নিউইয়র্ক ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা কতদূর?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): আগামী ২১ ফেবুয়ারী বুধবার অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবছরও দিবসটি পালনে নিউইয়র্কে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন সরকারী অফিস, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে চলছে নানা প্রস্তুতি। বিশেষ করে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক সহ সাস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এদিকে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের শোক এখন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। অনেকটা ঘটা করে দেশে-প্রবাসে অমর একুশে পালিত হচ্ছে। কিন্তু নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির সচেতন প্রবাসীর প্রশ্ন আমাদের স্থায়ী শহীদ মিনার কতদূর? খবর ইউএনএ’র।
বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার এখন আমাদের হৃদয়ের প্রতীক। এই প্রতীক দেশ পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি দেশে দেশে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্য ছাড়াও কানাডা, জাপান, প্যারিস, ইতালী সহ বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি ও সংগঠনের উদ্যোগে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের রাজধানী বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার দাবী দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসলেও প্রকৃত উদ্যোগের অভাবে তা আজো বাস্তবায়ত হয়নি। নিউইয়র্কের প্রতিবেশী রাজ্য নিউজার্সী সহ ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হলেও কেন নিউইয়র্কে এই উদ্যোগ সফল হচ্ছে সেই প্রশ্ন সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীদের। অথচ এই নিউইয়র্ক রাজ্যে সর্বাধিক প্রবাসীর বসবাস এবং বিপুল সংখ্যক কমিউনটির সংগঠন। প্রশ্ন উঠেছে নিউইয়র্কে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা কতদূর?
এব্যাপারে ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা। এব্যাপারে নানাভাবে উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো সফলতা আসেনি। আর এই দাবী বাস্তবায়নে কমিউনিটির সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ সোসাইটি সকলকে নিয়ে নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সকল বাংলাদেশীর সংগঠন। নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার জন্য সোসাইটি অনেক দিন থেকে কাজ করছে। কিন্তু কারো কারো বিরোধিতার জন্য সেই উদ্যোগ সম্মিলিত উদ্যোগ না হওয়ায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এজন্য কমিউনিটির বিভক্তি আর নেতৃত্বের কোন্দলই দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি সাঈদা আক্তার লিলি বলেন, হ্যাঁ আমাদের সকলেরই দাবী নিউইয়র্কে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার। কিন্তু কোথায় যেনে আমরা এব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছি না। এজন্য সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তা না হলে এই দাবী পূরণ হবে না।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মূলত কমিউনিটির নেতৃত্বে ব্যর্থতা আর অনৈক্যের কারণেই নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে না। অথচ নিউজার্সী, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। নেতৃত্বে কোন্দল নয়, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু কোথায় যেনো আমরা বাধা পড়ে যাচ্ছি। তবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এই দাবী বাস্তবায়ন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকার ক্যাপটিন টিলি পার্ক অথবা ১৬৮ স্ট্রীট আর হোমলোন স্ট্রীট আর হিলসাইড এভিনিউর ট্রাইঙ্গেল যে স্থানটি (এখন সিটি কর্তৃক লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ হিসেবে স্বীকৃত) সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার হতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে এজন্য সম্মিলিত উদ্যেগ প্রয়োজন। স্থানীয় বাংলাদেশীদেরও দাবী এই স্থানেই স্থায়ী শহীদ মিনার হোক।
নিউইয়র্কে একুশের কর্মসূচী: অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন, ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ছাড়াও বাংলাদেশ সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ, বাঙালীর চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন, বিভক্ত জালালাবাদ এসেসিয়েশন অব আমেরিকা’র দুই গ্রæপ, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা), বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস (বাফা) প্রভৃতি সংগঠন একুশ পালনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান হবে ২০ ফেব্রæয়ারী বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা তিব্বতি কমিউনিটি সেন্টারে (৫৭-১২, ৩২ এভিনিউ, উডসাইড, নিউইয়র্ক)।
বাঙালীর চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন বরাবরের মতো ঢাকার সাথে সময় মিলিয়ে বাংলাদেশের একুশের প্রথম প্রহর সময় অর্থাৎ নিউইয়র্কের ২০ ফেব্রæয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১টা ১ মিনিটে জাতিসংঘের সামনে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পষÍবকের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। এজন্য সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মুক্তধারার বিশ্বজিৎ সাহা ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা কতদূর?

প্রকাশের সময় : ১০:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): আগামী ২১ ফেবুয়ারী বুধবার অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবছরও দিবসটি পালনে নিউইয়র্কে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন সরকারী অফিস, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে চলছে নানা প্রস্তুতি। বিশেষ করে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক সহ সাস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এদিকে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের শোক এখন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। অনেকটা ঘটা করে দেশে-প্রবাসে অমর একুশে পালিত হচ্ছে। কিন্তু নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির সচেতন প্রবাসীর প্রশ্ন আমাদের স্থায়ী শহীদ মিনার কতদূর? খবর ইউএনএ’র।
বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার এখন আমাদের হৃদয়ের প্রতীক। এই প্রতীক দেশ পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি দেশে দেশে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্য ছাড়াও কানাডা, জাপান, প্যারিস, ইতালী সহ বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি ও সংগঠনের উদ্যোগে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের রাজধানী বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার দাবী দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসলেও প্রকৃত উদ্যোগের অভাবে তা আজো বাস্তবায়ত হয়নি। নিউইয়র্কের প্রতিবেশী রাজ্য নিউজার্সী সহ ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হলেও কেন নিউইয়র্কে এই উদ্যোগ সফল হচ্ছে সেই প্রশ্ন সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীদের। অথচ এই নিউইয়র্ক রাজ্যে সর্বাধিক প্রবাসীর বসবাস এবং বিপুল সংখ্যক কমিউনটির সংগঠন। প্রশ্ন উঠেছে নিউইয়র্কে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা কতদূর?
এব্যাপারে ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা। এব্যাপারে নানাভাবে উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো সফলতা আসেনি। আর এই দাবী বাস্তবায়নে কমিউনিটির সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ সোসাইটি সকলকে নিয়ে নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সকল বাংলাদেশীর সংগঠন। নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার জন্য সোসাইটি অনেক দিন থেকে কাজ করছে। কিন্তু কারো কারো বিরোধিতার জন্য সেই উদ্যোগ সম্মিলিত উদ্যোগ না হওয়ায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এজন্য কমিউনিটির বিভক্তি আর নেতৃত্বের কোন্দলই দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি সাঈদা আক্তার লিলি বলেন, হ্যাঁ আমাদের সকলেরই দাবী নিউইয়র্কে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার। কিন্তু কোথায় যেনে আমরা এব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছি না। এজন্য সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তা না হলে এই দাবী পূরণ হবে না।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মূলত কমিউনিটির নেতৃত্বে ব্যর্থতা আর অনৈক্যের কারণেই নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে না। অথচ নিউজার্সী, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। নেতৃত্বে কোন্দল নয়, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু কোথায় যেনো আমরা বাধা পড়ে যাচ্ছি। তবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এই দাবী বাস্তবায়ন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকার ক্যাপটিন টিলি পার্ক অথবা ১৬৮ স্ট্রীট আর হোমলোন স্ট্রীট আর হিলসাইড এভিনিউর ট্রাইঙ্গেল যে স্থানটি (এখন সিটি কর্তৃক লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ হিসেবে স্বীকৃত) সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার হতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে এজন্য সম্মিলিত উদ্যেগ প্রয়োজন। স্থানীয় বাংলাদেশীদেরও দাবী এই স্থানেই স্থায়ী শহীদ মিনার হোক।
নিউইয়র্কে একুশের কর্মসূচী: অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন, ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ছাড়াও বাংলাদেশ সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ, বাঙালীর চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন, বিভক্ত জালালাবাদ এসেসিয়েশন অব আমেরিকা’র দুই গ্রæপ, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা), বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস (বাফা) প্রভৃতি সংগঠন একুশ পালনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান হবে ২০ ফেব্রæয়ারী বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা তিব্বতি কমিউনিটি সেন্টারে (৫৭-১২, ৩২ এভিনিউ, উডসাইড, নিউইয়র্ক)।
বাঙালীর চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন বরাবরের মতো ঢাকার সাথে সময় মিলিয়ে বাংলাদেশের একুশের প্রথম প্রহর সময় অর্থাৎ নিউইয়র্কের ২০ ফেব্রæয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১টা ১ মিনিটে জাতিসংঘের সামনে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পষÍবকের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। এজন্য সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মুক্তধারার বিশ্বজিৎ সাহা ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান।