হককথা রিপোর্ট: জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন এনওয়াই ইনক’র (জেবিবিএ) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনী ফলাফল ‘ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান’ করেছে বিজয়ী ‘গিয়াস-তারেক’ প্যানেলের প্রতিদ্ব›দ্ব ‘টুকু-মুনির’ প্যানেল। রোববার (৯ জানুয়ারী) এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ‘গিয়াস-তারেক’ প্যানেল জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের ১৯টি আসনেই জয়লাভ করে।
নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই রোববার রাতে জ্যাকসন হাইটসের কথা রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে ‘টুকু-মুনির’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান টুকু ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুনির হাসান সহ প্যনেলের অন্যান্য কর্মকর্তারা জেবিবিএ’র নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন যে, রাতের অন্ধকারে নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোটার তালিকা পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের কাছে তিনটি পৃথক ভোটার তালিকা রয়েছে। এতে একই ভোটার নম্বরে পৃথক পৃথক নাম রয়েছে। এমনকি কোন কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীও ভোট দিয়েছেন। তারা বলেন, প্রতিদ্ব›দ্বী প্যানেলের একজন প্রার্থীর প্রিন্টং প্রেস থেকে ভোটার তালিকা করায় তারা কারচুপির সুযোগ নিয়েছে, যা আমরা আগে বুঝতে পারিনি।
সাংবাদিকদের এক এক প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের ুপর আস্থা রাখতে পারছি না তাই আমরা নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবো।
সংবাদ সম্মেলনে ‘টুকু-মুনির’ প্যানেলের অন্যতম সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সোলায়মান আলী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জেবিবিএ-কে শক্তিশালী করাবো, তাই দ্বিধা-বিভক্তির পরও আমরা নির্বাচনে অংশ নেই। কিন্তু আমরা কি দেখলাম, ব্যবসায়ীরা কি দেখলো। কারচুপির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে আমাদেও ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে ছোট করা হয়েছে, অসম্মানিত করা হয়েছে।