নিউইয়র্ক ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে চিকিৎসকসহ আরো ৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৩৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরো একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনে নিউইয়র্কের ব্রæকলীন হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামীম আল মামুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একই দিন আরো ছয় বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১৩৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেলেন। মারা যাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন এনাম উদ্দিন, বীণা মজুমদার, এম রহমান মুক্তা, রানা বেগম ও একজন নারী। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি।

লং আইল্যান্ডের নর্থ শোর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. শামীম আল মামুনের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট মেডিক্যাল কলেজের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরের সন্তান। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ১৪ এপ্রিল একদিনে ৩ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যুর হিসাব যুক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু নগরীর পাঁচ বরোতেই ৭ হাজার ৯০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর মেয়র বিল ডি বøাজিও বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যু বেদনার। হাসপাতালে ভর্তির হার কমে এলেও অসুস্থ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
নগরীর অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিকসহ বাংলাদেশী জনবসতি এলাকা করোনার আতঙ্কের এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। চিকিৎসা সুবিধা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে করোনা আক্রান্ত নিউইয়র্কে বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনে ছিল বিষাদের ছায়া। নজিরবিহীন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি কাটিয়েছেন প্রবাসীরা। কেউ কেউ ঘরের মধ্যে বৈশাখ বরণের পোশাক আশাক পড়ে ঐতিহ্যবাহী খাবার খেলেও, আসলে এই মৃত্যুপুরী জুড়ে ছিল শোকের আবহ। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী বাবুল জানিয়েছেন, এমন পরিবেশ কল্পনাও করা যায় না। গত বছরও নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশীরা উৎসাহ উদ্দীপনা আর প্রাণের স্পন্দনে কাটিয়েছেন দিনটি। অথচ এই বছরের দিনটিকে চেনাই যাচ্ছে না।
প্রবাসীদের অনেকে বলেছেন, নতুন বছরে তাদের প্রত্যাশা, প্রাণঘাতী করোনা চলে যাবে, পৃথিবী আবারো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এদিকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বিশেষ এই দিনে যে সকল বাংলাদেশী-আমেরিকান ভাই-বোনেরা করোনাভাইরাস আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছে। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা শোকসন্তপ্ত সকল পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যারা অসুস্থ তাদের দ্রæত রোগমুক্তি কামনা করছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সবাই একটি ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে জর্জরিত’। করোনাভাইরাস জনিত বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলেট জেনারেলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। (হটলাইন-১: ৬৪৬-৬৪৫-৭২৪২, হটলাইন-২: ৯২৯-৪২৪-২৭৫৮, Email: contact@bdcgny.org, website: www.bdcgny.org; Facebook page: https://www.facebook.com/gobdcgny/)। এসব নম্বরে যে কেউ যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সাদিয়া ফয়জুননেসা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে চিকিৎসকসহ আরো ৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০

হককথা ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরো একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনে নিউইয়র্কের ব্রæকলীন হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামীম আল মামুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একই দিন আরো ছয় বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১৩৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেলেন। মারা যাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন এনাম উদ্দিন, বীণা মজুমদার, এম রহমান মুক্তা, রানা বেগম ও একজন নারী। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি।

লং আইল্যান্ডের নর্থ শোর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. শামীম আল মামুনের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট মেডিক্যাল কলেজের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরের সন্তান। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ১৪ এপ্রিল একদিনে ৩ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যুর হিসাব যুক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু নগরীর পাঁচ বরোতেই ৭ হাজার ৯০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর মেয়র বিল ডি বøাজিও বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যু বেদনার। হাসপাতালে ভর্তির হার কমে এলেও অসুস্থ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
নগরীর অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিকসহ বাংলাদেশী জনবসতি এলাকা করোনার আতঙ্কের এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। চিকিৎসা সুবিধা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে করোনা আক্রান্ত নিউইয়র্কে বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনে ছিল বিষাদের ছায়া। নজিরবিহীন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি কাটিয়েছেন প্রবাসীরা। কেউ কেউ ঘরের মধ্যে বৈশাখ বরণের পোশাক আশাক পড়ে ঐতিহ্যবাহী খাবার খেলেও, আসলে এই মৃত্যুপুরী জুড়ে ছিল শোকের আবহ। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী বাবুল জানিয়েছেন, এমন পরিবেশ কল্পনাও করা যায় না। গত বছরও নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশীরা উৎসাহ উদ্দীপনা আর প্রাণের স্পন্দনে কাটিয়েছেন দিনটি। অথচ এই বছরের দিনটিকে চেনাই যাচ্ছে না।
প্রবাসীদের অনেকে বলেছেন, নতুন বছরে তাদের প্রত্যাশা, প্রাণঘাতী করোনা চলে যাবে, পৃথিবী আবারো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এদিকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বিশেষ এই দিনে যে সকল বাংলাদেশী-আমেরিকান ভাই-বোনেরা করোনাভাইরাস আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছে। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা শোকসন্তপ্ত সকল পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যারা অসুস্থ তাদের দ্রæত রোগমুক্তি কামনা করছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সবাই একটি ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে জর্জরিত’। করোনাভাইরাস জনিত বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলেট জেনারেলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। (হটলাইন-১: ৬৪৬-৬৪৫-৭২৪২, হটলাইন-২: ৯২৯-৪২৪-২৭৫৮, Email: contact@bdcgny.org, website: www.bdcgny.org; Facebook page: https://www.facebook.com/gobdcgny/)। এসব নম্বরে যে কেউ যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সাদিয়া ফয়জুননেসা।