নিউইয়র্ক ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে স্ট্যান্ড নিতে হবে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৮৬২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মূলধারার রাজনীতিক নীনা আহমেদ। একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের উপদেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে এবার কড়া নাড়ছেন রাজ্য প্রশাসনে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পেনসিলভেনিয়ার রাজ্য প্রশাসন নির্বাচনে ‘লুউটান্যান্ট গভর্নর’ পদে লড়ছেন তিনি। অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন নীনা আহমেদই হচ্ছেন আগামী প্রজন্মের এক অনুপ্রেরণার নাম। যিনি, সবার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মূলধারার রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, নারীদের সম্মান’সহ সবার ন্যায্য অধিকার আদায়ে উচ্চকণ্ঠস্বর। শনিবার (৩১ মার্চ) টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা পরিদর্শনে এসে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেন নীনা আহমেদ। শত প্রতিকূলতাকে জয় করা নীনা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
ড. নীনা আহমেদ শনিবার অপরাহ্নে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটিস্থ বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন পরিদর্শনে আসেন। মিডিয়া দুটির কর্ণধার আবু তাহের তাকে স্বাগত জানান। এরপর নিউইয়র্কের সর্ববৃহৎ মিডিয়া হাউজ দু’টিতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে খোলা-মেলা কথা বলেন ড. নীনা আহমেদ। এসময় তাকে উপস্থিত সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের। বৈঠকে বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে অধ্যাপক ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও পিপলএনটেক-এর সিইও আবু হানিপ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. নীনা আহমেদ বলেন, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পেনসিলভেনিয়ার রাজ্য প্রশাসন নির্বাচনে ‘লুউটান্যান্ট গভর্নর’ পদ তিনি প্রার্থী। এরই অংশ হিসেবে মে-মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারী। দলীয় মনোনয়নের বাছাইপর্বের সিঁড়ি বেড়ে যুদ্ধ জয়ের চূড়ান্তে ধাপে পৌঁছাতে হবে তাঁকে। প্রশ্ন ছিল, প্রবাসীদের দেশীয় রাজনৈতিক চর্চা কেন? বলেন, শেকড়ের টানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও, প্রজন্মের-স্বার্থে অভিবাসীদের মূলধারায় সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
অভিবাসীদের অভয়ারণ্য-খ্যাত পেনসিলভানিয়ার রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তনও ঘটিয়েছেন এ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান হিসেবে যিনি ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও ছিলেন সফল। সিটির পর এবারের রাজ্য জয়ের পালা।
দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্য ও সিটির সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার নীনা আহমেদ। জানান, ‘লুউটান্যান্ট গভর্নর’ নির্বাচিত হলে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে লাখো-কোটি ড্রিমারদের স্বপ্ন পূরণে নিয়োজিত থাকবেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে লড়াই অব্যাহতের পাশাপাশি বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধেও সোচ্চার থাকবেন তিনি।
আশির দশকের শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো ‘নীনা আহমেদ’ প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছিলেন। হোয়াইট হাউজের তৎকালীন প্রশাসনে ‘এশিয়ান আমেরিকান ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডের’ উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম শীর্ষ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ফিলাডেলফিয়ার মেয়র নির্বাচনে নতুন মেয়র জিম কেইনির বিজয়ী হওয়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যার মধ্য দিয়ে চলে আসেন সিটির জনপ্রতিনিধিত্বের কাতারে। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. নীনা আহমেদ বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্ট্যান্ড নিতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত রেখে যেতে হবে। আর এজন্য দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আগে নিজ আর পরিবা কে জানতে হবে। তারপর কাজ শুরু করতে হবে। প্রতিবেশী থেকে শুরু করে অফিসিয়্যালদের সাথে সুসম্পর্ক আর ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। নিজের আর কমিউনিটির সমস্যা অফিসিয়্যালদের বুঝাতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ড. নীনা আহমেদ বলেন, একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান হিসেবে মনে করি আমরা অফিসিয়্যাল পদে নির্বাচিত হলে কমিউনিটির সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জানাতে পারবো। এজন্য আমাদের ভিষন আর মিশন থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি তথা এশিয়ান কমিউনিটির লোক। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী আর বাংলাদেশকে সবাই জানবে।
পরে ড. নীনা আহমেদ টাইম টেলিভিশন-এ বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। টাইম টেলিভিশন-এর নিজস্থ স্টুডিও-তে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হয়।  (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে স্ট্যান্ড নিতে হবে

প্রকাশের সময় : ১২:২১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মূলধারার রাজনীতিক নীনা আহমেদ। একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের উপদেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে এবার কড়া নাড়ছেন রাজ্য প্রশাসনে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পেনসিলভেনিয়ার রাজ্য প্রশাসন নির্বাচনে ‘লুউটান্যান্ট গভর্নর’ পদে লড়ছেন তিনি। অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন নীনা আহমেদই হচ্ছেন আগামী প্রজন্মের এক অনুপ্রেরণার নাম। যিনি, সবার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মূলধারার রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, নারীদের সম্মান’সহ সবার ন্যায্য অধিকার আদায়ে উচ্চকণ্ঠস্বর। শনিবার (৩১ মার্চ) টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা পরিদর্শনে এসে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেন নীনা আহমেদ। শত প্রতিকূলতাকে জয় করা নীনা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
ড. নীনা আহমেদ শনিবার অপরাহ্নে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটিস্থ বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন পরিদর্শনে আসেন। মিডিয়া দুটির কর্ণধার আবু তাহের তাকে স্বাগত জানান। এরপর নিউইয়র্কের সর্ববৃহৎ মিডিয়া হাউজ দু’টিতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে খোলা-মেলা কথা বলেন ড. নীনা আহমেদ। এসময় তাকে উপস্থিত সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের। বৈঠকে বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে অধ্যাপক ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও পিপলএনটেক-এর সিইও আবু হানিপ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. নীনা আহমেদ বলেন, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পেনসিলভেনিয়ার রাজ্য প্রশাসন নির্বাচনে ‘লুউটান্যান্ট গভর্নর’ পদ তিনি প্রার্থী। এরই অংশ হিসেবে মে-মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারী। দলীয় মনোনয়নের বাছাইপর্বের সিঁড়ি বেড়ে যুদ্ধ জয়ের চূড়ান্তে ধাপে পৌঁছাতে হবে তাঁকে। প্রশ্ন ছিল, প্রবাসীদের দেশীয় রাজনৈতিক চর্চা কেন? বলেন, শেকড়ের টানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও, প্রজন্মের-স্বার্থে অভিবাসীদের মূলধারায় সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
অভিবাসীদের অভয়ারণ্য-খ্যাত পেনসিলভানিয়ার রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তনও ঘটিয়েছেন এ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান হিসেবে যিনি ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও ছিলেন সফল। সিটির পর এবারের রাজ্য জয়ের পালা।
দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্য ও সিটির সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার নীনা আহমেদ। জানান, ‘লুউটান্যান্ট গভর্নর’ নির্বাচিত হলে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে লাখো-কোটি ড্রিমারদের স্বপ্ন পূরণে নিয়োজিত থাকবেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে লড়াই অব্যাহতের পাশাপাশি বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধেও সোচ্চার থাকবেন তিনি।
আশির দশকের শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো ‘নীনা আহমেদ’ প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছিলেন। হোয়াইট হাউজের তৎকালীন প্রশাসনে ‘এশিয়ান আমেরিকান ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডের’ উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম শীর্ষ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ফিলাডেলফিয়ার মেয়র নির্বাচনে নতুন মেয়র জিম কেইনির বিজয়ী হওয়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যার মধ্য দিয়ে চলে আসেন সিটির জনপ্রতিনিধিত্বের কাতারে। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. নীনা আহমেদ বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্ট্যান্ড নিতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত রেখে যেতে হবে। আর এজন্য দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আগে নিজ আর পরিবা কে জানতে হবে। তারপর কাজ শুরু করতে হবে। প্রতিবেশী থেকে শুরু করে অফিসিয়্যালদের সাথে সুসম্পর্ক আর ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। নিজের আর কমিউনিটির সমস্যা অফিসিয়্যালদের বুঝাতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ড. নীনা আহমেদ বলেন, একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান হিসেবে মনে করি আমরা অফিসিয়্যাল পদে নির্বাচিত হলে কমিউনিটির সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জানাতে পারবো। এজন্য আমাদের ভিষন আর মিশন থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি তথা এশিয়ান কমিউনিটির লোক। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী আর বাংলাদেশকে সবাই জানবে।
পরে ড. নীনা আহমেদ টাইম টেলিভিশন-এ বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। টাইম টেলিভিশন-এর নিজস্থ স্টুডিও-তে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হয়।  (বাংলা পত্রিকা)