নিউইয়র্ক ১১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জেলহত্যা দিবস পালিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৪
  • / ১১৮০ বার পঠিত

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের প্রতি জন মানুষের আস্থার পরিচয় বহন করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তারা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চারটি মূল স্তম্ভ বা চারটি পিলার। ৭৫-এর ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন খন্দকার মোস্তাক সরকার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে না ছাড়ার অভিসন্ধি থেকেই জাতীয় এ চারনেতাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। রাতের অন্ধকারে এ চারনেতার প্রান কেড়ে নেয় ঘাতকের নির্মম বুলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। সেদিনের সে দুঃসহ স্মৃতি আজও প্রশ্ন তৈরী করে এই নির্মমতা একটা জাতি স্বত্ত্বার আদর্শিক অস্থিত্ব বিলুপ্ত ঘটাতে পারে কি? ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার প্রশাসন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর জেলহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে শুভ সূচনা হয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি জনকল্যানকামী রাষ্ট্রের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জনমানুষের সামনে। আলোচনায় অংশ নেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইকনমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সিলর ও হেড অব সেন্সরি রকিবুল হক। সবশেষে নিহত শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জেলহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশের সময় : ১০:১৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৪

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের প্রতি জন মানুষের আস্থার পরিচয় বহন করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তারা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চারটি মূল স্তম্ভ বা চারটি পিলার। ৭৫-এর ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন খন্দকার মোস্তাক সরকার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে না ছাড়ার অভিসন্ধি থেকেই জাতীয় এ চারনেতাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। রাতের অন্ধকারে এ চারনেতার প্রান কেড়ে নেয় ঘাতকের নির্মম বুলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। সেদিনের সে দুঃসহ স্মৃতি আজও প্রশ্ন তৈরী করে এই নির্মমতা একটা জাতি স্বত্ত্বার আদর্শিক অস্থিত্ব বিলুপ্ত ঘটাতে পারে কি? ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার প্রশাসন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর জেলহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে শুভ সূচনা হয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি জনকল্যানকামী রাষ্ট্রের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জনমানুষের সামনে। আলোচনায় অংশ নেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইকনমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সিলর ও হেড অব সেন্সরি রকিবুল হক। সবশেষে নিহত শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।