নিউইয়র্ক ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গুড উইল ভিজিট : বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কের ৫ জন ষ্টেট সিনেটরের নিউইয়র্ক ত্যাগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২৪৬ বার পঠিত

ছবিতে (ক্লকওয়াইজ) নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, লিরয় কমরি, জন ল্যু, জেমস স্কুফিস ও কেভিন এ পার্কার

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ‘গুড উইল ভিজিট’-এ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নিউইয়র্কের ৫ জন ষ্টেট সিনেটর। আমিরাত এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে তারা শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। তারা বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মতো অবস্থান করবেন। সিটেরদের মধ্যে একজন সকালের ফ্লাইটে আর বাকী ৪জন রাতের ফ্লাইটে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ষ্টেট সিনেটরগণ এই সফরকালীন সময়ে জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন ও জাতীয় সংসদের স্পীকারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিশেষ করে পর্যটন জেলা কক্সবাজার ও সিলেট সহ বিভিন্ন স্থান ভিজিট করবেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও তারা মতবিনিময় করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়েও। খবর ইউএনএ’র।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী চলতি বছরের প্রথম দিকে নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তখন স্পীকার তাদেরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তারই প্রেক্ষিতে ষ্টেট সিনেটরগণ বাংলাদেশ সরকারের পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিথি হয়ে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি বিশেষ করে ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরকারী অন্যান্য সিনেটরগণ হচ্ছেন- ষ্টেট সিনেটর জেমস স্কুফিস, ষ্টেট সিনেটর লিরয় কমরি, ষ্টেট সিনেটর জন ল্যু ও ষ্টেট সিনেটর কেভিন এ পার্কার। প্রতিনিধি দল আগামী ২৬ অক্টোবর শনিবার নিউইয়র্কে ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে। প্রতিনিধি দলের সাথে আরো ৩জন স্টাফ থাকবেন।
ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন ৪জন ষ্টেট সিনেট

সংশ্লিস্টরা জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুসম্পর্ককে আরো জোরদার বিশেষ করবে। নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের বন্ধু হিসেবে তারা প্রবাসীদের জন্মস্থান বাংলাদেশ দেখতে আগ্রহীও বটে। যার ফলে তারা এই সফরে যাচ্ছেন। আর এই সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটরগণ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং ২০ অক্টোবর রোববার ঢাকায় পৌছবেন। তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রিত অথিথি থাকবেন। বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে নিউইয়র্কের আইন প্রণেতাদের বন্ধন মজবুত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়ায় এই সফরের নাম রাখা হয়েছে ‘গুড উইল ভিজিট’। সপ্তাহব্যাপী এই সফরে উল্লেখ্যযোগ্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের আমন্ত্রণে নৈশভোজে। এছাড়াও তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং সিলেটে চা বাগান পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রধান উৎস তৈরী পোষাক খাতের দুটি ফ্যাক্টরিও পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘গুড উইল ভিজিট’ টু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা তাদের বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় তিনি জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি একটি গ্রোয়িং কমিউনিটি। আমাদের সাথে বাংলাদেশী কমিউনিটির সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করছি এই সফরের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার সম্পর্কে আমরা আরো অবহিত হতে পারবো। এক প্রশ্নের উত্তরে লুইস সেপুলভেদা বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া, আবার নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেনো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জানতে পারে- তেমন ’এডুকেশন এক্সচেঞ্জ’ পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আবার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও ঢাকা-নিউইয়র্ক আরো ভূমিকা রাখতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিউইয়র্কের রাজনীতিতে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে এই সফর ভূমিকা রাখবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

গুড উইল ভিজিট : বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কের ৫ জন ষ্টেট সিনেটরের নিউইয়র্ক ত্যাগ

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

ছবিতে (ক্লকওয়াইজ) নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, লিরয় কমরি, জন ল্যু, জেমস স্কুফিস ও কেভিন এ পার্কার

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ‘গুড উইল ভিজিট’-এ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নিউইয়র্কের ৫ জন ষ্টেট সিনেটর। আমিরাত এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে তারা শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। তারা বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মতো অবস্থান করবেন। সিটেরদের মধ্যে একজন সকালের ফ্লাইটে আর বাকী ৪জন রাতের ফ্লাইটে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ষ্টেট সিনেটরগণ এই সফরকালীন সময়ে জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন ও জাতীয় সংসদের স্পীকারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিশেষ করে পর্যটন জেলা কক্সবাজার ও সিলেট সহ বিভিন্ন স্থান ভিজিট করবেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও তারা মতবিনিময় করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়েও। খবর ইউএনএ’র।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী চলতি বছরের প্রথম দিকে নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তখন স্পীকার তাদেরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তারই প্রেক্ষিতে ষ্টেট সিনেটরগণ বাংলাদেশ সরকারের পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিথি হয়ে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি বিশেষ করে ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরকারী অন্যান্য সিনেটরগণ হচ্ছেন- ষ্টেট সিনেটর জেমস স্কুফিস, ষ্টেট সিনেটর লিরয় কমরি, ষ্টেট সিনেটর জন ল্যু ও ষ্টেট সিনেটর কেভিন এ পার্কার। প্রতিনিধি দল আগামী ২৬ অক্টোবর শনিবার নিউইয়র্কে ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে। প্রতিনিধি দলের সাথে আরো ৩জন স্টাফ থাকবেন।
ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন ৪জন ষ্টেট সিনেট

সংশ্লিস্টরা জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুসম্পর্ককে আরো জোরদার বিশেষ করবে। নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের বন্ধু হিসেবে তারা প্রবাসীদের জন্মস্থান বাংলাদেশ দেখতে আগ্রহীও বটে। যার ফলে তারা এই সফরে যাচ্ছেন। আর এই সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটরগণ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং ২০ অক্টোবর রোববার ঢাকায় পৌছবেন। তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রিত অথিথি থাকবেন। বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে নিউইয়র্কের আইন প্রণেতাদের বন্ধন মজবুত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়ায় এই সফরের নাম রাখা হয়েছে ‘গুড উইল ভিজিট’। সপ্তাহব্যাপী এই সফরে উল্লেখ্যযোগ্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের আমন্ত্রণে নৈশভোজে। এছাড়াও তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং সিলেটে চা বাগান পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রধান উৎস তৈরী পোষাক খাতের দুটি ফ্যাক্টরিও পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘গুড উইল ভিজিট’ টু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা তাদের বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় তিনি জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি একটি গ্রোয়িং কমিউনিটি। আমাদের সাথে বাংলাদেশী কমিউনিটির সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করছি এই সফরের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার সম্পর্কে আমরা আরো অবহিত হতে পারবো। এক প্রশ্নের উত্তরে লুইস সেপুলভেদা বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া, আবার নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেনো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জানতে পারে- তেমন ’এডুকেশন এক্সচেঞ্জ’ পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আবার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও ঢাকা-নিউইয়র্ক আরো ভূমিকা রাখতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিউইয়র্কের রাজনীতিতে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে এই সফর ভূমিকা রাখবে।