নিউইয়র্ক ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ছোট্ট একটি স্বাস্থ্য সেটআপ করে দ্রæত নিউইয়র্ক ফিরে যাব : কোয়ারেন্টিন শেষে ডা. ফেরদৌস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
  • / ৪৩ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: ‘অবশেষে কোয়ারেন্টিন মুক্ত হলাম আমি। কেটে গেল ১৪টি দিন। সময়তো কাটবেই।’ কোয়ারেন্টিন শেষে বাসায় ফিরে কথাগুলো ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসা ডা. ফেরদৌস খন্দকার। ওই স্ট্যাটাসে ডা. ফেরদৌস আরো লিখেছেন, যারা গত ১৪টি দিন আমার সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়েছেন, মানসিকভাবে শক্ত থাকতে প্রেরণা জুগিয়েছেন। তবে একথা আমাকে বলতেই হবে যে, শুরুটা বেশ কঠিনই ছিল আমার জন্যে। আমার বিরুদ্ধে ‘অহেতুক’ এবং ‘মিথ্যা অভিযোগ’-এ বিরাট ঝড় উঠেছিল। সব ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ঝড়ও হয়তো থেমে গেছে।
‘যা বলছিলাম, দেশে আসার পর আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে দেওয়া হয়েছে; এই বিষয়টি আমি প্রথম পাঁচ দিন মানতেই পারছিলাম না। কেননা আমার অ্যান্টিবডির সনদ ছিল। তখন মানসিকভাবে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু, সুধীজন, ছাত্রলীগের সহযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং দেশের মানুষের সহায়তা ও সমর্থণ আমাকে সাহস জুগিয়েছে।’
লিখেছেন, দেশে এসেছিলাম কয়েক সপ্তাহ দেশবাসীর জন্যে কাজ করবো বলে। সাথে ছোট্ট একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে যাবো- এমন আশা ছিল। সেই লক্ষ্যেই দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য এসেছিলাম। যদিও সময় কিছুটা ক্ষেপন হয়ে গেছে। এর পরও আমি মনে করি, কোনও আক্ষেপ নেই আমার। দ্রæততম সময়ের মধ্যে কিছুটা কাজ করে এবার চলে যেতে চাই। তবে সঙ্গে নিয়ে যাবো গত দুটি সপ্তাহে ঘটে যাওয়া অনেক কিছু ও অভিজ্ঞতা। এভাবে, ‘আমি এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিষয়ক ছোট্ট একটি সেটআপ করে দ্রæতই নিউ ইয়র্ক ফিরে যাবো। কারো বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
গত ৭ জুন কাতার এয়ারওয়েজের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন ডা. ফেরদৌস। বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। করোনার এই সময়টায় নিউ ইয়র্কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি অনেক মানবিক ও সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আলোচিত হন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ছোট্ট একটি স্বাস্থ্য সেটআপ করে দ্রæত নিউইয়র্ক ফিরে যাব : কোয়ারেন্টিন শেষে ডা. ফেরদৌস

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

ঢাকা ডেস্ক: ‘অবশেষে কোয়ারেন্টিন মুক্ত হলাম আমি। কেটে গেল ১৪টি দিন। সময়তো কাটবেই।’ কোয়ারেন্টিন শেষে বাসায় ফিরে কথাগুলো ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসা ডা. ফেরদৌস খন্দকার। ওই স্ট্যাটাসে ডা. ফেরদৌস আরো লিখেছেন, যারা গত ১৪টি দিন আমার সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়েছেন, মানসিকভাবে শক্ত থাকতে প্রেরণা জুগিয়েছেন। তবে একথা আমাকে বলতেই হবে যে, শুরুটা বেশ কঠিনই ছিল আমার জন্যে। আমার বিরুদ্ধে ‘অহেতুক’ এবং ‘মিথ্যা অভিযোগ’-এ বিরাট ঝড় উঠেছিল। সব ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ঝড়ও হয়তো থেমে গেছে।
‘যা বলছিলাম, দেশে আসার পর আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে দেওয়া হয়েছে; এই বিষয়টি আমি প্রথম পাঁচ দিন মানতেই পারছিলাম না। কেননা আমার অ্যান্টিবডির সনদ ছিল। তখন মানসিকভাবে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু, সুধীজন, ছাত্রলীগের সহযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং দেশের মানুষের সহায়তা ও সমর্থণ আমাকে সাহস জুগিয়েছে।’
লিখেছেন, দেশে এসেছিলাম কয়েক সপ্তাহ দেশবাসীর জন্যে কাজ করবো বলে। সাথে ছোট্ট একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে যাবো- এমন আশা ছিল। সেই লক্ষ্যেই দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য এসেছিলাম। যদিও সময় কিছুটা ক্ষেপন হয়ে গেছে। এর পরও আমি মনে করি, কোনও আক্ষেপ নেই আমার। দ্রæততম সময়ের মধ্যে কিছুটা কাজ করে এবার চলে যেতে চাই। তবে সঙ্গে নিয়ে যাবো গত দুটি সপ্তাহে ঘটে যাওয়া অনেক কিছু ও অভিজ্ঞতা। এভাবে, ‘আমি এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিষয়ক ছোট্ট একটি সেটআপ করে দ্রæতই নিউ ইয়র্ক ফিরে যাবো। কারো বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
গত ৭ জুন কাতার এয়ারওয়েজের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন ডা. ফেরদৌস। বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। করোনার এই সময়টায় নিউ ইয়র্কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি অনেক মানবিক ও সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আলোচিত হন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।