নিউইয়র্ক ০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪, ১১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা আজ থেকে শুরু

হককথা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
  • / ৬৭ বার পঠিত

‘যত বই তত প্রাণ’ শ্লোগান নিয়ে চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা আজ থেকে শুক্রবার (২৪ মে) শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এই মেলা চলবে আগামী ২৭ মে সোমবার পর্যন্ত। এবারেরমেলা ৩৩তম মেলা। গেলো বছরও একই স্থানে ৩২তম মেলার বইমেলার আয়োজন করা হয়েছিলো। দেশ-বিদেশের ৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ হাজার নতুন বই নিয়ে এবারে মেলায় অংশ নিচ্ছে। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এই বই মেলার আয়োজক। কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা এই মেলার উদ্বোধন করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও পশ্চিম বাংলার বাইরে বাংলা বই, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বৃহত্তম এই বইমেলায় উত্তর আমেরিকা তথা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লেখক ও সাহিত্যামোদীরা অংশ নেবেন। আমন্ত্রিত লেখক, অতিথি ও প্রকাশকদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে নিউইয়র্ক এসে পৌঁছেছেন।
৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহবায়ক, লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বলেন, বাংলা একাডেমির মতো ভবনের সম্মুখস্থ সুবিশাল চত্বরে নির্মিত হয়েছে বই বিক্রয়ের জন্য সব স্টল। সঙ্গে থাকছে একটি শিশু মঞ্চ ও লেখককুঞ্জ। উদ্বোধনী দিন মূল অনুষ্ঠানের আগে থাকবে উন্মুক্ত মঞ্চে কনসার্ট। নিউইয়র্কের খ্যাতনামা শিল্পী তাজুল ইমামের পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় সন্ধ্যায় গানের এই আসরে অংশ নেবে নিউইয়র্কের একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, এ বছরের বইমেলার একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সৌজন্য ‘জেনোসাইড ’৭১’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করতে ইতোমধ্যেই নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। জেনোসাইড এখনো কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি- সে বিষয়ে সেমিনারও থাকছে অনুষ্ঠানসূচিতে।
বিশ্বজিত সাহা আরও বলেন, মেলায় প্রতিবারের মতো এবারো থাকবে সেমিনার, কবিতা পাঠ, বই পরিচিতি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঢাকা ও কলকাতার পর, বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় এই মেলায় এবার বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশ থেকে লেখক পাঠক এবং প্রকাশক অংশ নেবেন। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মেলার তৃতীয় দিন, অর্থাৎ রোববার একক সংগীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানের শেষদিন, অর্থাৎ সোমবার থাকবে দিনব্যাপী শিশু-কিশোর-যুবা উৎসব, তারুণ্যের উল্লাস।
উল্লেখ্য, বিগত মেলার মতো এবারের ৩৩তম মেলাতেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘জিএফবি/মুক্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার’ দেওয়া হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান ৩,০০০ ইউএস ডলার। ইতিপূর্বে যারা এই পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, শামসুজ্জামান খান ও আসাদ চৌধুরী। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশক পুরষ্কার’ প্রদান করা হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান হবে ৫০০ ইউএস ডলার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য মেলার পক্ষ থেকে দেয়া হবে জিএফবি-মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া প্রবাসী লেখকদের জন্য দেয়া হবে শহীদ কাদরী স্মৃতি পুরস্কার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা আজ থেকে শুরু

প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

‘যত বই তত প্রাণ’ শ্লোগান নিয়ে চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা আজ থেকে শুক্রবার (২৪ মে) শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এই মেলা চলবে আগামী ২৭ মে সোমবার পর্যন্ত। এবারেরমেলা ৩৩তম মেলা। গেলো বছরও একই স্থানে ৩২তম মেলার বইমেলার আয়োজন করা হয়েছিলো। দেশ-বিদেশের ৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ হাজার নতুন বই নিয়ে এবারে মেলায় অংশ নিচ্ছে। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এই বই মেলার আয়োজক। কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা এই মেলার উদ্বোধন করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও পশ্চিম বাংলার বাইরে বাংলা বই, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বৃহত্তম এই বইমেলায় উত্তর আমেরিকা তথা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লেখক ও সাহিত্যামোদীরা অংশ নেবেন। আমন্ত্রিত লেখক, অতিথি ও প্রকাশকদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে নিউইয়র্ক এসে পৌঁছেছেন।
৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহবায়ক, লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বলেন, বাংলা একাডেমির মতো ভবনের সম্মুখস্থ সুবিশাল চত্বরে নির্মিত হয়েছে বই বিক্রয়ের জন্য সব স্টল। সঙ্গে থাকছে একটি শিশু মঞ্চ ও লেখককুঞ্জ। উদ্বোধনী দিন মূল অনুষ্ঠানের আগে থাকবে উন্মুক্ত মঞ্চে কনসার্ট। নিউইয়র্কের খ্যাতনামা শিল্পী তাজুল ইমামের পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় সন্ধ্যায় গানের এই আসরে অংশ নেবে নিউইয়র্কের একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, এ বছরের বইমেলার একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সৌজন্য ‘জেনোসাইড ’৭১’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করতে ইতোমধ্যেই নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। জেনোসাইড এখনো কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি- সে বিষয়ে সেমিনারও থাকছে অনুষ্ঠানসূচিতে।
বিশ্বজিত সাহা আরও বলেন, মেলায় প্রতিবারের মতো এবারো থাকবে সেমিনার, কবিতা পাঠ, বই পরিচিতি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঢাকা ও কলকাতার পর, বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় এই মেলায় এবার বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশ থেকে লেখক পাঠক এবং প্রকাশক অংশ নেবেন। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মেলার তৃতীয় দিন, অর্থাৎ রোববার একক সংগীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানের শেষদিন, অর্থাৎ সোমবার থাকবে দিনব্যাপী শিশু-কিশোর-যুবা উৎসব, তারুণ্যের উল্লাস।
উল্লেখ্য, বিগত মেলার মতো এবারের ৩৩তম মেলাতেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘জিএফবি/মুক্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার’ দেওয়া হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান ৩,০০০ ইউএস ডলার। ইতিপূর্বে যারা এই পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, শামসুজ্জামান খান ও আসাদ চৌধুরী। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশক পুরষ্কার’ প্রদান করা হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান হবে ৫০০ ইউএস ডলার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য মেলার পক্ষ থেকে দেয়া হবে জিএফবি-মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া প্রবাসী লেখকদের জন্য দেয়া হবে শহীদ কাদরী স্মৃতি পুরস্কার।