নিউইয়র্ক ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ‘বিশ্বের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে মামদানী শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন। মামদানী হচ্ছেন প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম মেয়র। শুধু তাই নয় এক শতাব্দীর মধ্যে মামদানী হচ্ছেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।
নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তবে গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান এবং নির্বাচনের কয়েকদিন আগে অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন জানান তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনের দিন আনুমানিক ১৭ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে সিটির নির্বাচন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি। ১৯৯৩ সালের নির্বাচনে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রুডি জুলিয়ানি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ডেভিড ডিনকিনসকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ জন আগাম ভোট দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনে নিউইয়র্ক শহরে এটিই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ার ঘটনা।
সিটির এস্টোরিয়া এলাকায় একটি কেন্দ্রে ভোট দেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানী। তরুণসহ সব বয়সী ভোটারের মধ্যে বেশ সাড়াও পেয়েছেন। তার প্রতিফলনও দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রে। এবারের নির্বাচনে তার মূল নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার।
নির্বাচনে জোহরান মামদানীর প্রাপ্ত ভোট ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫১টি (৫০.৪%)। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যান্ড্রু কুমো’র প্রাপ্ত ভোট ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৫টি (৪১.৬%)  এবং কার্টিস স্লিওয়ার প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ ভোট। একই দিনের নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেমোক্র্যাট শাহানা হানিফ সিটি কাউন্সিল সদস্য হিসেবে এবং নিউইয়র্কের সুপ্রীম কোর্ট জাজ পদে বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্র্যাট সোমা সাঈদ-ও নির্বাচিত হয়েছেন।
নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনোভাবেই চাননি, মামদানী এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হোন। তিনি আগেই হুমকি দিয়েছেন, মামদানীর মতো লোক নির্বাচিত হলে তিনি নিউইয়র্ক শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেবেন। মামদানী অবৈধ অভিবাসী বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়েও তিনি হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সী ও ভার্জিনিয়া রাজ্যের গভর্নর নির্বাচন হয়। এই দুই নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন। নিউজার্সীর গভর্নর পদে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী মাইকি শেরিল। আর ভার্জিনিয়ায় গভর্নর পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী এবিগেইল স্প্যানবার্গার। সূত্র: রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানী

প্রকাশের সময় : ০৯:০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

হককথা ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ‘বিশ্বের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে মামদানী শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন। মামদানী হচ্ছেন প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম মেয়র। শুধু তাই নয় এক শতাব্দীর মধ্যে মামদানী হচ্ছেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।
নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তবে গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান এবং নির্বাচনের কয়েকদিন আগে অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন জানান তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনের দিন আনুমানিক ১৭ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে সিটির নির্বাচন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি। ১৯৯৩ সালের নির্বাচনে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রুডি জুলিয়ানি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ডেভিড ডিনকিনসকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ জন আগাম ভোট দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনে নিউইয়র্ক শহরে এটিই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ার ঘটনা।
সিটির এস্টোরিয়া এলাকায় একটি কেন্দ্রে ভোট দেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানী। তরুণসহ সব বয়সী ভোটারের মধ্যে বেশ সাড়াও পেয়েছেন। তার প্রতিফলনও দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রে। এবারের নির্বাচনে তার মূল নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার।
নির্বাচনে জোহরান মামদানীর প্রাপ্ত ভোট ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫১টি (৫০.৪%)। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যান্ড্রু কুমো’র প্রাপ্ত ভোট ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৫টি (৪১.৬%)  এবং কার্টিস স্লিওয়ার প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ ভোট। একই দিনের নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেমোক্র্যাট শাহানা হানিফ সিটি কাউন্সিল সদস্য হিসেবে এবং নিউইয়র্কের সুপ্রীম কোর্ট জাজ পদে বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্র্যাট সোমা সাঈদ-ও নির্বাচিত হয়েছেন।
নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনোভাবেই চাননি, মামদানী এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হোন। তিনি আগেই হুমকি দিয়েছেন, মামদানীর মতো লোক নির্বাচিত হলে তিনি নিউইয়র্ক শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেবেন। মামদানী অবৈধ অভিবাসী বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়েও তিনি হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সী ও ভার্জিনিয়া রাজ্যের গভর্নর নির্বাচন হয়। এই দুই নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন। নিউজার্সীর গভর্নর পদে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী মাইকি শেরিল। আর ভার্জিনিয়ায় গভর্নর পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী এবিগেইল স্প্যানবার্গার। সূত্র: রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান