নিউইয়র্ক ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়কের এস্টোরিয়ায় রঙিন বাড়ির আড়ালে কর্ণধারের প্রতারণার গল্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৪৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কের কুইন্সে আলোচিত এক বাড়ি নিয়ে উঠেছে তীব্র সমালোচনা। এস্টোরিয়ার ৩৬তম এভিনিউয়ের তিনতলা এই রঙিন বাড়ি স¤প্রতি আড়াই মিলিয়ন ডলারে বিক্রির জন্য তোলা হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে বড় ধরনের প্রতারণার কাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস-এ বাড়ির মালিকের মিলিয়ন ডলারের প্রতারণার তথ্য উল্লেখ করে ‘কুইন্সের রঙিন বাড়ি, অন্ধকার গোপন কাহিনী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়ির মালিক রশিদুন বোখারী, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অভিবাসী সমাজের পরিচিত মুখ। ফেডারেল কোর্টে তিনি স্বীকার করেছেন, সম্পত্তি কেনাবেচার নামে অন্তত তিন বাংলাদেশী-আমেরিকানের কাছ থেকে এক মিলিয়নের বেশি ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুনে তাকে তিন বছরের বেশি কারাদÐ ও প্রায় ১৫ লাখ ডলার ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বোখারী তাদের আস্থা অর্জন করেছিলেন দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক ও অভিন্ন স¤প্রদায়ের বন্ধন দেখিয়ে। কেউ বাড়ি কেনার স্বপ্নে, কেউ বিনিয়োগের আশায় তাকে অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নথি বলছে, সেই অর্থ ব্যক্তিগত খরচ, মর্টগেজ ও অ্যাস্টোরিয়ার বাড়ি সংস্কারে ব্যয় করা হয়েছে।
ফেডারেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এস্টোরিয়া ও জামাইকার দুটি বাড়ির ওপর লিয়েন বসিয়েছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করা যায়। তবে জাসমিন বোখারী- যিনি এসব বাড়ির আইনি মালিক- তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়নি।
স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশী দাবি করেছেন যে, তারাও একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু লোক লজ্জা ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ভয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চান না। ২০২৮ সালে কারামুক্ত হবেন রশিদুন বখারী। খবর টাইম টিভি’র।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়কের এস্টোরিয়ায় রঙিন বাড়ির আড়ালে কর্ণধারের প্রতারণার গল্প

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কের কুইন্সে আলোচিত এক বাড়ি নিয়ে উঠেছে তীব্র সমালোচনা। এস্টোরিয়ার ৩৬তম এভিনিউয়ের তিনতলা এই রঙিন বাড়ি স¤প্রতি আড়াই মিলিয়ন ডলারে বিক্রির জন্য তোলা হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে বড় ধরনের প্রতারণার কাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস-এ বাড়ির মালিকের মিলিয়ন ডলারের প্রতারণার তথ্য উল্লেখ করে ‘কুইন্সের রঙিন বাড়ি, অন্ধকার গোপন কাহিনী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়ির মালিক রশিদুন বোখারী, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অভিবাসী সমাজের পরিচিত মুখ। ফেডারেল কোর্টে তিনি স্বীকার করেছেন, সম্পত্তি কেনাবেচার নামে অন্তত তিন বাংলাদেশী-আমেরিকানের কাছ থেকে এক মিলিয়নের বেশি ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুনে তাকে তিন বছরের বেশি কারাদÐ ও প্রায় ১৫ লাখ ডলার ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বোখারী তাদের আস্থা অর্জন করেছিলেন দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক ও অভিন্ন স¤প্রদায়ের বন্ধন দেখিয়ে। কেউ বাড়ি কেনার স্বপ্নে, কেউ বিনিয়োগের আশায় তাকে অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নথি বলছে, সেই অর্থ ব্যক্তিগত খরচ, মর্টগেজ ও অ্যাস্টোরিয়ার বাড়ি সংস্কারে ব্যয় করা হয়েছে।
ফেডারেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এস্টোরিয়া ও জামাইকার দুটি বাড়ির ওপর লিয়েন বসিয়েছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করা যায়। তবে জাসমিন বোখারী- যিনি এসব বাড়ির আইনি মালিক- তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়নি।
স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশী দাবি করেছেন যে, তারাও একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু লোক লজ্জা ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ভয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চান না। ২০২৮ সালে কারামুক্ত হবেন রশিদুন বখারী। খবর টাইম টিভি’র।