নিউইয়র্কে মরহুম আলহাজ বশির আলী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
জমি দখলের পায়তারা, মিথ্যাচার, পরিবারের সম্মানহানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : অবিলম্বে ন্যায় বিচার কামনা
- প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ক্রীড়ামোদী পরিবারের জমি দখলের পায়তারা এবং তথা কথিত আয়না ঘরের নামে টর্চার সেলের মিথ্যাচার করে পরিবারের সম্মানহানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ন্যায় বিচার কামনা করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মরহুম আলহাজ বশির আলী পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন, মরহুমের পুত্র, দেশের সাবেক সহকারী এটর্নী জেনারেল, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সদস্য এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। খবর ইউএনএ’র।
জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু লিখিত বক্তব্যে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত কুচকক্রী মহল হত্যা মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টার পাশাপাশি বিপুল পরিমান সম্পত্তি গ্রাস করার লক্ষ্যে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার আর চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করছে। এসব খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মানহানিকর। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে মরহুম বশির আলীর পুত্র, সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবীদ আব্দুর রহীম বাদশা, কন্যা ডা. সাহানা আলী রেনু, জাহানারা আহমদ লক্ষী ও মনোয়ারা বেগম মনি এবং অপর পুত্র আব্দুর রউফ পাশা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, ইফফাত আরা নিভা, সারওয়ার নাজরাত আলী টুয়েন ও নূরে আলম জিকু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা পারিবারিকভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আমরা ন্যায় বিচার পাবো বলেই সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখি। আমাদের অনুপস্থিতিতে আমাদের কেয়ার টেকার নূরুল ইসলাম কালা মিয়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পতি দখলের চেষ্টা করে। এনিয়ে আমরা মামলাও করি এবং নূরুল ইসলাম কালা মিয়া ও তার পুত্র আমিন ও শামীম গ্রেফতার হয়ে প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর জামিনে মুক্তি পায়। ইতিমধ্যে আমরা মোহাম্মদ আব্দুল মালিক নামে আরেকজনকে কেয়ারটেকার মনোনীত করি। কিন্তু জেল থেকে কালা মিয়ারা মুক্তি পেয়ে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর আব্দুল মালেককে হত্যা করে। এব্যাপারে রাজনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্তরা মালেক হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে, আমাদের পারিবারিক ব্যবসা অ্যামেনিয়া গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ রাখার ঘরটি ‘আয়না ঘর’ হিসেবে প্রচারণা করা হচ্ছে।