নিজস্ব গতিতে চলবে আদালত, ক্যাঙ্গারু কোর্ট থাকবে না : বিএনপি নেতা মিজানুর
জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় জামিন লাভ
- প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ২৯ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন বলেছেন, শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে ৯ বছরের নির্বাসনে রেখেছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। শেখ হাসিনা আমার পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দিয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে আমাদের সাজা দিয়েছে। এখন আদালত নিজস্ব গতিতে চলবে, ক্যাঙ্গারু কোর্ট থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন তিনি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হন। এরপর তার আইনজীবী মো. মাসুদুর রহমানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদÐের আদেশ দেন আদালত।
পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুরের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। (দৈনিক কালের কন্ঠ)