিহাদ ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগ নেতা এ. কে. এম. আলমগীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাখায়াত বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা ইফজাল আহমেদ চৌধুরী ছাড়াও সাইফুল আমল, সাহিদুল হক রাসেল, নুর উদ্দিন, ফকির সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. মোমেন’কে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। সোমবার (১৪ জুন) থেকে ড. মোমেনের সফরের কর্মসূচি শুরু হবে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বাজকির অনুষ্ঠান দুটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পূর্বনির্ধারিত দুটি সভায় যোগ দেয়া ছাড়াও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ, সাধারণ পরিষদের বিদায়ী সভাপতি ভলকান বাজকির, শান্তিরক্ষা মিশন এবং জাতিসংঘের রাজনীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওদিকে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ওয়াশিংটন যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøংকেনের অ্যাপয়েনমেন্ট চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। টিকা নিয়ে আলোচনাই তার ওই বৈঠকের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছে, ওই সময়ের সেক্রেটারি অব স্টেটের শিডিউল খালি নেই। তিনি প্রচন্ড ব্যস্ত থাকবেন। ফলে মন্ত্রী মোমেন যদি বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন তাহলে সাক্ষাতের একটি ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, দেশে সংসদ অধিবেশন চলছে তাই আমাদের দ্রæত ফিরতে হবে। বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারছি না। প্রাথমিক পরিকল্পনা মতে, ২০ জুন পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবো। ওই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়ার চেষ্টা করবো। ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র রোববার বলছে, দূতাবাসের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। কিন্তু ২০ জুনের মধ্যে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শিডিউল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
অপরদিকে ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেলে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকা ফিরবেন মন্ত্রী মোমেন। সে ক্ষেত্রে তার প্রস্তাবিত ওয়াশিংটন সফর বাতিল করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি আমাকে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। আমি তা গ্রহণ করেছি। এবারে নিউ ইয়র্কে দুটো বড় ইস্যু নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া গেল। আগামী ১৫ই জুন জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে অংশ নেবো। পরবর্তীতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত আরেকটি বৈঠকেও যোগ দেবো। সেখানে বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কথা বলবো। রোহিঙ্গা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় আছে, এটা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) যৌথভাবে একটি বড় আয়োজন করেছে। সেখানে আমাকে দাওয়াত দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে। আমি তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবো এবং প্রত্যাবাসন শুরুর ক্ষেত্রে সহায়তার আহবান জানাবো।
আরো উল্লেখ্য, ড. মোমেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্তির আগে দীর্ঘদিন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।