প্রবাসীদের দাবী নিজস্ব ভবন
নিউইয়র্কে নতুন ঠিকানায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট

- প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৬৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুবিধার্থে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অফিস বড় পরিসরে স্থানান্তরিত হয়েছে। সম্প্রতি ৩১-১০ ৩৭ অ্যাভিনিউ, স্যুইট-২০১ (২য় তলা) লং আইল্যান্ড সিটি, নিউইয়র্ক-১১১০১ ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছে কনস্যুলেট অফিস। এখন পুরো দমে চলছে কনস্যুলেটে কর্মকান্ড। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে লং আইল্যান্ড সিটির নর্দার্ন বুলেভার্ডস্থ মূলত: একটি গুদাম ঘরে (স্টোরেজ বিল্ডিং) চলছিল কনস্যুলেটের কার্যক্রম। প্রবাসীদের সেবার কথা ভেবে এবার বাণিজ্যিক ভবনে ঠাঁই পেল কনস্যুলেট অফিস। তবে প্রশ্ন থেকেই গেলো জনমনে- কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন হবে কবে?। সবার দাবী ভবন কমার্শিয়াল ভাড়া সাশ্রয় করে স্ষ্ঠুু পরিকল্পনা নিয়ে নিজস্থ ভবন করা অসম্ভব কিছুই না। খবর ইউএনএ’র।
মূলত: গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে কনস্যুলেটের নতুন ঠিকানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কনস্যুলেট-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যের জন্য সবাইকে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েব পেজ ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফলো করতে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। কনস্যুলেটে যাতায়াতের জন্য নিকটবর্তী সাবওয়েগুলোর মধ্যে রয়েছে নর্দার্ন বুলেবার্ডের ৩৬ স্ট্রীট এম অথবা আর ট্রেন সাবওয়ে ষ্টেশন এবং ৩১ স্ট্রীটের ৩৬ অথবা ৩৯ এভিনিউ এন/ডবিøউ সাবওয়ে ষ্টেশন অথবা কিউ ১০১, কিউ ১০২ ও কিউ ৬৬ বাস ব্যবহার করা যাবে।
নতুন অফিসের সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেন, আগের অফিসের চেয়ে নতুন অফিস অনেক বড় পরিসরের। ফলে সেবার সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। নতুন অফিসে রয়েছে নামাজ আদায়ের বিশেষ স্থান আর শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা। যেসকল মা-বাবা শিশু সন্তারদের নিয়ে আসেন তাদের সন্তানরা যাতে আনন্দে সময় কাটাতে পারেন তার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। অনেকটা ডে কেয়ার সেন্টারের মতো। এছাড়াও সেবাগ্রহনকারীদের জন্য রয়েছে পে-পার্কিং সুবিধা।
সচেতন প্রবাসীদের অভিমত, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কে নিজস্ব কনস্যুলেট ভবন থাকলে একটি দেশের ভাবর্মূতি উজ্জ্বল হয় নিঃসন্দেহে। প্রবাসীদেরও দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী- বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন, যা আজো বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ এই ভবন খুঁজতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু অসৎ কর্মকর্তা নিউইয়র্ক সফরে এসে অপ্রত্যাশিতভাবে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে মিডিয়াতে রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন বিষয়ে কনসাল জেনারেল জানান, আগের অফিসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন অফিস খুঁজতে হয়েছে। তবে এটা ফাইনাল নয়। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন খোঁজা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে কনস্যুলেটের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ভবনে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল তার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ লজিস্টিক, সেবা প্রদান সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণরূপে সক্রিয় থাকবে। কনস্যুলেট সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যের জন্য সবাইকে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবপেইজ http://www.bdcgny.org ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (Consulate General of Bangladesh, New York) ফলো করতে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করা হলো।