ট্রাষ্টি বোর্ডে আজিজকে রাখা না রাখা প্রশ্নের তুমুল বাক-বিতন্ডা
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪
- / ৬৪৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক’র ট্রাষ্টি বোর্ডে সোসাইটির সাবেক সভাপতি এম আজিজকে রাখা না রাখার প্রশ্নে তুমুল বাক-বিতন্ডা হয়েছে সোসাইটির বিদায়ী কার্যকরী কমিটির সভায়। ঘটনাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হলে সভাপতি কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার সহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে এম আজিজের বহাল থাকার বিষয়ে সভাপতি বলেছেন, এব্যাপারে আইনী পরামর্শ নেয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সোসাইটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলবে, আর গঠনতন্ত্রে নির্ধারিত সময়ের আগে ট্রাষ্টিবোর্ডের কোন সদস্যকে পদচূত করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সোসাইটি নিজস্ব কার্যালয়ে গত ০৭ ডিসেম্বর রোববার নির্বাচন কমিশনের সাথে নতুন ও বিদায়ী কমিটির এক মত বিনিময় সভায় উপরোক্ত ঘটনা ঘটে। সভা সূত্রে জানা গেছে, সভার শেষ পর্যায়ে সোসাইটির অন্যতম কর্মকর্তা সৈয়দ এনায়েত আলী সংগঠনের ট্রাষ্টি বোর্ড থেকে এম আজিজকে বাদ দেয়ার দাবী জানান এবং তার (আজিজ) এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কপি প্রদর্শন করেন। এতে আজিজ সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রথমে সোসাইটির দুই সহ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও মহিউদ্দিন দেওয়ান বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর অপর কর্মকর্তা সাদী মিন্টু যোগ দেন। শুরু হয় হৈচৈ আর তুমুল বাক-বিতন্ডা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সভাপতি কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রহীম হাওলাদার, সহ সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা সবাইকে শান্ত করা চেষ্টা করেন এবং সভাপতি আইনী পরামর্শ নেয়ার পর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিদায়ী কমিটির কাছে নির্বাচনের আর্থিক হিসেব নিকেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হক। সভায় আগামী ৪ জানুয়ারী নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয় বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
সভায় সোসাইটির বিদায়ী সভাপতি কামাল আহমেদ নতুন কমিটিকে সব রকম সহযোগীতা প্রদান আর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য মিডিয়াসহ সব মহলকে ধন্যবাদ জানান পুন: নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সোসাইটির সাম্প্রতিক নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নিয়েছিলো। ‘কুনু-রহিম’ ও ‘কামাল-সানী’ প্যানেল দুটির মধ্যকার নির্বাচনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে, এমনটি ভাবা হলেও ফল হয় উল্টো। সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদের মধ্যে নির্বাচনে ‘কুনু-রহিম’ প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ ১০টি অপরদিকে ‘কামাল-সানী’ প্যানেল সিনিয়র সহ সভাপতি পদসহ ৯টি পদে জয়লাভ করে।