নিউইয়র্কে অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু
- প্রকাশের সময় : ০২:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
- / ৬৯১ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ‘বই মানুষকে আমৃত্যু প্রেরণা যোগায়। বই মানুষকে আলোকিত করে। অমর একুশ উপলক্ষে যে বইমেলা হয়ে আসছে, দেশে এবং প্রবাসে, তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’ গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার বসন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে মুক্তধারা আয়োজিত ১৩ দিনব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি সাজেদ কামাল এ অভিমত পোষণ করেন। আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত নিউইয়র্কে এ মেলা চলবে।
কবি সাজেদ কামাল বলেন, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে মুক্তধারা বহির্বিশ্বে একনাগাড়ে ২৫ বছর কাজ করছে। ১৯৯২সালে জাতিসংঘের সামনে শহীদ দিবস পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বলয়ে একুশকে তুলে ধরে। আর এবছর মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবনায় নিউইয়র্কের গভর্ণর এন্ডু কুমো নিউইয়র্ক স্টেটে ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে। এটা খুব বড় একটা বিষয়। আমি ১৯৯১ সালে উডসাইডের একটি বাসা থেকে বই নিতে এসে মুক্তধারার সাথে পরিচিত হই। আজ মুক্তধারা যে কাজ করছে আমরা সকলে তা থেকে উপকৃত হচ্ছি, এজন্য মুক্তধারাকে ধন্যবাদ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্তধারায় লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন সাজেদ কামাল। এসময় মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা অমর একুশে গ্রন্থমেলার পূর্বাপর উল্লেখ করে এবছর প্রকাশিত ৪০টি গ্রন্থ মেলায় স্থান পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘একুশ ও নতুন বই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফাহিম রেজা নূর এর সঞ্চালনে লেখক-কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক-লেখক দর্পন কবীর এবং সাজেদ কামাল বক্তব্য রাখেন। দর্পণ কবীর বলেন, নানান প্রতিকূলতার মাঝে মুক্তধারার এ প্রচেষ্টা উল্লেখ করার মত, তাই আমি সবসময় এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
হাসান ফেরদৌস বলেন, বই বের হওযা এখন খুব সহজ। লেখার এত জায়গা এখন হয়েছে, কোন কিছু প্রকাশ করা এখন কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু একটি বিষয়, লেখকদের সচেতন থাকা দরকার, তাহলো তিনি যা লিখছেন সেটি কি গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশের যোগ্য কি না, সেটা নিয়ে ভাবা। তিনি বলেন, অনেক লেখার পর নিজেকে তৈরী করেই গ্রন্থ প্রকাশের বিষয়ে ভাবা উচিত। হাসান ফেরদৌস বলেন, উত্তর আমেরিকায় বিশ্বজিত সাহা ও মুক্তধারা যে কাজ করছে আসুন আমরা সকলে মিলে তাকে সাধুবাদ জানাই।