নিউইয়র্ক ০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জিয়াকে অস্বীকার করলে স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা হয়: ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪
  • / ৯৫১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যুবদল আয়োজিত সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, শেখ মুজিব জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করে নিয়েছিলেন বলেই তাঁকে মেজর থেকে মেজর জেনারেল করে পদন্নোতি দিয়েছিলেন। জিয়াকে বীরোত্তম খেতাব দিয়েছেন। প্রকৃতভাবেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হচ্ছেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কারণ তাঁকে অস্বীকার করলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস কিভাবে হয়। জিয়াউর রহমান এদিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর ১৭ মার্চ মুজিব নগর সরকার গঠন করা হয়। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের ঘোষণাই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে জাতির ইতিহাসে লিপিবন্ধ হয়। এখন আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করলে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসকেই অস্বীকার করা হয়। এখন আওয়ামী লীগকেই এর জবাব দিতে হবে।
ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান কিছু বললেই মামলা হয়। আর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কিছু বললে মামলা হয় না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে। শেখ হাসিনার সাথে মতিউর রহমান নিজামী একই টেবিলে বক্তৃতা করেছেন। দেশের সব কাগজে এই ছবি ছাপা হয়েছে। দেশকে লুটপাট করতেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে।
thসভায় টেলিকনফারেন্সে শুভেচ্ছা বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, বাংলাদেশ হয়েছে। তিনি প্রবাস থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী কর্মকান্ড আরো জোরদার করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
Alalটেলিকনফারেন্সে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছে। শেখ হাসিনাও শেখ মুজিব সরকারের মতোই অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন মমত্ববোধ নেই। তারা যা ইচ্ছে তাই করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচারী সরকার।
Jubodal Khakon-1যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপরোক্ত কথা বলেন। সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত যুবদলের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সহ সভাপতি ও বিজয় দিবস অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু। মঞ্চে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদল সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী। এছাড়াও অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলাইমান ভুঁইয়া ও মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া, শিকাগো বিএনপি নেতা ও শিকাগো শহরে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত জিয়াউর রহমানওয়ের অন্যতম উদ্যেক্তা শাহ মোজাম্মেল নান্টু, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, শিকাগো বিএনপি নেতা দুলু মিয়া ও ডেইজী বেগম, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি রাফেল তালুকদার।
যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আমানত হোসেন আমান এবং যুবদলের বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আমানত হোসেন আমান। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত এবং বিএনপি’র দলীয় সঙ্গীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ………….’ পরিবেশন করা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের অন্যতম সহ সভাপতি আতিকুল হক আহাদ। সভায় অতিথিবৃন্দসহ আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার খান বাবু, যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এ এস রহমান সায়েম, ইকবাল হায়দার, সালাউদ্দিন রুবেল, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও বোরহান উদ্দিন, মহিলাদল নেত্রী নিরা রব্বানী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মীর মিজান, দিনাজপুর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহীন খান, সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াজ আহমেদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবদলের সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, নিউজার্সী যুবদলের সভাপতি সাব্বির চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সভাপতি বিলাল আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাসিত রহমান, ছাত্রদল নেতা সোহেল আহমেদ চৌধুরী, জাহিদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিজয়ের উপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ হায়দার আলী।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র মহিলাদল-যুবদল-ছাত্রদল নেতারা বলেন, শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক। বাংলাদেশে দুই ধরনের মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। একশ্রেনীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন দেশের অভ্যন্তরে থেকে সশ¯্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন আরেক শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন যারা কলকাতার সোনাগাছিতে বসে পরটা-কলিজা খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সোনাগাছির মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগ করে আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপি করেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের রাজত্ব চলছে। এই সরকার অবৈধ সরকার, ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
বক্তারা বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে বলেন, শহীদ জিয়ার সন্তান হিসেবে তারেক রহমান দূর্নীতি করতে পারেন না। তার শরীরে জিয়ার রক্ত। বক্তারা অবিলম্বে তার মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার জন্য বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, চৌধুরী সালেহ আহমদ, এমলাক হোসেন ফয়সাল, একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম, নিউজার্সী বিএনপির সভাপতি আলহাজ সৈয়দ জুবায়ের আলী, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় জাসাসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইফুর খান হারুন, উত্তম বণিক ও মিফতা মামুন সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, টাইম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জিয়াকে অস্বীকার করলে স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা হয়: ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যুবদল আয়োজিত সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, শেখ মুজিব জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করে নিয়েছিলেন বলেই তাঁকে মেজর থেকে মেজর জেনারেল করে পদন্নোতি দিয়েছিলেন। জিয়াকে বীরোত্তম খেতাব দিয়েছেন। প্রকৃতভাবেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হচ্ছেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কারণ তাঁকে অস্বীকার করলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস কিভাবে হয়। জিয়াউর রহমান এদিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর ১৭ মার্চ মুজিব নগর সরকার গঠন করা হয়। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের ঘোষণাই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে জাতির ইতিহাসে লিপিবন্ধ হয়। এখন আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করলে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসকেই অস্বীকার করা হয়। এখন আওয়ামী লীগকেই এর জবাব দিতে হবে।
ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান কিছু বললেই মামলা হয়। আর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কিছু বললে মামলা হয় না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে। শেখ হাসিনার সাথে মতিউর রহমান নিজামী একই টেবিলে বক্তৃতা করেছেন। দেশের সব কাগজে এই ছবি ছাপা হয়েছে। দেশকে লুটপাট করতেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে।
thসভায় টেলিকনফারেন্সে শুভেচ্ছা বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, বাংলাদেশ হয়েছে। তিনি প্রবাস থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী কর্মকান্ড আরো জোরদার করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
Alalটেলিকনফারেন্সে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছে। শেখ হাসিনাও শেখ মুজিব সরকারের মতোই অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন মমত্ববোধ নেই। তারা যা ইচ্ছে তাই করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচারী সরকার।
Jubodal Khakon-1যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপরোক্ত কথা বলেন। সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত যুবদলের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সহ সভাপতি ও বিজয় দিবস অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু। মঞ্চে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদল সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী। এছাড়াও অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলাইমান ভুঁইয়া ও মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া, শিকাগো বিএনপি নেতা ও শিকাগো শহরে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত জিয়াউর রহমানওয়ের অন্যতম উদ্যেক্তা শাহ মোজাম্মেল নান্টু, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, শিকাগো বিএনপি নেতা দুলু মিয়া ও ডেইজী বেগম, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি রাফেল তালুকদার।
যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আমানত হোসেন আমান এবং যুবদলের বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আমানত হোসেন আমান। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত এবং বিএনপি’র দলীয় সঙ্গীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ………….’ পরিবেশন করা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের অন্যতম সহ সভাপতি আতিকুল হক আহাদ। সভায় অতিথিবৃন্দসহ আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার খান বাবু, যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এ এস রহমান সায়েম, ইকবাল হায়দার, সালাউদ্দিন রুবেল, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও বোরহান উদ্দিন, মহিলাদল নেত্রী নিরা রব্বানী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মীর মিজান, দিনাজপুর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহীন খান, সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াজ আহমেদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবদলের সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, নিউজার্সী যুবদলের সভাপতি সাব্বির চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সভাপতি বিলাল আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাসিত রহমান, ছাত্রদল নেতা সোহেল আহমেদ চৌধুরী, জাহিদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিজয়ের উপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ হায়দার আলী।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র মহিলাদল-যুবদল-ছাত্রদল নেতারা বলেন, শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক। বাংলাদেশে দুই ধরনের মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। একশ্রেনীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন দেশের অভ্যন্তরে থেকে সশ¯্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন আরেক শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন যারা কলকাতার সোনাগাছিতে বসে পরটা-কলিজা খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সোনাগাছির মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগ করে আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপি করেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের রাজত্ব চলছে। এই সরকার অবৈধ সরকার, ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
বক্তারা বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে বলেন, শহীদ জিয়ার সন্তান হিসেবে তারেক রহমান দূর্নীতি করতে পারেন না। তার শরীরে জিয়ার রক্ত। বক্তারা অবিলম্বে তার মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার জন্য বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, চৌধুরী সালেহ আহমদ, এমলাক হোসেন ফয়সাল, একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম, নিউজার্সী বিএনপির সভাপতি আলহাজ সৈয়দ জুবায়ের আলী, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় জাসাসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইফুর খান হারুন, উত্তম বণিক ও মিফতা মামুন সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, টাইম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।