নিউইয়র্ক ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৭ বার পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমেদ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল পৌনে ৮টা ৪২ মিনিট) দিকে নিউইয়র্কে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা লন্ডন হয়ে নিউইয়র্কে আসেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান জেএফকে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানস্থ ‘হোটেল লাটে প্যালেস’-এ উঠেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বনেতারা এবারের ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জমায়েত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনাংদ্ধার : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করতে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন সময়ে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকান করবেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফাস্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রনে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে ‘টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক গণ অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক উন্নয়ন অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।

একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট, মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, নারী নেতৃবৃন্দের জাতিসংঘ প্লাটফর্মের বার্ষিক সভা, ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ পর্য়ায়ের জলবায়ু বিষয় ভিত্তিক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টের পাশাপাশি ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলা’ শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিট এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

ঢাকা ত্যাগ: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ১০টার পর রাজধানী ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগের সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে বিদায় জানান। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি নিউইয়র্ক সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০.৪৫ টায় (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে সরকারী সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে স্বাগত সমাবেশ এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সালাহউদ্দিন আহমেদ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল পৌনে ৮টা ৪২ মিনিট) দিকে নিউইয়র্কে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা লন্ডন হয়ে নিউইয়র্কে আসেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান জেএফকে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানস্থ ‘হোটেল লাটে প্যালেস’-এ উঠেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বনেতারা এবারের ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জমায়েত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনাংদ্ধার : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করতে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন সময়ে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকান করবেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফাস্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রনে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে ‘টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক গণ অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক উন্নয়ন অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।

একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট, মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, নারী নেতৃবৃন্দের জাতিসংঘ প্লাটফর্মের বার্ষিক সভা, ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ পর্য়ায়ের জলবায়ু বিষয় ভিত্তিক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টের পাশাপাশি ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলা’ শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিট এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

ঢাকা ত্যাগ: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ১০টার পর রাজধানী ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগের সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে বিদায় জানান। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি নিউইয়র্ক সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০.৪৫ টায় (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে সরকারী সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে স্বাগত সমাবেশ এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।