নিউইয়র্ক ০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • / ২১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এই সপ্তাহেই গুলিতে নিহত হয়েছে ৫জন। এবছর ৮৮৮ গুলির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর যার সংখ্যা ছিল ৪৮৮। এবছর নিউইয়র্কে ১০৮৭ ব্যক্তি গোলাগুলির শিকার হয়েছে। গত বছর যার সংখ্যা ছিল ৫৭৭। এবছর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ২৬৩। যা গত বছর ছিল ১৯৬। এই অবস্থায় নিউইয়র্ক সিটির আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা সর্বত্র।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ সূত্র বলছে, গত উইকেন্ডে ৩২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। যা গত বছরের এই সময়ের চাইতে ৮গুন বেশী। এবছর সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৪৩ জন। গত বছরের চাইতে যা ১০গুন বেশী। গত উইকেন্ডে একজন জেল পুলিশ গুলিতে নিহত হয়েছেন। জন জেফ নামের এই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ইউনিয়ন বলেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে তথাকথিত রাজনীতিকদের অব্যাহত বিতর্কিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তা ডেরিন পরচার বলেছেন, পুলিশের বাজেট কর্তনের যে, সিদ্ধান্ত সেটাই এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, পুলিশের বাজেট ১ বিলিয়ন ডলার কর্তনের সিদ্ধান্ত হঠকারী বলেই আমি মনে করি।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটির দোকানে বসানো টেলার মেশিন (এটিএম) থেকে অর্থ লুটের বদলে এটিএমই তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অভিনব এই লুটের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এখন নিউইয়র্কাররা।
নিউইয়র্ক সিটির ইস্ট ভিলেজ এলাকার ইয়াংকি ডেলি অ্যান্ড গ্রোসারির ভেতরে থাকা একটি এটিএম দু’জন লোক তুলে নিয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা নগরে ইদানীং বেড়ে গেছে।
ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, কালো পোশাক পরিহিত একজন এটিএমের সঙ্গে একটি শিকল বাঁধছে। ঠিক একই সময় বাইরে পেছনের দরজা খোলা রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে বসে ছিল তার সঙ্গী। পরে ওই গাড়ি দিয়ে টেনে শিকলে বাঁধা এটিএমটি রীতিমতো তুলে নেওয়া হয়। ওই এটিএমে সে সময় কী পরিমাণ অর্থ ছিল, তা নিশ্চিত নয়।
ইয়াংকি ডেলি অ্যান্ড গ্রোসারির মালিক হোজে দারিও কোলাডো বলেন, ‘আমাদের লুট করা হয়েছে, নিঃশেষ করে ফেলা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয়। এভাবে লুট করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই।’ হোজে দারিওর ভাষায়, ‘আমরা রীতিমতো বিধ্বস্ত। হাজার হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? নগর? মেয়র? ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসন? আমি উত্তর চাই।’
ইউনাইটেড বোডেগাস অব আমেরিকার (ইউবিএ) ফার্নান্দোর ভাষ্যমতে, ইদানীং এ ধরনের লুটের ঘটনা বাড়ছে। যদিও নিউইয়র্ক পুলিশ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি। ফার্নান্দো বলেন, ‘এমন কিছু আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। এটি অনেকটা সিনেমার মতো। এটি ভয়াবহ। কোথাও পুলিশের কোনো দেখা নেই। নিউইয়র্ক সিটি প্রয়োজনের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা কম। আবার পুলিশের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাও কম, যা খুবই দুঃখজনক।’ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এই সপ্তাহেই গুলিতে নিহত হয়েছে ৫জন। এবছর ৮৮৮ গুলির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর যার সংখ্যা ছিল ৪৮৮। এবছর নিউইয়র্কে ১০৮৭ ব্যক্তি গোলাগুলির শিকার হয়েছে। গত বছর যার সংখ্যা ছিল ৫৭৭। এবছর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ২৬৩। যা গত বছর ছিল ১৯৬। এই অবস্থায় নিউইয়র্ক সিটির আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা সর্বত্র।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ সূত্র বলছে, গত উইকেন্ডে ৩২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। যা গত বছরের এই সময়ের চাইতে ৮গুন বেশী। এবছর সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৪৩ জন। গত বছরের চাইতে যা ১০গুন বেশী। গত উইকেন্ডে একজন জেল পুলিশ গুলিতে নিহত হয়েছেন। জন জেফ নামের এই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ইউনিয়ন বলেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে তথাকথিত রাজনীতিকদের অব্যাহত বিতর্কিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তা ডেরিন পরচার বলেছেন, পুলিশের বাজেট কর্তনের যে, সিদ্ধান্ত সেটাই এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, পুলিশের বাজেট ১ বিলিয়ন ডলার কর্তনের সিদ্ধান্ত হঠকারী বলেই আমি মনে করি।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটির দোকানে বসানো টেলার মেশিন (এটিএম) থেকে অর্থ লুটের বদলে এটিএমই তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অভিনব এই লুটের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এখন নিউইয়র্কাররা।
নিউইয়র্ক সিটির ইস্ট ভিলেজ এলাকার ইয়াংকি ডেলি অ্যান্ড গ্রোসারির ভেতরে থাকা একটি এটিএম দু’জন লোক তুলে নিয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা নগরে ইদানীং বেড়ে গেছে।
ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, কালো পোশাক পরিহিত একজন এটিএমের সঙ্গে একটি শিকল বাঁধছে। ঠিক একই সময় বাইরে পেছনের দরজা খোলা রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে বসে ছিল তার সঙ্গী। পরে ওই গাড়ি দিয়ে টেনে শিকলে বাঁধা এটিএমটি রীতিমতো তুলে নেওয়া হয়। ওই এটিএমে সে সময় কী পরিমাণ অর্থ ছিল, তা নিশ্চিত নয়।
ইয়াংকি ডেলি অ্যান্ড গ্রোসারির মালিক হোজে দারিও কোলাডো বলেন, ‘আমাদের লুট করা হয়েছে, নিঃশেষ করে ফেলা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয়। এভাবে লুট করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই।’ হোজে দারিওর ভাষায়, ‘আমরা রীতিমতো বিধ্বস্ত। হাজার হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? নগর? মেয়র? ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসন? আমি উত্তর চাই।’
ইউনাইটেড বোডেগাস অব আমেরিকার (ইউবিএ) ফার্নান্দোর ভাষ্যমতে, ইদানীং এ ধরনের লুটের ঘটনা বাড়ছে। যদিও নিউইয়র্ক পুলিশ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি। ফার্নান্দো বলেন, ‘এমন কিছু আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। এটি অনেকটা সিনেমার মতো। এটি ভয়াবহ। কোথাও পুলিশের কোনো দেখা নেই। নিউইয়র্ক সিটি প্রয়োজনের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা কম। আবার পুলিশের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাও কম, যা খুবই দুঃখজনক।’ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)