ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকান্ডে নিহত ৪৫
- প্রকাশের সময় : ১২:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
- / ৮৮ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক: রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রæয়ারী) দিবাগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে আজ শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান শুক্রবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ‘বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪৪ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ১ জনের মরদেহ আছে।’ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মানবসৃষ্ট কোনো ত্রæটি থাকলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কারও ত্রæটি-বিচ্যুতি থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
জানা গেছে, গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রæত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে অনেক মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া ব্যক্তিরা আগুনের মুখে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়ে। এ অবস্থায় ভবনের তৃতীয় ও সপ্তম তলায় আটকে পড়া মানুষ উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। এটি মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। এই গাড়িতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আতাউর রহমান শামীমের ইন্তেকাল
বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম ঢাকা বেইলী রোডে রেস্টুরেন্ট সংগঠিত অগ্নিকান্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার সন্তান শামীম এক সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী-কন্যা নিউইয়র্কে বসবাস করেন। বর্তমানে তারা দেশে বেড়াতে গেছেন। আতাউর রহমান শামীম নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক গণবাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন।